খলিফা মনসুর, হারুনুর রশিদ, মামুনুর রশিদ ও মুতাসিম বিল্লাহের পর খেলাফতে আব্বাসিয়ার প্রতিটি স্তম্ভ ও কড়িকাঠে পতনের যে ঘুনপোকা লেগেছিল, তা নিঃসাড় ও নিষ্প্রাণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় খেলাফতের কাঠামো। তখন সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে এশিয়ায় আসতে চাইছিল মাংসাসী ক্রুসেডীয় শৃগালের পাল। কিন্তু সুলতান মালিকশাহ সালজুকি নামক এক মুসলিম সিংহের ভয়ে সাহস করে উঠতে পারেনি তখন। মালিকশাহের অন্তর্ধানের পর মুসলিম সাম্রাজ্য গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। তখনই ক্রুসেডাররা কামড় বসায় ইসলামি সাম্রাজ্যের কলিজায়। একে একে দখল করে নেয় বিশাল মুসলিম এলাকা। একপর্যায়ে ৪৯২ হিজরির রজব মাসে দখল করে নেয় মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মাকদিস। সেই ঘনঘোর সময়ে সুলতান মালিকশাহের একসময়ের প্রধান সেনাপতি, পরবর্তীকালে হালাবের শাসক আক সুনকুর ওরফে কাসিমুদ্দৌলাহর ঔরসে জন্ম নেন মহান সেনাপতি আবুল মুজাফ্ফার ইমাদুদ্দিন জিনকি। সেই ইমাদুদ্দিনই সুলতান মওদুদের সাথে মিলে ক্রুসেডারদের উপর হানেন প্রথম আঘাত। কিন্তু পরবর্তীকালে টানা ১০ বছর তাঁকে জড়িয়ে থাকতে হয় গৃহযুদ্ধের কাদায়। তবে গৃহযুদ্ধ থেকে একটু অবকাশ পেতেই তিনি পুনরায় একের পর এক আঘাত হানতে থাকেন ক্রুসেডারদের কলিজায়। উদ্ধার করতে থাকেন একের পর এক রাজ্য। উদ্ধার করেন শক্তিশালী দুর্গ ও তাদের শক্তিকেন্দ্র ‘আর-রাহা’। ‘দ্য লিজেন্ড’ গ্রন্থে রয়েছে মহান বীর ইমাদুদ্দিন জিনকির শিহরণ জাগানিয়া তৎপরতার বর্ণনা। গ্রন্থটি পাঠ করলে মনে হবে আপনিও যেন ইমাদুদ্দিন জিনকির একজন সিপাহি হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সেইসব জিহাদের ময়দান।
"বর্তমান সময় মুসলিমদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে। অমুসলিম জাতিগুলো মুসলিম অস্তিত্বকে খুবড়ে খুবড়ে ছিঁড়ছে। পৃথিবীর বুকে অনেক মুসলিম শাসক থাকলেও কেউ এর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না বরং নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্য কাফিরদের সাথে সাথ দিয়ে চলছে। "দ্যা লিজেন্ড" এমন একজন ব্যক্তির জীবনি যার সময়ও নামে অনেক মুসলিম শাসক থাকলেও সত্যিকার ইসলামিক শাসক কেউ ছিলো না। যারা ছিল সবাই নিজের ক্ষমতা, রাজ্য আর অন্তঃকলহ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এই সুযোগের সদব্যবহার করে কাফিররা (ক্রুসেডাররা) মুসলিমদের প্রথম কিবলা বাইতুল মোকাদ্দাসসহ মুসলিমদের সুবিশাল ভুমি দখল করে মুসলিমদের উপর চালায় নরকীয় তান্ডব। সেই কথিত সব শাসকের বিপরীতে একজন দাঁড়িয়ে যান মুসলিমদের হারানো ঐতিহ্য ফিরানোর কাজে। সামান্য কিছু সৈন্য