অমাবস্যার আঁধারেও চিনি তোমার চুল সূর্যটা কুঁড়েঘরে খিল দিলে কূজন থেমে যায় চলাচল বাড়ে বাদুড়ের লক্ষ্ণীপ্যাঁচা নাকি ডাকে ভোরসন্ধ্যায় উকুন কি ঘুমায় নিবার্য কাঁকইয়ে যতই বিলিকাটো চুলের ভাঁজে-ভাঁজে ঘুরে ঘুরে তোমার বক্ষে নেবো শ্বাস কেন বলেছিলে ভালবাসি। বিড়ালকে দুধ কিংবা দাও মাছের তাজা কাঁটা খেয়ে চম্পট চৌকির কোণে লেজ নেড়েনেড়ে কখনো-সখনো কুকুরের লাল জিহ্বার লালা পড়ে না-কি নরম মাংসে উকুনের মত ঘুরে ঘুরে বেড়াবো চুলের ভাঁজে-ভাঁজে শুষে নেবো বক্ষের নিঃশ্বাস। নাগরের সাথে নাগরদোলায় দম-বন্ধ, কৃত্রিম-শ্বাসে বেশ রাস্তার সাথে সঙ্গম করতে করতে ভুলে গেছি সঙ্গমের স্বাদ তুমি কি ভুলো নাই। স্বর্ণ কিংবা হীরা; কোনো বস্তু-তুল্য নয় জীবন জীবনের ভিতরে একটুকরো মন রোদ-বৃষ্টিতে ভেজা খড়কুটোর খাপছাড়া খাপরা ঘর জোনাকি পোকার আলো-আঁধার আঁচলে গরম শ্বাস; উথলানো মাড়ে গরমভাত চন্দ্র-সূর্যের উদয়ে হতেই থাকবে প্রভাত।