হঠাৎ একদিন বাবাকে সংগীতের ঘরের সামনের রাস্তায় দেখতে পেল নির্ঝর। বাবা ঠেলাগাড়িটা ঠেলে নিয়ে যেতে পারছেনা। পেছন থেকে ধাক্কা দিলে সেটি চলতে শুরু করবে। নির্ঝর ছুটে গেল। ঠেলাগাড়িটি ঠেলে দিতেই বাবা পিছু ফিরে তার দিকে তাকালো। নির্ঝর সরল চোখে তাকালো। বাবা চলে যেতেই নির্ঝর হাত ঝেড়ে পিঠে গিটার তুলে নিতেই দেখতে পেল সেই মেয়েটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটি ওয়াকিং স্টিক। উদ্দেশ্যহীন কোনদিকে যেন তাকিয়ে আছে। রাস্তা খালি হতেই ওয়াকিং স্টিক বাড়িয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। একজন পথচারী এসে মেয়েটাকে রাস্তা পার করিয়ে দিল। দৃশ্যটি নির্ঝরের হৃদয় কাঁপিয়ে দিল। বুকের ভেতর অদ্ভুত রকমের একটা ব্যাথা অনুভব করলো সে। ইশশ চাঁদের গায়ে এমন কলঙ্ক মানা যায়! সে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে গেল। দু একটা কথা বলতে বলতে কিছুদূর হাঁটতে হাঁটতে মনে হলো মেয়েটা জড়তার কারণে কারো সাথে মিশতে পারেনা। এই অল্পপথটুকুতে পুরোটা সময় মেয়েটাই কথা বলে গেল। নির্ঝর শুধু শুনেই গেল। একসময় বলল তুমি ভালো কথা বলতে জানো। মেয়েটা একগাল হেসে বলল শুধু বলিনা গাইও ভালো। বাই দ্য ওয়ে আপনার মনটা খুব সুন্দর। কেন এমন মনে হলো? কারণ আমার কথা কেউ এভাবে মনোযোগ দিয়ে শোনেনা।
আপু বই কিনছি এখন আসে নাহ কেন
Read all reviews on the Boitoi app
লালের বউয়ের লেখা আমার সব সময়ের প্রিয়। ওর লেখনী মনের গভীর থেকে গভীরে গিয়ে দাগ টানে। লেখিকার লেখা সব গল্পই সুন্দর আরও সুন্দর এই গল্পটা নির্ঝর,জোনা চরিত্রটা অনেক কোমল আর মুগ্ধকর।🤍🤍
দারুণ, দারুণ। ভীষণ ভালোবাসার একটা গল্প🥺❤️
অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল বইটা পড়বো। অনেম চমৎকার একটা গল্প ❤️❤️🥰🥰🥰🥰
সুন্দর
অসাধারণ একটা গল্প।শেষ পর্যন্ত নির্ঝর আর জোনাকির পবিত্র বন্ধনের বাঁধনে জড়ানো টাই তাদের সত্যিকারের ভালোবাসার প্রমান করে দেয়।পড়তে গিয়ে কখন শেষ হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না।।
তখন গল্পটির অর্ধেক পড়ছিলাম, হঠাৎ করে মনে হলো যেন এরকম একটা গল্পই আমি কোথাও একটা খুঁজেছিলাম । হয়তোবা পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে, কিংবা কোথাও আঙুল দিয়ে খুঁজতে খুঁজতে । কিন্তু খুঁজছিলাম । আমার সেই খুঁজতে থাকা মনের না পাওয়ারা জানে, আমি কতটা একাগ্র হয়ে একেকটা ভালো লাগার গল্পগুলো পড়ি । আর ভালোলাগার গল্পগুলো পড়ার কতটা কষ্টের মতো করে সুখ সুখ নিঃশ্বাস নেই । সেই নিঃশ্বাসেরা জানে আমি কতটা সুখ সুখ আদলে তাকে কুড়িয়ে নিতে চাই । কতটা আবেশ ভেসে বেড়ায় মনখেয়ালের রাজ্যে । মাঝে মাঝে মনের মাঝে থাকা শহরের প্রতিটি মোড়ে নিয়ন আলোয় ভেসে যাওয়া আলোগুলোকে আমার একেকটা প্রিয় গল্প বলে মনে হয় । যে গল্পগুলোর একেকটায় কতটা হাসি আর কান্না মিশে আছে । আমার ঘিরে রাখা এই পৃথিবী জানে, আমি দুঃখে মিশ্রিত, ভালোবাসায় আচ্ছন্ন বিরহের গল্পে থাকা নিঃসঙ্গতাকে কতটা করে কাছে চাই । কতটা ভালোবাসি । এই পৃথিবীতে অনুভবের থেকে প্রাপ্তি কোথাও নেই । পৃথিবীতে কোথাও বোধহয় কেউ বলতে পারবে না, মায়ার থেকে বেশি কিছু আছে । মায়া সব অনুভূতির সৃষ্টি করে দিয়ে কোথাও যেন একটা লুকিয়ে থাকে । লুকিয়ে আবেশিত করতে করতে কোথাও একটা অনুভূতির সৃষ্টি করে । প্রতিটি সুখ সুখ অনুভূতির সবথেকে মিষ্টি যে অনুভূতি সেটি হলো কান্না । যে কান্নাগুলোয় সুখ সুখ স্পর্শ মিশে থাকে, সেগুলোকে মনের বন্দরে হাপিত্যেশ করতে মন বারবার মুগ্ধ হয়ে বলে যায় । প্রতিটি মুগ্ধ হয়ে থাকার গল্পগুলো আমার কাছে তাই ভীষণ আপেক্ষিক হয়ে ধরা দেয় । সাধারণত ভালোবাসার গল্পগুলোতে আমি আয়োজন করে আয়েশ করে সাজতে বসাই নিজের মনকে । কোথাও একটা যেন বলে দেয়, এই যে বসলে এবার দেখো অনুভূতিতে কেমন বিরাজ করতে থাকে সবকিছু । এই পৃথিবীতে খুব কাছের হয়ে থাকা প্রিয় শব্দ ভালোবাসা হলেও পৃথিবীতে প্রতিটি ভালোবাসার গল্প আলাদা । অথচ কি যে মুগ্ধতা নিয়ে একজন নারী ওই একজন পুরুষকেই আজন্ম কাল ধরে ভালোবেসেই যায় কোনো এক লগ্নকে সাক্ষী রেখে । পুরুষটিও বোধহয় শতসহস্র কান্না মনে আটকে রেখে নিজেকে দিয়ে দেয় । তবুও এত এত সাদৃশ্য থাকার পরেও এই পৃথিবীতে থাকা প্রতিটি গল্পকে ভীষণ আলাদা মনে হয় আমার । এই গল্পটিও তাই আলাদা । ভালোবাসার মানুষটির স্পর্শ পাওয়ার জন্য আলাদা । জোনাকিপোকার নিজস্ব মনের নিজস্ব হয়ে গড়া ওঠা গায়ক সাহেবকে অনুভব করার এই গল্পে কোথাও একটা যেন মায়া মিশে আছে । কোথাও একটা স্পর্শ করার এক টানে পৃথিবীজুড়ে মায়া নেমে যায় । গায়ক সাহেব তার জোনাকিপোকাকে ভালোবাসতে গিয়ে অনুভব করে যেন পৃথিবীতে ভালোবাসা নামক এক মিষ্টি সত্য । এই পৃথিবীতে চোখ বুঁজে স্পর্শ করার আবেশ অনুভব করার মধ্যে কতটা শান্তি থাকে তা জানা নেই, কিন্তু দৃষ্টিহীন একজন নারীর জীবনজুড়ে ভালোবেসে যাওয়ার এই আখ্যানে যেন পড়ে রয়ে থাকে আজন্মকালের তাড়া । কোথাও একটা কেউ যেন বলে যায় লগ্ন ধরে ধরে সব ঋতুতেই ভালোবাসার কি এক অদ্ভুত আলোড়ন নিয়ে জোনাকিপোকা ‘জোনা’ চরিত্রটি অপেক্ষা করে যায় জীবনভর! তার সেই ভালোবাসাই বোধহয় গায়ক সাহেব ‘নির্ঝর’ হাত পেতে কুড়িয়ে নেয় জীবনভর ধরে । একটু একটু করে আগলে ধরে রাখে । ভালোবাসা তাই বোধহয় রয়ে যায় প্রতিটি আবেশে, অনুভূতিতে । আর থেকে যায় প্রতিটি ঘরে ফেরার