অন্য প্রেমের গল্পগুলোর মতো এখানেও দু'জন মানুষ পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু একজন ক্ষ্যাপাটে সুপারস্টার নায়িকা আর একজন অত্যন্ত গোছানো স্বভাবের উঠতি নায়কের প্রেমে পড়ার গল্পটা কি এতটাই সহজ ছিল? যাদের জীবনদর্শন আলাদা, জীবনযাপনের অভ্যস্ততা ভিন্ন, এমনকি নৈতিক অবস্থানেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। ব্যক্তিত্বের সংঘাত সত্বেও ভালোবাসা তো হয়েই গেল, কিন্তু এর স্থায়িত্ব কতটুকু? আর গভীরতা? ভালোবাসা হলোই বা কীভাবে? এই জার্নিটুকুর স্বাক্ষী হতে চাইলে সবাইকে আমন্ত্রণ 'অতঃপর তাহারা' পড়ার জন্য।
উফ্ফ এক বসাতে শেষ করলাম, সেই সুন্দর!
Read all reviews on the Boitoi app
প্লটটা দারুণ। শুরু করার সময় ভাবিই নি শেষটা এতোটা ছুঁয়ে যাবে। লেখনী ফ্ললেস আর গল্পের শিকড়টা বেশ গভীর৷ আমার দারুণ লাগলো ইবুকটা৷ তবে হ্যা কিছু জায়গায় সিলভিয়া "সিনথিয়া" হয়ে গিয়েছিল😑।
দুই মেরুর দুইজন মানুষের এক হওয়ার গল্প,ভালো লাগলো।❤️
অতঃপর তাহারা গল্পের লেখক নুসরাত জাহান লিজাকে নিয়ে কিছু বলার নেই, তিনি তার লেখনীর নিজস্বতা দিয়ে ইতোমধ্যে নিজের একটি পাঠক শ্রেণী তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। গল্পটি নিয়ে যদি বলি- তীব্র বৈপরীত্য স্বত্তেও ভিন্ন ব্যক্তি মানসের দুটি মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সৌহার্দ্য বোধ সৃষ্টির এক অপরূপ আখ্যান অতঃপর তাহারা। গল্পের বর্ণনা ভঙ্গি ও ভাষা বেশ সরল ও প্রাঞ্জলভাবে লিখিত হওয়ায় পড়তে ভালো লেগেছে। এবার খারাপ লাগার দিকটা একটু বলি - ঝুমার সিলভিয়া হয়ে ওঠার গল্পটা লেখকের ধারা বর্ণনার মত করে নাম পুরুষে লেখাটা অসামঞ্জস্য ঠেকেছে। ঝুমার সিলভিয়া হয়ে ওঠার গল্পটা ঝুমাকে দিয়ে বলালেই ভালো লাগতো। ১৯ অনুচ্ছেদে সিলভিয়া নামটি বেশ কয়েকবার সিনথিয়া লেখা হয়েছে। রেহান-সিলভিয়া জুটি হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর রেহানের সেই পূর্বেকার ব্যক্তিত্ব আর দেখা যায়নি। উপরন্তু তাকে দেয়া মা ও সিলভিয়ার বিয়ে নিয়ে চমক অবাস্তব মনে হয়েছে। গল্পের শেষটা একটু অগোছালো আর তাড়াহুড়ো করে শেষ করা হয়েছে মনে হয়েছে। আরেকটু সুস্থিরভাবে গুছিয়ে শেষ করা গেলে শেষটা পরিপূর্ণতা পেতো।
ভীষন মিষ্টি একটা গল্প।রূপালী জগতের দুই ভিন্ন মেরুর মানুষ একজন শত শত প্রাপ্তির মাঝে থেকেও মনের মাঝে বিষাদ নিয়ে কি ভীষন একাকিত্বে রয় অপরজন একা থেকেও সুখে রয়। ভাগ্য তাদের মুখোমুখি আনে।দুই প্রতিপক্ষের একান্ত নিজের হয়ে ওঠার এই গল্প টা ভীষন সুন্দর।আশা করি গল্প টা আরো পাঠকপ্রিয়তা পাক।আগামীর জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপু।
"অতঃপর তাহারা " এক অন্য ধারার লেখা। তোমার যতগুলো লেখা পড়েছি প্রত্যেকটা লেখাই চরিত্রগুলোর জীবন অন্যরুপে ফুটে উঠেছে। এখানে রেহান চরিত্রটি খুবই স্ট্রং পার্সোনালিটি স্বরুপ। সিলভিয়ার সাথে তার ক্যাট ফাইট দারুণ উপভোগ্য ছিলো। কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর হচ্ছে তার জানার আগ্রহ, একটা মিথ্যা জীবন, সিলভিয়া নামক মেয়েটির নিত্তনৈমিত্তিক মুখোশের আড়ালের, সত্যিকারের ঝুমুকে জানার আগ্রহ। আর সিলভিয়ার টিকে থাকার তাগিদে নিত্তনৈমিত্তিক যে লড়াই, সে পর্যায়ে সে আছে তাতে পৌছানোর সংগ্রামটা তাকে পরিশ্রমী সংগ্রামী নারী হিসেবে অনন্য রুপ দিয়েছে। তোমার লেখার চরিত্রগুলোর বিকাশ লেখার ধারাবাহিকতায় হয়। এটা খুবই মনোমুগ্ধকর। সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলে চরিত্রগুলো তাদের স্ব স্ব জায়গায় হয়তো চঞ্চল, হয়তো সহজ-সরল ইত্যাদি। কিন্তু লোকচক্ষুর আড়ালে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি দিয়ে দেখে প্রকৃত মানুষটাকে উপলব্ধি করার যে দিকটা রয়েছে তা সত্তিই খুবই অনিন্দ্য সুন্দর। তার উপর লেখার প্লটটা খুবই অসাধারণ। এসব জায়গায় মানুষকে কিভাবে এস্টাবলিশ হতে হয়! কতশত মানুষের জীবনের কাহিনি ফুটে উঠে লেখায়। ঝুমুর বাবা নামের আড়ালের পশুগুলোর বাস আমাদের সমাজে অহরহ। এদের পরিণতি খুবই নির্মম হওয়ায় উচিত। রেহানের মায়ের চরিত্রটি অসাধারণ লেগেছে। আমি যখন ই-বুকটি পড়ছিলাম কখন শেষ হয়েছে টেরই পাইনি। মন বলছিলো আরেকটু দীর্ঘ হলে কি হতো! অসংখ্য ভালোবাসা আপু এতো সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
সুন্দর গল্প!❤️
Osadharon
পরিপাটি লেখনীতে সুন্দর একটা গল্প। ভালো লাগলো পড়তে।