কল্পনায় মার হাসি আর কান্না দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন রবিউল হক। সকালে তিনি ব্যাংকে যাবেন। টাকাটা তুলবেন এবং বাসায় আসবেন। তারপর বাণ্ডিলটা নিরাপদ একটা জায়গায় রেখে চলে যাবেন অফিসে। চেষ্টা করবেন পাঁচদিনের ছুটি নিতে। না পারলে চারদিনের। তাও যদি না পারেন তিনদিনের তো অবশ্যই নেবেন। যেতে একদিন, আসতে একদিন, মার সঙ্গে থাকা একদিন। যদিও যেতে বা আসতে পুরো দিন লাগে না। সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার পথ। তবে ঈদের সময় ছাড়া অন্যকোনো সময় চার ঘণ্টা ব্যয় করতে হয় না। তিন-সোয়া তিন ঘণ্টায়ই হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বন্ধ মোবাইলটা 'অন' করেন রবিউল হক। তারপর খাট থেকে নেমে স্যান্ডেল পায়ে দেন বাথরুমে যাওয়ার জন্য। কিন্তু দু কদম সামনে এগোতে না এগোতেই আবার ফিরে আসতে হয়। কারণ, কেউ ফোন করেছে। রবিউল হক মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখেন শোয়েবের ফোন। তিনি দ্বিধায় পড়ে যান-ধরবেন কি ধরবেন না। শেষে ধরেই ফেলেন। ওপাশ থেকে সালাম দেয় শোয়েব। জিজ্ঞেস করে-আপনি তো কোনো সময় আমার উপর রাগ করেন না! গতরাতে কী হয়েছিল বলেন তো?