নিয়ে চার–পাঁচগুন বড় বাহিনীর বিপক্ষে লড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনেন তিনি। সেই স্রোতের বিপরীতে বৈঠা বাওয়া মানুষটি সুলতান ইমামুদ্দিন জিনকি রাহিঃ। যিনি ছিলেন সত্যিকারেরই লিজেন্ড। প্রতিটি যুবকেরই বইটি পড়া উচিত নিজের ইমানি জজবাকে শাণিত করার জন্য। সংখ্যা যে মুসলিমের জন্য কোনো গুরুত্ব বহন করে না তা সুলতান ইমামুদ্দিন জিনকি রাহিঃ এর জীবনি পড়লে বোধগম্য হবে সেই সাথে মুসলিম শাসক আর মুসলিমদের যে হীনমন্যতা ঢুকেছে অন্তরে তাও দূর হবে ইন শা আল্লাহ। জানি না প্রকাশনি বা বইটই অথোরিটি দেখবে কিনা তারপর যদি দেখে অনুরোধ করব টীকাগুলো ওই পৃষ্ঠারই নিচে সংযুক্ত করে দেয়ার জন্য। পিডিএফ আকারে পড়ার সময় বইয়ের শেষে হওয়াতে টীকা দেখতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। আশা করি সমাধান করবেন।"
বর্তমান সময় মুসলিমদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে। অমুসলিম জাতিগুলো মুসলিম অস্তিত্বকে খুবড়ে খুবড়ে ছিঁড়ছে। পৃথিবীর বুকে অনেক মুসলিম শাসক থাকলেও কেউ এর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না বরং নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্য কাফিরদের সাথে সাথ দিয়ে চলছে। "দ্যা লিজেন্ড" এমন একজন ব্যক্তির জীবনি যার সময়ও নামে অনেক মুসলিম শাসক থাকলেও সত্যিকার ইসলামিক শাসক কেউ ছিলো না। যারা ছিল সবাই নিজের ক্ষমতা, রাজ্য আর অন্তঃকলহ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এই সুযোগের সদব্যবহার করে কাফিররা (ক্রুসেডাররা) মুসলিমদের প্রথম কিবলা বাইতুল মোকাদ্দাসসহ মুসলিমদের সুবিশাল ভুমি দখল করে মুসলিমদের উপর চালায় নরকীয় তান্ডব। সেই কথিত সব শাসকের বিপরীতে একজন দাঁড়িয়ে যান মুসলিমদের হারানো ঐতিহ্য ফিরানোর কাজে। সামান্য কিছু সৈন্য নিয়ে চার–পাঁচগুন বড় বাহিনীর বিপক্ষে লড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনেন তিনি। সেই স্রোতের বিপরীতে বৈঠা বাওয়া মানুষটি সুলতান ইমামুদ্দিন জিনকি রাহিঃ। যিনি ছিলেন সত্যিকারেরই লিজেন্ড। প্রতিটি যুবকেরই বইটি পড়া উচিত নিজের ইমানি জজবাকে শাণিত করার জন্য। সংখ্যা যে মুসলিমের জন্য কোনো গুরুত্ব বহন করে না তা সুলতান ইমামুদ্দিন জিনকি রাহিঃ এর জীবনি পড়লে বোধগম্য হবে সেই সাথে মুসলিম শাসক আর মুসলিমদের যে হীনমন্যতা ঢুকেছে অন্তরে তাও দূর হবে ইন শা আল্লাহ। জানি না প্রকাশনি বা বইটই অথোরিটি দেখবে কিনা তারপর যদি দেখে অনুরোধ করব টীকাগুলো ওই পৃষ্ঠারই নিচে সংযুক্ত করে দেয়ার জন্য। পিডিএফ আকারে পড়ার সময় বইয়ের শেষে হওয়াতে টীকা দেখতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। আশা করি সমাধান করবেন।
Read all reviews on the Boitoi app