তাড়ায় । কেউ তো থাকে পুরো পৃথিবী জুড়ে, যে ঘরে ফিরলে শান্তির সুবাস দিবে । এই পৃথিবীতে বোধহয় শান্তি শব্দটাই আটকে থাকে ঘরে আলো দিয়ে নিজের নিজস্ব আলোবিহীন জগতেও জোনাকি পোকা হয়ে । এই ভালোবাসার গল্প তাই গায়ক সাহেব এর জোনাকিপোকার আলোতে নিজেকে ভাসানোর গল্প । কোথাও যেন আলো বয়ে যায়, কেউ তো এলো বলে! জগত সংসারে কেউ তো বসে থাকে দৃষ্টিহীন হলেও নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে যায় জীবনের সংগ্রাম করে । এই মিষ্টি ভালোবাসার গল্পটির পটভূমি এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে তাই যখন পড়েছি দারুণ অনুভব করেছি । মনে হয়েছে যেন আমার চারপাশেই তাদের আলোড়ন চলে এসেছে । এতটা তৃপ্তি নিয়ে অনেকদিন পরে কোনো ভালোবাসার গল্পকে এত কাছের হয়ে যেতে দেখলাম । পটভূমি এর সাথে আবহকে দারুণ ভাবে সাজানো হয়েছে । যার ফলে গল্পে দারুণ একটা ভারসাম্য এসেছে । এই ভারসাম্য আসায় গল্পে অদ্ভুত এক সুর ভেসে রয়ে গিয়েছে । যে সুরে বারংবার মুগ্ধ হয়েছি । এছাড়াও গল্পের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী গল্পের দৃশ্যপট বেশ ভালোভাবেই সাজানো হয়েছে । গল্পের আবহ তৈরিতে যার জন্য তেমন এক ধাঁচে সাজানো থাকায় পরিবর্তন হয়নি । গল্পের এক পর্যায়ে গল্পের পটভূমিতে সামান্য একটু গভীরতা সম্পন্ন অনুভব তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে । যা গল্পে একধরনের আবেশিত অনুভূতি দিয়েছে কিন্তু তা বেশিক্ষণ থাকেনি । আরেকটু সময় থাকলে বোধহয় দারুণ কিছু হতে পারতো । গল্পের এই আলোড়ন মিশ্রিত অনুভবে শেষের দিকে গল্প একটু অন্যরকম ভাবে কোথাও একটা ঘটনাপ্রবাহ তাড়াহুড়ো করে বয়ে গিয়েছে যেন । যার জন্য শেষের প্রেক্ষাপট এবং দৃশ্যপট আরেকটু সময় নিয়ে করা যেতে পারতো । যার জন্য আবেগ বোধ কোথাও একটু কমলেও শেষে আবার তা দারুণভাবে ভালো লাগা দিয়েছে অন্যরকম । এছাড়াও গল্পের চরিত্র গঠনে দারুণ চেষ্টা ছিল । জোনা এর চরিত্রটি দারুণ ভাবে বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তৈরি করা হয়েছে । যেন মনে হয়েছে আমাদের চারপাশেরই কেউ । দৃষ্টিহীন মেয়েটির প্রতি সমাজের অনুভবও দারুণ ভাবে দেখানো হয়েছে । তার চরিত্রের আবহ, সংলাপ এবং উপস্থিতি গঠনে আরো ভারসাম্য এনেছে । নির্ঝর নামক গায়ক সাহেব, যে শখে গান গেয়ে থাকে বন্ধুদের ভালোবাসে । এই চরিত্রটির গঠন বেশ ভালো হলেও তার চরিত্রের মাঝে এক ধরনের গভীরতা এসেছে । কাহিনীর প্রয়োজনেই এই গভীরতা এসেছে উপস্থিতিতে । সংলাপে যদিও তার চরিত্রটি বেশ ফুটে উঠেছে । তবুও খানিকটা সময় আরো নেয়া যেতে পারতো তার চরিত্রের গঠনে । তবে এই গভীরতাই বোধহয় তার