হেঁটে, দৌড়ে, গড়িয়ে যে যেভাবেই জীবন চলি না কেন, আমাদের সামনে প্রতিদিন প্রতিমাসে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন আসে, আসে সমস্যা। কোন কোনটাকে পাশ কাটিয়ে যাই, কোন কোনটার জন্য অপেক্ষা করি, আবার কোনটাকে এড়াতে গিয়ে আকন্ঠ ডুবে যাই। এই বইটি একটি বিশেষ ধরণের সমস্যা নিয়ে লেখা। মানুষ যেমন ইঞ্জিনিয়ার শুনলেই ভাবে, ‘নিশ্চয়ই কম্পিউটার ঠিক করতে পারবে’, তেমন টিচার শুনলেই বোধহয় ‘সর্বরোগের মহৌষধ’ মনে করে। সত্যি কথা বলতে, আমি নিজেও এর বাইরে নই। বিভিন্ন কারণেই বাচ্চাদের অনেক কথা টিচারদের দিয়ে বলানো বেশ সহজ। মজার কথা হল, যে সমস্যাগুলো আপনার কাছে আসবে, একটি চৌদ্দ বছরের বাচ্চা বা তার মায়ের কাছ থেকে, তার কোন অভিজ্ঞতা আপনার না-ই থাকতে পারে। কিন্তু আপনি কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একসময় সাপটি আবিষ্কার করেও ফেলতে পারেন। নিজস্ব অভিজ্ঞতা কিংবা চাক্ষুষ ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বইয়ে বাচ্চাদের এবং তাদের বাবামাদের (যারা আসলে বাচ্চাদের শুধু নন, মাঝে মাঝে তাদের সমস্যাগুলোরও জন্ম দেন) নিয়ে বিভিন্ন কাজ বা ঘটনা নিয়ে কথা বলবো। সুতরাং, এটি সে অর্থ উপদেশ বা প্যারেন্টিং শেখার বই নয়। একটু তত্ত্ব আছে, আছে অনেকটা গল্প। আছে হাসিকান্নার রোজাকারের দিনলিপি। বাচ্চারা বড় হয়ে গেছে, এমন কোন বাবামা হয়ত এই আনাড়ি লেখায় নিজেদের অতীত খুঁজে পাবেন। পাবেন অনেক ভুলও।
বইটির পাতা উল্টানোর সাথে সাথে লেখিকাকে একসময়-- এত কাছের, এত নিজের একজন মানুষ মনে হবে যে , তার সাথে দেখা না করা পর্যন্ত আর তার অতি সাধারন পরিবারের অসাধারন মানুষগুলোকে কাছ থেকে একবার না দেখা পর্যন্ত বইটা পড়ার সম্পূর্ণ হক্ব আদায় হবেনা।
Read all reviews on the Boitoi app
মারদিয়া আপু অসাধারণ মানসিকতা সম্পন্ন একজন লেখক। আপু আমার কাছে একজন সত্যিকারের এম্পাওয়ার্ড নারী।
আমি লেখিকার একজন ফলোয়ার, খুবই সাধারণ বিষয় বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। মজার ছলে জানিয়ে দেন বেশ ভারী ভারী কথা। বইটি পড়ে দেখুন, নিরাশ হবেন না।
মনে করার কিছু নাই। যা বলতে চাই তা হলো, লেখকের লেখার সাথে যাদের পরিচয় আছে তারা জানে তিনি কতোটা চমকপ্রদ লিখেন। বইয়ের রিডিং নিশ্চিতভাবেই একটা সুপারভ টাইম ট্রাভেল হবে রিডারদের জন্য সে কথা বুকে হাত দিয়ে বলা যায়।
খুব সহজ ভাষায় নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য অনেকেই নিজের সাথে রিলেট করতে পারবেন বইটি পড়ার সময়। হ্যাপি রিডিং...