পশ্চিমে কালো কাকের মতো এক চিলতে মেঘ দেখে কারো ধারণা হয়নি এত দ্রুত তা আকাশ ছেয়ে নেবে। টুকরো-টাকরা মেঘ রোজই হয়। সাদা বকের মতো ধবধবে হালকা মেঘ পাখনা মেলে উড়ে বেড়ায়। সেই মেঘ কখনও কখনও রং বদলায়। নীল আকাশের পটে কালো ছোপ পড়ে। সেই ছোপ স্থায়ী হয় না, যেন ধুয়ে যায় উত্তপ্ত বাতাসের ঝাপট-বন্যায়। শূন্য খা-খা আকাশে কালো মেঘের অভ্যুদয়ে মানুষের মনে দেখা দেয় যে আশা, তা এমনি করে আবার উবে যায়। তাই আজকের মেঘ দেখে অতিরিক্ত প্রত্যাশা কেউ করেনি। কিন্তু ভাঙ্গা খোলার মতো চটা মেঘ খুব দ্রুত গাঢ় হলো, গড়িয়ে গড়িয়ে ছড়িয়ে পড়লো চারপাশে। মেঘের আড়ালে ঢেকে গেল ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা ফ্যাকাসে সূর্য। নীল আকাশের মুখ এখন হাড়ির কালির রং ধরেছে। কড়াইয়ে খেজুরের রস উথলানোর মতো আকাশে তরল মেঘ উথলে উঠলো। ঘুরে ঘুরে, পাক খেয়ে খেয়ে, মেঘের ভিতরে মেঘ ঢুকে গিয়ে ঘূর্ণিবায়ু অবশ্যম্ভাবী করে তুললো।