চরিত্রে একধরনের মিষ্টতা দিয়েছে । এছাড়াও নাতাশা চরিত্রটির গঠন বেশ ভালো । তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের রসায়ন গল্পে অন্যরকমের এক আবহ দিয়েছে । এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক আবেশ রেখেছে গল্পে । বেশ লেগেছে নাজমা বেগম এর চরিত্র গঠনটি । যেভাবে গড়া হয়েছে তা বেশ দারুণ ছিল । এছাড়াও প্রায় সব চরিত্রই কাহিনীর প্রয়োজনে গঠন করা হয়েছে সুন্দর ভাবে । গল্পের প্রথমাংশে দারুণ ভাবে বেশ কিছু প্রিয় অংশ ছিল আমার । প্রিয় কতগুলো গান দেখানো হয়েছে গল্পে । গানগুলো এত সুন্দর ভাবে গল্পে মিশে গিয়েছে যা বেশ ভালো ছিল । এত সুন্দর ভাবে গল্পে রয়ে গিয়েছে নিজের অনুভব দিয়ে । তবে গল্পের দুইটি বিষয় আরেকটু খেয়াল রাখা যেতে পারতো । গল্পের সংলাপ ধারণে অনেকখানি ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে যা কখনো কখনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে । তাছাড়া গল্পের প্রথম দিকে দারুণ এবং অসাধারণ লাগলেও গল্পের শেষ দিকে বেশ অনেকগুলো টাইপিং মিস্টেক চোখে পড়েছে আমার । কোথাও একটা কেউ যেন মন খারাপের সুরে ভালোবাসার বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখতে চায় অনুভব করতে চায় । প্রিয় ভালোবাসা নামক অনুভব হওয়া নিঃসঙ্গতা! এই নিঃসঙ্গতা যে কতটা মিষ্টি এক বিষণ্ণতা দিয়ে দেয় সবকিছু জুড়ে তা বোধহয় অনুভূতি লিখতে গিয়েও সর্বোচ্চ কোথাও দেখা যায় না । তাই কেউ হাত দিয়ে ছুঁয়ে বৃষ্টি দেখুক কিনা জানা নেই কিন্তু ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে হাতে হাত রেখে চোখ বুঁজেও বৃষ্টির পানির ফোঁটা উপরে মেলে দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে দেয়া যায় । ওই তো মনে হলো যেন আমার মনের চারপাশে কেউ বলে দিয়ে গেল, প্রিয় গায়ক সাহেব! এই জোনাকিপোকাকে তোমার জীবনে রাতের আলো হয়ে ছড়িয়ে দিয়ে গেলাম । রেটিংঃ ৪.৬/৫
অসাধারণ হয়েছে 🥺💖
অসাধারণ হয়েছে গল্পটা। জোনাকিপোকা আর গায়কসাহেব এর গল্পটা খুব সুন্দর ছিল। স্পষ্ট এবং সাবলীল লেখা একটি গল্প। জোনাকির প্রতি নির্ঝরের ভালোবাসা খুব সুন্দর ছিল।ভালোবাসা যদি সত্যি হয় প্রতিবন্ধকতা কোনো দেওয়াল হতে পারে না। খুব খুব সুন্দর লেগেছে গল্পটা।লেখিকার আগামীর জন্য শুভ কামনা ও ভালোবাসা।
গল্পটা অনেক সুন্দর হয়েছে। জোনার প্রতি নির্ঝরের শ্রাবণ সন্ধ্যার প্রণয়কাহিনীটা অনেক সুন্দর হয়েছে। একদম মন ছোঁয়ে গেছে আপুর লিখা বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে। গল্প পড়তে পড়তে কখন যে অন্তিমে চলে গেছি বুঝতেই পারিনি।মনে হচ্ছে আর একটু যদি পড়তে পারতাম।