আরাফাতের বাবার সাথে সাথে তার মামাও ভিতরে ঢোকেন। যেন নিষ্পাপ ঘুমন্ত বুকের মানিক তার আজ এই ৩নং ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর বেডে নিস্তেজ শুয়ে আছে। দু'জনার চোখ বেয়ে খরস্রোতা নদী ধেয়ে আসে। ওরা ভাইবোন দু'জনই ভিতরে ঢোকে। ঘুমন্ত ভাইকে দেখতে খুব ভালো লাগে। কী সুন্দর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আরাফ ভাইয়া- হাত বাড়াতে গিয়ে বাড়ায় না। পাপিয়াকে দিশান টেনে ধরে। ওরা দু'জনই যতোটা না মর্মাহত তাদের ভাইকে দেখে তার থেকেও অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে ঘুমন্ত ভাইয়ের বেডের দুই পাশে দু'জন পুলিশের বসে থাকা দেখে। বুকের ভেতর অজস্র চাপাব্যথা আর প্রশ্ন নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে আসে।