দাম্ভিক বাবার আদুরে মেয়ে সাধনা। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ আদর-আহ্লাদে বেড়ে উঠেছে সে। বাল্যকালের ভালোলাগা থেকে কৈশোরের ভালোবাসা—সবটাই জুড়ে ছিল তার আরাধ্য ভাই। মনের গভীরে গড়ে ওঠা সেই অপ্রকাশিত, অঘোষিত প্রেম হঠাৎ করেই বদলে যায়, যখন অপ্রত্যাশিতভাবে সে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ভালোবাসার মানুষকে পেয়েও হাজারো সংশয়ে জর্জরিত সাধনা। অন্যদিকে, আরাধ্য তালুকদার—গম্ভীর, জেদি, অন্তর্মুখী স্বভাবের এক মানুষ। কারও সামনে কখনও নত না হওয়া সেই ব্যক্তিটি ভালোবাসার কাছে একদিন মাথা নত করে। বহু বছর ধরে মনের গহিনে ‘সেনিওরিতা’ নামের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল তার প্রেয়সীর ছবি। কিন্তু সেই সেনিওরিতা কে? সাধনা কি কখনও জানতে পারে সেই রহস্য? হঠাৎ একদিন, তিক্ত এক সত্যের মুখোমুখি হয় সাধনা। প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে আঘাত পেয়ে তার ভালোবাসার রঙ কি আগের মতোই থাকে? কোলাহল, ষড়যন্ত্র, দম্ভ আর ইগোর এই যুদ্ধে কি দুজন এক হতে পারে? নাকি প্রতিশোধ আর অভিমান জিতে যায়, আর তাদের প্রেমকাহিনী অসম্পূর্ণই থেকে যায়?
অসাধারণ একটা গল্প💖
Read all reviews on the Boitoi app
অনেকদিন পরে এরকম ধরনের কোনো পটভূমিতে গল্প পড়া হলো আমার । ইদানিং সাধারণত এরকম ধরনের পটভূমিতে খুব একটা গল্প পড়া হয় না । ইদানিং আমার পাঠক মনে একটু গম্ভীর ধরনের, কিংবা অন্যরকম আবেশে মাখা কোনো গল্প খুঁজে বেড়ায় । পুরোপুরি ভালোবাসার গল্পে, কিছু কাব্যিক আবহ তৈরি করে ছোট ছোট সাধারণ সংলাপে তৈরি করা গল্পগুলোতে ইদানিং আমার কেনো যেনো খুব একটা আগ্রহ আসে না । তবুও এই পটভূমিটা বেশ সাধারণ । সাধারণ হলেও গল্পে সেভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে যেন । হয়তোবা এরকম পটভূমিতে এরকম ভাবে গল্প ব্যবহার করার জন্যেই গল্পটা বেশ ছিল । পটভূমিতে প্রেক্ষাপটও তাই এসেছে বিভিন্ন আপেক্ষিকতায় । তবে প্রেক্ষাপটে কিছুটা খাপছাড়া হাবভাবে কখনও কখনও আমি অবাক হয়েছি । একেকটা প্রেক্ষাপট পূর্ণতা পেয়ে শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই অন্যরকম ভাবে এলোমেলো ভাবনা চিন্তা করে গল্পে নতুন রকমের প্রেক্ষাপট এসেছে । এতকিছুর মিশেলে গল্পে যে সংযোগ এসেছে, তা ভীষণই অস্বস্তিকর এবং খারাপ লাগার মতো । এরকম একটা সময়ে গল্পের প্রেক্ষাপটে দৃশ্যপটে তাই খুব একটা আসলে করার কিছুই ছিল না । যতটুকু করা হয়েছে তা শুধুই মিলেমিশে যাওয়ার মতো ছিল । এই গল্পে সাধারণত বর্ণনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির স্থান একটু কম । এরজন্যই কিনা জানি না, গল্পে আবহের জায়গাতেও কোথাও একটা খামতি রয়ে গিয়েছে । আবহের অংশও খুবই কম ছিল । এই গল্পের চরিত্র গঠনের বিষয়টিতেও একটু মনোযোগ দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল । যেহেতু গল্পের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ এবং মোড় চরিত্র গঠন এবং সংলাপের দিক থেকেই এসেছে । গল্পে যেহেতু আবহের জায়গাতেও সূক্ষ্ম উপস্থিতি কম ছিল, তাই চরিত্রের গঠনের দিকে আরেকটু সময় দেয়া উচিত ছিল । সাধনা, আরাধ্য দুইটি চরিত্রের গঠনেই কোথাও একটা যেন অসম্পূর্ণতা । আরেকটু সময় নিয়ে তৈরি করা যেতে পারতো যেন চরিত্রগুলো । কোথাও একটা আলগোছে যেন চরিত্রগুলো ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু পূর্ণতা তবু পাচ্ছিল না । লেখক সাজিয়ানা মুনির এর লিখনশৈলীর সাথে আমার তেমন একটা পরিচয় নেই । এটাই তার লেখা প্রথম পড়া কোনো গল্প ছিল । তবুও আমার মনে হয়, হয়তো সাধারণ কোনো পটভূমি বাছাই করা হবে । তবে একটা পটভূমিতে কিভাবে গল্পটা সাজিয়ে তোলা হবে, চরিত্র গঠন করে প্রেক্ষাপট সাজিয়ে একে একে গল্পে ধাঁচ নিয়ে আসা হবে । দৃশ্যপটে অদ্ভুত এক সুর এনে সবকিছু মিলিয়ে নিয়ে ফেলা হবে । সেগুলোর দিকে আশা করি লেখক নজর রাখবে । এই গল্পে সবকিছুই যেন অর্ধেক হয়ে রয়ে গিয়েছে, কোথাও একটা পূর্ণতা পাওয়ার আক্ষেপ রয়ে গেল । হয়তো কিছু, সামান্য শব্দগুলো যুক্ত হলে এই আক্ষেপগুলো আর থাকতো না । গল্পে প্রচুর বানান ভুল রয়েছে কোথাও কোথাও টাইপিং মিস্টেকও যেন অহরহ নিজেকে দেখিয়ে দিচ্ছিল । সাধারণত এই রকম অবস্থায় গল্প পড়তে কোথাও একটা মনোযোগ নষ্ট হয় । আশা করি সেদিকেও নজর রাখা হবে । লেখকের লেখার জন্য শুভকামনা রইলো । রেটিংঃ ৩.৫/৫
লেখনী সুন্দর, স্বচ্ছ ছিল। আরাধ্য চরিত্রটা শুধুমাত্র ভালোবাসার❤️ এই গল্পে আমার সবচেয়ে বিরক্তির কারণ ছিল নায়িকা। তবুও মা-শা-আল্লাহ্, বেশ তৃপ্তি পেয়েছি পড়ে❤️
গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
বই টি দুইবার কিনতে হয়েছে 😐 প্রথম বার আসেনি তাই আবার কিনলাম 😔
অনেক ভালো লাগছে। আপুর গল্প মানেই অসাধারণ কিছু
বইটই এ পড়া প্রথম গল্প। অসাধারণ ছিল।
আপু,আমি আপনার প্রিয় প্রতিশোধ আর ফিলোফোবিয়া পড়ছি। আমার এখন পর্যন্ত ফেসবুকে পড়া সব গল্পের মধ্যে ১ নাম্বারে আছে প্রিয় প্রতিশোধ। প্রিয় প্রতিশোধের ধারে কাছে এখন পর্যন্ত আপনার এবং ফেসবুকেও কোনো গল্প নাই (নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত) ফিলোফোবিয়া মোটামোটি ছিলো। কিন্তু এই সেনিওরিতা একদম-ই ভালো লাগে নাই। আমার মনে হইলো এইটা পড়ে আমার টাকাগুলা জলে দিছি। যেহেতু এই ই-বুকগুলা আমাদের টাকা দিয়ে ক্রয় করা তাই আশা করবো গল্পগুলোর মানও আপনি ভালো করবেন। আর আপনার সবসময় গল্পের থিম প্রায় একই রকম লাগে আমার কাছে (নায়ক-নায়িকার মান অভিমান হয়। তারপর নায়িকা,নায়কের কাছে যেতে চায় না। তারপর নায়ক পাগিলামি শুরু করে আর আপনার সবগুলা গল্পের ভাষার ব্যবহারও প্রায় কাছাকাছি)। আশা করবো আপনি আপনার গল্পে নতুনত্ব আনবেন,নতুন থিম আনবেন,ভাষার-শব্দ চয়নে সৃজনশীলতা দেখাবেন। আর আমি কাউকে টাকা খরচ করে এই গল্প পড়ার জন্য উৎসাহিত করি না। আর এই গল্পের কোয়ালিটি অনুযায়ী টাকার পরিমানটাও বেশি। এই দিকটা আপনার একটু খেয়াল রাখা উচিত ছিলো। কারন এতো টাকা খরচ করে লেখার কোয়ালিটি খারাপ হলে পরবর্তীতে আপনার নতুন কোনো ই-বুক কিনতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে।
গল্পটি ভালো লেগেছে তো বানানের দিকে আরেকটু যত্নশীল হবেন আপু।
সাজিনা আপুর জন্য অনেক শুভ কামনা।।।অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখনি আমাদের উপহার দেয়ার। ।।❤❤❤