নৈঋতা নিজে চা খাচ্ছে না। আচ্ছা ও কি এখনো সিগারেট খায়? তার প্রথমবার সিগারেট খাওয়া দেখে আমি অবাক হওয়ায় সে ঠিক 'বেসিক স্টিংক্ট' মুভিতে শ্যারন স্টোনের মত ভঙ্গি করে বলেছিল, "হোয়াট আর ইউ গোয়িং টু ডু, চার্জ মি উইথ স্মোকিং?" আমি হেসেছিলাম তার আত্মবিশ্বাস দেখে। সেদিন বুঝতে পেরেছি এই মানুষটা সহজে ভেঙে পড়বার নয়। যার মাঝে আমি সাধারণ কোন বাঙালি নারীকে দেখিনি কোনদিন, আজ আমার চিরচেনা সত্ত্বা ছাপিয়ে আমি আটপৌরে এক নারীকে দেখছি। মেলাতে পারছি না কিছুতেই। " আদনান কোথায়?" " আগেই এই প্রশ্ন? সহজ কোন প্রশ্ন দিয়ে শুরু কর," নৈঋতার সপ্রতিভ ব্যাপারটা আগের মত পাঁপড়ি মেলছে একটু একটু করে। আমিও সহজ হতে পারছি। " আচ্ছা। হুট করে সব না জানিয়ে চলে গেলে কেন? এতদিন কোথায় ছিলে?" " শেষ প্রশ্নটা ত বনলতা সেন করেছিল কবিকে, কেবল সম্বোধনে যা তফাত, " নৈঋতার চোখে কৌতুক। আমি হেসে ফেললাম। কত হাজারবার এই কবিতাটা শুনিয়েছি নৈঋতাকে। আর শেষ লাইনটা নৈঋতা প্রতিবার নিজে বলত।
খুব সুন্দর! খুব ভালো লাগলো।
Read all reviews on the Boitoi app
"পৃথিবীর খুব কম মানুষ স্বার্থহীন ভালোবাসা অনুভবের সৌভাগ্য নিয়ে জন্মায়। যদি কোনদিন কোন কারণে কারো জন্য এই অনুভূতি জন্মায় নিজেকে সৌভাগ্যবতী বা সৌভাগ্যবান ভাবা উচিত। আর তাকে পাবার জন্য সব চেষ্টা করা উচিত।" শরীর কোনদিন মনের বাইরে যেতে পারেনা মনের জন্মই হয়েছিল শরীরের জন্যে। ছোটবেলা হতেই নৈঋতা জানত শরীর আর মনের চাহিদা এক নয় সে জানতো তার বাবা এবং মা দুজনের আলাদা মানুষ আছে পৃথিবী আছে। এটাকে স্বাভাবিক ভেবে বড় হবার পর নিজের জীবনটাকে পরিচালিত করেছিল এভাবেই। এটা কি সঠিক না ভুল আমরা জানতে পারি সব শেষে নৈঋতা ভাষ্যে!
অন্য ধরনের একটা চরিত্র। খুব সুন্দর। অনেক ভালো লেগেছে। এতো অল্প টাকায় এতো চমৎকার গল্প পড়তে পারলাম, ধন্যবাদ বইটই।