দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আশফিক তাই বলে দিলো, 'মৌখিক তালাকই যথেষ্ট আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে। যেহেতু আইনি স্বীকৃতি নেই। আর বিচ্ছেদ যখন হবেই দেরি করে আমার আকাঙ্ক্ষা আর বাড়াতে চাই না। তুমি শুনতে প্রস্তুত, মাহি?' অন্তর প্রদেশে কেয়ামত নেমে এলো যেন মাহির কথাটা শুনতেই। হ্যাঁ, এটাই চাওয়া ছিল ওর৷ কিন্তু আশফিকের মুখে তালাক শব্দটা শোনার ক্ষমতা কি আদতে হবে? দু'জন দু'জনের অস্তিত্ব অনুভব, আর কথাটুকু শোনা ছাড়া কেউ কারও মুখটা দেখতে পাচ্ছে না৷ আশফিক তবুও মাহিকে দেখবার বৃথা চেষ্টা করে ওর দিকে দৃষ্টিপাত করে শুধাল, 'তুমি কি আরও কিছু বলতে চাও? তুমি আজ যা চাইবে তা-ই হবে।' বলেই আশফিক উঠে পড়ল৷ ফোনের আলোটা জ্বালিয়ে আশপাশ থেকে খড়কুটো কুড়িয়ে আনার বাহানায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পালাল৷ মাহি বসে এক নিষ্প্রাণ প্রস্তরে পরিণত হলো বোধ হয়। ঠিক চার বছর পূর্বের মতোই আকস্মিক দু'হাতে মুখ চেপে হুহু করে কেঁদে উঠল। কতক্ষণ পার হয়ে গেল যেন কান্নার মাঝে৷ আশফিক লাকড়ি সংগ্রহ করে ফিরল। মাহি ওর উপস্থিতি বুঝে দ্রুত চোখ-মুখ মুছে নিলো। বসে পড়ে আগুন জ্বালানো শেষ করেই আশফিক মাথা তুলে পূর্ণ দৃষ্টি নিবদ্ধ করল মাহির চোখে৷ মাহিও আকুলতায় চেয়ে ছিল ওর পানেই৷ এগিয়ে এসে ওর খুব কাছে এসে আশফিক বসতেই ও জিজ্ঞেস করল, 'তুমি বলতে পারবে তো?' আচমকা জড়িয়ে ধরল আশফিক ওকে, ফিসফিস করে বলল, 'যদি বলো এটাই আমাদের শেষ আলিঙ্গন তাহলে এভাবেই তোমার কানেকানে উচ্চারণ করব।'
অসাধারণ লেখায় মনোমুগ্ধকর হয়ে মনের গভীরে দাগ কেটে যাওয়া একটি উপন্যাস। ভালোবাসা অবিরাম আপু।
Read all reviews on the Boitoi app
চমৎকার হয়েছে। আশফি মাহি বরাবরই প্রিয় জুটি। যখন প্রকাশ হয়েছিলো তখন কিনা হয়নি তাই এই ইবুক মেলায় কিনে ফেললাম। বইয়ের পৃষ্টা হিসেবে দাম আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে। অনেক ভালো লেগেছে আপু। এই ইবুক মেলায় তোমার বই এর অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু আফসেস পেলাম না।
আমি সেই ছোট বেলা থেকেই গল্পের বই পড়ি। বই ছাড়া আমার চলে না। আমি এত জীবন ধরে গল্প উপন্যাস পড়ছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো নায়িকার উপর ড্যাম ক্রাশ খাইনি। কখনো না ! নেভার। কারণ সকলের প্রতি মায়া দয়া বা ভালবাসা এসেছে কিন্তু ক্রাশ খাওয়ার মতো কাউকে ভালো লাগেনি। কিন্তু মাহিয়ান আমাকে বাধ্য করেছে ক্রাশ খেতে। তাকে নিয়ে আমি এখনো মজে আছি। ওর সবকিছু জোশ। ওর রাগ ওর অভিমান ওর প্রতিশোধ আর সবচেয়ে এট্রাক্টিভ হচ্ছে ওর চয়েস ইন প্রফেসন। আমি ভাবতে পারিনি বাংলাদেশের কোনো মেয়ে এ ধরণের প্রফেশন চুজ করবে। এবং প্রফেশনালি লিভ করবে। আমি ভেবেছি একটা সময় ছেড়ে দিবে হয়তো বাট শি লিভড হার লাইফ এজ লায়োনেস। হ্যাটস অফ গার্ল 😘 ইউ জাস্ট ওন মাই হার্ট ! আশফিক, পাগলা আশফিক ! একটা মানুষ কতোটা ডেডিকেটেড হতে পারে তার হোক টুটা ফুটা কিন্তু তবু তো রিলেশন; এর জন্য, ও প্রমাণ। হ্যাঁ, ও একটা মারাত্মক ভুল করে কিন্তু ও এটার মূল্য ও পরিশোধ করে। তার একাগ্রতা পাগলামি আর প্রতিনিয়ত মানানোর চেষ্টা দিয়ে। আই রিয়েলি এঞ্জয়েড হিজ পাগলামি। লাস্ট পর্যন্ত মাহির উপর বুঁদ হয়ে থাকা। এতো ভালো লাগছে। ওর রাগ জেদ আর ওর হুটহাট নিয়ন্ত্রণহীনত। আশফিকের জন্য একটা কথা খুব মানায় -- Charasazon Ki Chara Sazi Se , Dard Badnam To Nahin Hoga! Han Dawa Do, Magar Ye Batla Do, Mujhe Araam To Nahin Hoga.. (Jaun Elia)
