রম্য বা রমণীয় সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধতার প্রতিভূ, যদিও রমণীয়তার সাথে রম্যরচনার তেমন কোনো মেলবন্ধন নেই। গোত্র বিচারে‘রম্য’ খানিক চটুল স্বাদের রুচিকর পরিবেশনা। বিষয়ের গভীরতা না থাকলেও চলে, তবে পরিবেশনা হতে হয় চলনসইয়ের চেয়ে কিছু বেশি উপাদেয়। পাঠশেষে বারেকের জন্য হলেও যেন মনে হয়, আহ্ বেশ ভরপেট খেলুম। খুব তৃপ্তি হচ্ছে! রম্যের রকমফের হয়, সে-কথা মানি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি স্থূলতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার পক্ষপাতী নই। পলিটিক্যাল বা সোশ্যাল স্যাটার এখানে আছে টুকটাক, তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমি খোশমেজাজে সমসাময়িক বিষয় তুলে আনতে বেশি আগ্রহী। জ্ঞানলাভ না হোক, রম্য পড়ে পাঠকের ঠোঁটাগ্রে তেরছা হাসি ফুটবে এটুকু অন্তত বলতে পারি। গল্পগুলো নেহাতই তুচ্ছ। সাহিত্যগুণ কতটুকু আছে, সে বিচার পাঠক করবেন। যাপিতজীবনে আমরা কতই না অম্ল-মধুর ঘটনার মুখোমুখি হই! হাসি-কান্না, অনুরাগ-বিরাগ-বিরক্তি সব আছে, আমেদুধে একসময় ঠিক মিশেও যায়, শুধু বেঁচে রয় আমাদের জীবনের কিছু ক্ষণ। মিছে কষ্ট পেয়ে কী লাভ! আসুন না, আঁতেল আর তেলবাজদের অদ্ভুত সব কা-কীর্তি দেখে দুঃখের মুহূর্তগুলো হেসে উড়িয়ে দিই।