নিরবতা ভেঙ্গে রুহি বলে উঠলো, আমি একজন ধর্ষিতা। বিয়ের আগে এই সত্যি কথাটা বলে দেয়া উচিত বলে মনে করি আমি। আপনার যদি সব জেনে শুনে আমাকে বিয়ে করতে আপত্তি না থাকে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু সত্যিটা গোপন রেখে, আপনাকে অন্ধকারে রেখে ঠকাতে পারবো না আমি। তাতে যদি আমাকে সারাজীবন অবিবাহিত হয়েই থাকতে হয় তবে থাকবো। ছেলেটা অবাক দৃষ্টিতে রুহির দিকে তাকিয়ে আছে। একটা ধর্ষিতা মেয়েকে কোনো ছেলে তার স্ত্রী হিসেবে মানলেও বাড়ির লোকেরা কখনো এমন মেয়েকে বউ করে তাদের ঘরে নিয়ে যাবেনা। রুহিকে দেখতে আসা পাত্র ভাবলো, কথা না বাড়িয়ে এখানেই সম্বোন্ধটা ক্যান্সেল করে দিতে হবে। ছেলেটা একটু ইতস্তত হয়ে বলল, আসলে আমি বলতে চাচ্ছি যে...... রুহি বলল, বুঝতে পেরেছি আপনি কী বলতে চাইছেন। সমস্যা নেই। এরকম প্রশ্নের সামনে আমি বহুবার পড়েছি। তাই এখন আর আমার উত্তর দিতে কোনো সমস্যা হয় না। আপনি আমার সেই সময়ের অনুভূতির কথা জানতে চাইছেন তাই তো? আরে না না। আপনি ভুল ভাবছেন। আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। দেখুন আমাদের বংশ বেশ উঁচু। সমাজে আমাদের একটা সম্মান আছে। আর আমার বাবা-মা এই কথা জানতে পারলে কখনই রাজি হবেন না। সংসার কি আপনার বাবা-মা করবেন? জ্বি? বুঝলাম না। রুহি খুব সহজভাবে আবারও বলল, সংসার কি আপনি করবেন নাকি আপনার বাবা-মা করবেন? ছেলেটা বলল, সংসার আমি করলেও আমার ফ্যামিলির বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে পারবো না। আগে জানলে হয়তো আমার বাবা-মাও আপনাকে দেখতে আসতে রাজি হতেন না। একথা বলেই ছেলেটি চলে গেল। এরপর? কী হলো রুহির? সে কী সমাজের দেয়া কলঙ্ক গায়ে নিয়ে সামনে এগোতে পেরেছিলো? কেউ কি এসেছিলো তার এই কলঙ্ক মাখা জীবনে? জানতে হলে পড়তে হবে জান্নাতুল ইভার নতুন ই-বুক "দ্বিতীয় বসন্ত"।
রুহী আর ধ্রুবর চেষ্টায় দাদার ভালোবাসা বিয়েতে পরিণতি পেলো। ধ্রুবর মন মানসিকতা নিয়ে অসংখ্য ধ্রুব জন্ম নিক, রুহীরা ভালো থাকুক।
Read all reviews on the Boitoi app
অনেক সুন্দর 🤍🤍