পৃথিবীর সব পাখি খাঁচায় বন্দী নয়, কিন্তু বেশির ভাগ নারীর জীবনটা শুরু-ই হয় বন্দিশালা থেকে। তাদের মুক্তির জীবন কেমন একটা অনিশ্চিত। একটু ডানা মেলে স্বাধীন ভাবে মুক্ত আকাশে উড়বে তার কোনো সুযোগ নেই। নিজের মত করে ঘুরে উড়ে বেড়াবে তারও কোনো সম্ভাবনা-ই নেই। তাকে সর্বদা, বাবা, ভাই বা স্বামী নামক কোনো এক পুরুষের আয়ত্তে থাকতে-ই হবে। তা না হলে, সেই নারীটিকে সকলে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে হাত বাড়াতে চাইবে। কত কঠিন আর কত নিষ্ঠুর এক নিয়ম এই সমাজের তাই না! যা কেবল শুধু নারীর ক্ষেত্রে-ই প্রযোজ্য করা হয়ে থাকে। এই গল্পের প্রধান নারী চরিত্রটি হলো, চন্দ্রা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ সে এতিম। অন্যের দুয়ারে, এক প্রকার আশ্রিতা হয়ে-ই কাটে তার জীবন। অবহেলায়, লাঞ্ছনায় পার হয় তার বাল্যকাল। পৃথিবী জুড়ে ছিল তার একজন আপন মানুষের বড্ড অভাব। তবে তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পাগল হওয়া পুরুষের অভাব ছিল না আশেপাশে। সবাই তাকে কেবল পেতে চাইত। কেউ ছিনিয়ে, কেউ ক্ষমতার জোরে। ভালোবাসার কোনো দাবি ছিল না সেখানে কখনো। তবে কোনো এক বসন্তের মত চন্দ্রার জীবনে প্রেমের বার্তা নিয়ে আসে এক প্রেমিক পুরুষ। সে পুরুষকে আগলে ধরে চন্দ্রা বাঁচতে শিখে। স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ভাগ্য তার আবারও নিজের খেলায় মেতে উঠে। চন্দ্রার সুখের ঘরে নজর পড়ে এক মানব রুপে দানবের। সে দানবও তাকে ভালোবেসে নয়, বরং নিজের মুখশের আড়ালে ক্ষমতার জোরে চন্দ্রাকে হাছিল করার পরিকল্পনায় নামে। নিজের সোনার খাঁচায় বন্দি করতে চায় নারীটিকে। আর সেই দানবের নিষ্ঠারতায়, একদিন চন্দ্রা তার ভালোবাসা হারায়। হারিয়ে ফেলে আবারও তার নিজের শেষ ভরসার স্থানটুকু। তারপর কি হয়? সে দানব কি পায় তার কাঙিত নারীটিকে? জানতে হলে পড়তে হবে 'বন্দি খাঁচার পাখি' গল্পটি। একটা অসহায় মেয়ে আর এক মানব রুপে দানবের প্রেমকাহিনী। মিথ্যে, অহংকার আর ক্ষমতার অসীম ব্যবহার দেখতে পাবেন এখানে। আর পাবেন, সমাজের কিছু নিষ্ঠুর কাহিনী, যা ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গল্পে।
এই গল্পটি প্রথম আমি ফেবু তে পড়া শুরু করে ছিলাম। কিন্তু কোনো কারণ বশতঃ আমি শেষ করে উঠতে পারিনি। ব্যস্ততার কারণে। পরে যখন সময় হলো, তখন লেখিকা আপু ডিলিট করে দিয়েছিল। কিন্তু এই গল্পের বাকি অর্ধেক জানার জন্য আমার মনে আকুলতা রয়েই গেল। এরপর আমি এটার ইবুক কিনেই ফেললাম। অসাধারণ গল্প লিখেন আপনি। আগেও আপনার গল্পের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করতাম। আর বন্দী খাঁচার পাখি, মন ছুঁয়ে যাবার মত একটা গল্প। আমি যখন পড়তে শুরু করলাম, নিজেকে যেন ঐ গল্পে ঢুকিয়ে ফেললাম । অসাধারণ ও সাবলীল বক্তব্য 🥰
Read all reviews on the Boitoi app
অনেক সুন্দর
"বন্দী খাচার পাখি" গল্পটা আমি ইউটিউবে শুনেছিলাম ভয়েস আর্টিস্টদের থেকে,শুনে হাসবেন হয়তো আমি তখন বা তার আরও অনেক পরেও জানতাম না ফেসবুকে লেখিকা রা গল্প লিখে। চিন্তা করতাম এই গল্প পায় কোত্থেকে। যাই হোক এই গল্পটা আমি তখন যে কতবার কতবার শুনেছি হিসাব নাই।ফেসবুকে গল্প সম্পর্কে যখন জানলাম তখন তা ডিলিট। ই-বুক বা বই আসবে শুনেছি।আমি ভেবে রেখেছিলাম প্রথম ই-বুক ক্রয় আমার এইটা হবে, এতদিন কিনে নাই এখন এটাই আমার প্রথম ই-বুক। আপনার লিখনী, গল্প সম্পর্কে বলবো না উপরের লিখা থেকেই বুঝতে পারবেন আমার মনোভাব।সাফার মির্জা আমার প্রিয় একটা চরিত্র ধূর্ত,খুনি বিভিন্ন নেগেটিভ দিক থাকার পরও প্রিয় কারণ ঐ যে আমাদের প্রতিটি মানুষের মাঝেই নেগেটিভ দিক থাকে সামনে আসলে খারাপ নইলে পৃথিবীর সবাই ভালো। অনেক বড় লিখে ফেলছি,ভালোবাসা রইল❤️❤️❤️❤️❤️❤️
আমার লাইফে পড়া বেস্ট একটা গল্প। অনেক আগে ফেসবুকে পড়েছিলাম। আর ফেসবুক থেকে কেটে দেয়ায় খুব মিস করেছি। লেখিকা আপু প্লিজ আরো এই ধরনের গল্প আমাদের উপহার দিবেন।
অসাধারন ❤️
এই পার্ট ফেইসবুকে পুরাটি পড়ছি। আমার পছন্দের গল্প তাই কিনে ফেলছি। দুইবার পড়লাম। আবারো পড়বো এতো দারুণ একটা গল্প।
আমার খুব প্রিয় একজন লেখিকার বই এটা,, খুব করে অপেক্ষায় ছিলাম আজকে বইটা শেষ কিনতে পারলাম,, আলহামদুলিল্লাহ।। ❤️❤️❤️❤️
এক কথায় অসাধারণ ❤️✨
অবশেষে আমার প্রিয় উপন্যাসের প্রথম খন্ড পরে শেষ করলাম আরো একবার।।❤️ প্রিয় উপন্যাসের তালিকায় বন্দি খাঁচার পাখিটাও অময় হয়ে থাকবে সবসময়।। দ্বিতীয় খন্ডের অপেক্ষায় আছি, প্রিয় লেখিকা আপুুু🥰 ( আমি খুব করে চাই আপু তোমার এই উপন্যাসটি বই হিসেবে প্রকাশ হোক, তাহলে হয়তোবা প্রিয় বইয়ের তালিকায় নিজের সংগ্রহে থাকবে চিরকাল। বৃদ্ধ বয়সে যখন এসব ইন্টারনেট ব্যবহারে অনিহা থাকবে, তখন হয়তো ❝ সাফার আর চন্দ্রার ❞ গল্পকাহিনীটা আরো একবার পড়া হবে বই হতে ) 🥰🥰
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছি। আশা করি এবারও বাস্তবতার ছোয়া পাব।