মস্তবড় মাঠ জুড়ে অসংখ্য নাইলন, সিলিকনের তাবু। কোনোটা বাদামী, কোনোটা গেরুয়া, কোনোটা বেগুনী- সবগুলোই কমবেশী রংচটা; গা ঘেষে দাঁড়িয়ে ছাপোষা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের মতো একে অন্যকে তিলমাত্র জায়গা ছাড়তে নারাজ। মাঠের একপ্রান্তেপুরনো জীর্ণপ্রায় গীর্জা, একটা প্রাচীন ঙ্দত্যাকৃতি রেইনট্রি গাছ, একটা লাল-সবুজ রংচটা ঘুড়ি আটকে আছে ডালে, বাতাসে এদিক-সেদিক অবিচ্ছিন্ন ওড়াওড়ি, চঞ্চলিত কিশোরীর মতো ছটফট করে। দুটি লম্বা বিরাট থামের মাঝখানে গীর্জার বড় বিশালবপু ঘন্টা- ঠাণ্ডা বাতাসের ক্রমাগত ধাক্কায় এদিক-ওদিক করে হঠাৎ সরু-তীক্ষ্ন টুং শব্দ করল। এই বিশাল প্রান্তরে সে শব্দ বারবার প্রতিধ্বনিত হয়ে ক্রমাগত কানে বাজতে লাগলো। গীর্জার সামনে একখানা পুরনো, জীর্ণ ক্রুশ- একহাতে একটা কাক বসে, ক্রুসের মাথায় চামড়া কুঁচকানো বৃদ্ধ শকুন এক টুকরো মাংস ক্রমাগত ঠুকরে ঠুকরে প্রায় নিঃশেষ করেছে। পাশের তাবু থেকে সুবেদার মেজর অশোক ভট্টাচার্যের জার্মান ক্যাসেট ডেক থেকে ক্রমাগত প্রণয়ের কোমল সুর ভেসে আসে; যুদ্ধাহত এই সেনাশুশ্রুষাগারে এ সুর বেমানান লাগার কথা, কিন্তু মেজর ফিরোজের ভালোই লাগছে। তেরপল সরিয়ে ভেতরে এলেন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ইলিয়াস। এমনিতেই সে বেপরোয়া ধরনের লোক, এখন কিছুটা ক্ষিপ্তও মনে হলো।
সফট কপিতে বানান ভুল আছে কিছু,এমনকি লেখকের নামের বানানও ভুল, এছাড়া উৎসর্গের নামের বানানও ভুল, শহীদুল জহিরের জায়গায় কহিদুল আসছে, গল্পগুলোর প্রারম্ভ সুন্দর, প্রথম গল্পটা শেষ করেছি, চমৎকারভাবে একজন পঙ্গু রিসকাচালকের অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, বিস্তারিত ঘটনা সব চোখের সামনে বয়ান হয়ে যাচ্ছে, উপমা অলংকারেত ঘোর তৈরি করে, হঠাৎ ডাক্তারের প্রবেশে ঘোরের জাল থেকে নের হয়ে আসতে হয়, পাঠকও চিন্তায় পড়ে যাবে পঙ্গু লোকটার ভবিতব্য ভেবে~ ( সফট কপির দাম আরেকটু কম হলেও পারতো)
Read all reviews on the Boitoi app