দেশের কাওমি মাদরাসাগুলো মানুষ তৈরির কারখানা। এখানে যারা মানুষ হতে আসে, তাদের বলা হয় ‘তালেবে এল্ম’। মাদরাসাকর্তৃপক্ষ আর ওস্তাদবৃন্দ দিনরাত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যান এদের মানুষ বানানোর কাজে। যুগে-যুগে এখানেই তৈরি হয়েছেন এমনসব মানুষ, যাঁদের একজনের মৃত্যু আর একটা জগতের মৃত্যু সমান; যাঁদের একজনের অস্তিত্ব আর একটা জগতের অস্তিত্ব এক। এখানেই তৈরি হয়েছেন হজরত মাওলানা কাসেম নানুতবি, মাওলানা রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহি, মাওলানা মাহমূদুল হাসান দেওবন্দি, মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি, মাওলানা হোসাইন আহমাদ মাদানি, মাওলানা আশরাফ আলী থানবি, মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর, মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরি, শাইখুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা আহমদ শফী প্রমুখ হাজারো আলেমে দীন, যাঁদের একজনের অস্তিত্ব গোটা জগতের অস্তিত্ব আর যাঁদের একজনের মৃত্যু একটা জগতের মৃত্যু। সঠিক পথনির্দেশনা আর নির্ভুল নিয়মনীতির অনুসরণ ছাড়া কোনো লক্ষ্যেই মানুষ সফল হতে পারে না। লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের মুখ দেখতে হলে পথ চলতে হয় সরল রেখার ওপর বড়োদের দেখিয়ে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী। নিজের ইচ্ছামতো পথ চলে কেউ কোনোদিন কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। জীবনে যিনি যত বড়ো হয়েছেন, বড়োদের দেখানো পথে হেঁটেই হয়েছেন। কাওমি নেছাব আজও ক্ষমতা রাখে আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি, কাসেম নানুতবি, আশরাফ আলী থানবি তৈরি করার। প্রয়োজন সঠিক পথনির্দেশনা আর নির্ভুল নিয়মনীতির অনুসরণ।