দূরদেশি বড়সাব - মতিনের বাড়ির পাশেই থাকে বসত গড়ে প্রতিদিন পাঠায় থালা ভরে ভাত, মতিন খায় পেট ভরে। মতিনের যদিও কাটে দিনরাত অভাব অনটনে পড়ে তবু আছে তার পিতার সূত্রে জমিজমা সবার উপরে। বড়সাব মনে মনে ভাবে আহা! আমার যদি এমন হতো মতিনের অভাব দেখেই বলে- মতিন এই জমির দাম কতো? মতিন আজ বেচে খানিক, কাল বেচে খানিক, বসে বসে খায় পিতার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি কোনো চিন্তাভাবনা নাই। বড়সাব সস্তা কিনে দিনে দিনে আরও হয় বড় লোক দিন দিন মতিনের ঘরে নামে আঁধার দ্যুলোক-ভূলোক। মতিনের ঘরে আছে তিন ছেলে তিন মেয়ে, নেই যে ভালো শেষ জীবন হবে বুঝি তাদের পথে পথে ঘুরে এলোমেলো। মতিনের বাড়ির ঘরটিও বড়সাব কিনে দিয়েছে আজ চাপিয়ে মতিন এখন বাহির হবে কি করে উঠছে ভেবে চিন্তে হাঁপিয়ে। মতিনের অলস জীবনে জমাট বেঁধেছে পাথরের মতো দুঃখগুলি মতিন ঘুরে দুয়ারে দুয়ারে কাঁধে ফেলে ভিক্ষার ঝুলি।