আশফি মাহি এই দুইটা নাম আমার অন্তরের অন্ত:স্থলে তো সেই ২০১৯ থেকেই আছে! আজ এই ই বুক টা পড়ে আরও একবার ওদের রোমান্থন করে নিলাম! দ্যুতি আপুর এই ই বুক টা একটা সাহসী লেখাই বলবো! অসাধারণ 🤍 সকল ব্যস্ততা কে পেছনে ফেলে টানা দুদিন আমি আশফিক জাওয়াদ আর মাহিয়ান কে পড়লাম! ওদের পেশা ওদের সাহসিকতা, সংগ্রাম, প্রেম, বিচ্ছেদ, ভালোবাসা, পাগলামি, আবেদনময়ীতা সব কিছু মন থেকেই যেন অনুভব করলাম! মাহি আর ওর আত্মসম্মান এবং সাহসিকতা just took my heart❤️🥺 আশফি এর ভালোবাসা, জিদ, আকাঙ্খা সর্বোপরি তার বউয়ের জন্য পাগলপ্রায় হয়ে যাওয়া সব কিছু এত মুগ্ধময় যে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না "রোদ্দুরে ভেজা বুকপকেট" এক অসাধারণ রোমান্টিক এডভেঞ্চার যাত্রা ছিল🤍
এক কথায় দুর্দান্ত একটি উপন্যাস। পড়া শুরু করার পর বিরতি নিতে ইচ্ছা করছিল না। আশফিক আর মাহির মধ্যকার সবগুলো মূহুর্তই ছিল অসাধারণ। কিছু জায়গায় সম্পাদনার দরকার ছিল। কিন্তু সবমিলিয়ে খুব উপভোগ্য একটি উপন্যাস।
খুব চমৎকার একটি বই।
রোদ্দুরে ভেজা বুকপকেট🍁 গল্পটা ফেবুতে কয়েকটি পর্ব পড়ার পর আর পড়া হয়নি বিভিন্ন ব্যাস্ততার জন্য। তবে গল্পটা তীব্র ইচ্ছে ছিলো আর সেটা বইটই এ ই-বুক প্রকাশ করার মাধ্যমে পূরণ হলো গল্প পড়ার ইচ্ছেটা❤️🩹 দ্যুতি আপুর লেখনী বরাবরই অসাধারণ 🍁 আপুর সব গল্পই পড়েছি অসাধারণ লেখিকা তিনি। আশফি মাহি দুটো খুবই প্রিয় জুটি। গল্পের শুরুতেই দুজনের আলাদা হওয়ার ব্যাপারটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ছিলো।আশফি ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হওয়ার স্বপ্ন ও মাহীর আকাশে উড়ার স্বপ্ন নিয়ে তাদের মধ্যের ভালোবাসা সেই সাথে পারিবারিক সমস্যা,, বিশ্বাসঘাতকা ও দেশের জন্য করা লড়াই নিয়ে গল্পটা বেশ লেগেছে। গল্পটাকে পুরোদমে রোমান্টিক বলা যায় না সেটা গল্পের মাঝামাঝি আসলেই বুঝা যায়।তবে এই হাজার সমস্যার মধ্যে আশফি মাহির ভালোবাসাটাই ছিলো সবচেয়ে মুগ্ধকর। তবে এতো তারাতাড়ি শেষ হয়ে গেলো গল্প🥹 গল্প পড়তে পড়তে কখন যে গল্পের মাঝে ডুবে গেছিলাম বুঝতেই পারিনি🥹 গল্পটা আরও বড়ো হলে ভালো হতো ❤️🩹
কিনেছিলাম প্রথমদিনই কিন্তু অসুস্থতা আর ব্যাস্ততায় পড়া হয়নি এতদিন। যাক অবশেষে পড়ে শেষ করলাম। অনেক ভালো লাগলো আশফি মাহীকে আবার নতুন রূপে পেয়ে। ফেসবুকে পড়া গল্পের চরিত্র গুলোর মধ্যে আশফি-মাহী চরিত্র দুটো আমার প্রিয় চরিত্র গুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের বার বার ভিন্ন রূপে পড়তে ভালো লাগে। কাহিনী সম্পর্কে তেমন কিছু বলবোনা দ্যুতি আপুর বইগুলো পড়তে আমার সবসময়ই ভালো লাগে একটা অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। শেষে বলবো লোভী মন আরো পেতে চায় আশফি-মাহীর আমাজন হানিমুনটা পেলে আরো তৃপ্তি লাগতো।🫣🫣 অনেক অনেক শুভকামনা রইল 💝💝💝
ফেসবুক আগেই পড়েছি তবু্ও আবার পড়তে পেরে খুবই ভালো লেগেছে,,,
ভালোই ছিলো গল্প টা 💖💖💖