ভূমিকার এই বর্ণনা যাঁর সম্পর্কে তাঁর গল্পই হবে আজ। যদিও ভূমিকাংশের এই রচনা আমার নয়। রচয়িতা নুহাশ হুমায়ূন, প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, গল্পকার, চলচ্চিত্র ও নাট্যপরিচালক, নাট্যরচয়িতা, সঙ্গীতবোদ্ধা ও গীতিকার (অল্পসংখ্যক) অসংখ্য গুণের আধার হুমায়ূন আহমেদের পুত্র। পৃথিবীতে হুমায়ূন আহমেদের মতো খুব কম মানুষেরই জন্ম হয় যাঁরা তাঁদের যাপিত জীবনে চূড়ান্ত খ্যাতি, মর্যাদা ও আর্থিক সচ্ছলতার মিশ্রণের স্বাদ পান। হুমায়ূন আহমেদ সেই সব দুর্লভ মানবসত্তার একজন। উপন্যাসের জগতে আমাকে প্রায় নেশাগ্রস্ত করেছেন যে মানুষটি তিনি হুমায়ূন আহমেদ। একটা গল্প পড়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরিয়ে দিতে পারেন যে লেখক তিনি হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদই পেরেছেন অসংখ্য যুবককে মোহগ্রস্তের মতো হলুদ পাঞ্জাবি পরে 'হিমু' হওয়ার বাসনায় উদ্বেল করে দিতে; কিংবা বাকেরের (তাঁর রচিত চরিত্র) জন্য শত শত তরুণকে রাস্তায় নামিয়ে দিতে। নিজেকে রুপা, মীরা, নবনী ভেবে মাঝে মাঝেই কিছু অভিনব ভাবনার ফানুস ওড়ায়নি '৮০ বা '৯০-এর সময়ের এমন কজন যুবতী পাওয়া যাবে! আর শুধু এই সময়টাই কেন? এখনো কৈশোর উত্তীর্ণ যুবক-যুবতীর মাঝে তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলো ঘিরে কল্পনার ফানুস ওড়ার বিষয়টি অলৌকিক তো নয়! বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত সমাজের রৌদ্রছায়ায় মাখা জীবনে পাঠকদের দৃষ্টি কেড়ে আনার অবদান অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদের।