অবক্ষয় কবলিত সমাজ কিংবা রাষ্ট্রকে হারানো মূল্যবোধ ফিরে পেতে হলে মানুষকে বিবাদ বিভাজন ভুলে একসঙ্গে জেগে উঠতে হয় অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের সপক্ষে জানবাজি সংগ্রামে। সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে বীরদীপ্ত অঙ্গীকারে নিজেকে জানান দিতে হয় অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্যের অদ্ভুত মানবিক প্রভায়। যে শুভ সূচনায় মানুষ ভালোবাসার আলোতে স্নান করতে চায় অত্যন্ত আনন্দ উৎফুল্ল মনে। মানুষের অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির লড়াই আদিকালের হলেও তা বিংশ শতাব্দীর শেষপ্রান্তে এসেও এর চাহিদা বিন্দুমাত্রও কমেনি; বরঞ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। ভাঙা গড়ার অসীম সাহসী খেলায় মানুষ তো বারবার জেগে উঠে জানান দেয় গতি ও প্রগতির আলোকধারায় নেচে ওঠে সৃজনশীল মানুষের মনোলোক। আমি একা জেগে উঠেছিলাম আমার হাজার বছরের গর্বিতসব আলোক উজ্জ্বল সোনালি অধ্যায়ের সোপান বেয়ে নিজস্ব শক্তি সাহসের উল্কা হয়ে। যখন দেখি আমার সব উজ্জ্বল অতীত ধ্বংসের মারণ কামড়ে ষড়যন্ত্র পাকায় সাম্রাজ্যবাদের এ দেশীয় দালাল শ্বাপদ শয়তান- তখন নিজ অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে সংকল্পে হই দৃঢ়মান ও হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের নানা কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা পিতার মহান আদর্শ পুনঃজাগরণের লক্ষ্যে দুঃসাহসিক নবঅভিযানে বলিয়ান হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। ইতোমধ্যে তিনি জাতির কাছে তাঁর দেওয়া সকল ওয়াদা শতভাগ পূরণে সফলতার সাক্ষর রেখেছেন।