পত্রমিতালী থেকে প্রণয়। মীরার বিয়ে ঠিক হতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেল সে। পথঘাট অচেনা। নিঃসঙ্গ হতবিহ্বল মীরার সহযাত্রী হলো একজন। মরিচীকার হাতছানিতে মীরা এগিয়ে গেল অনিশ্চয়তার পথে। পথে কি ঘটবে? পথের শেষ কি ওকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেবে নাকি আত্নঘাতী কোনো ভুল?
মিষ্টি প্রেমের গল্পটা বেশ লাগলো ।
Read all reviews on the Boitoi app
ছোট একটা গল্পের এই পটভূমিটা আমার পছন্দ হয়ে গিয়েছে । খুবই অল্প করে শুধু বলে যাওয়ার মতো করে গল্পটা বয়ে গিয়েছে নিজস্ব ঢংয়ে । এর একটা ভালো দিকও আছে অবশ্য । এতে অনুভূতি নিজের মতো করে সাজিয়ে নেয়া যায় । এই গল্পটা বেশ ভালো । দারুণ একটা পটভূমিতে গল্পটা সাজানো হয়েছে । যখন চিঠির সময় ছিল । চিঠিতেই আদান-প্রদান হতো প্রতিটি হাসির শব্দের । প্রতিটি কান্না, সুখ কিংবা রাগ, অভিমান সবই ভেসে আসতো চিঠির প্রতিটি শব্দে শব্দে । সেরকমই অসাধারণ একটা পটভূমিতে গল্পের প্রেক্ষাপট সাজানো হয়েছে । একই শব্দচয়নে, একই ধাঁচে গল্পটা একনাগাড়ে বয়ে গিয়েছে । হয়তো একটু গভীরতা দিয়ে গল্পটা আরেকটু বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারতো । তবুও গল্পটা এভাবেই যেন সুন্দর হয়ে ধরা দিল । ছোট এই গল্পটা মনে গেঁথে রইলো । মীরার জীবনে চিঠিতে প্রেম এসেছিল । ভালোবাসাও এসেছিল বোধহয় । কিন্তু সেটা চিঠির থেকেও যেন চিঠি পাঠানোর চেষ্টায় । মীরার চিঠি, আরশাদের অনুভব, শাহেদের অনুভূতি প্রকাশে তৎপরতা সব মিলিয়ে এই গল্পটা বেশ রয়ে যায় । গল্পটিতে বানান ভুল তেমন একটা নেই । চরিত্রের নামের বানানে ভুল আছে যদিও । টাইপিং মিস্টেক যে গুটিকয়েক আছে তাতে পড়তে সমস্যা হয় না । তবে লেখকের লিখনশৈলীতে আমি মুগ্ধ হয়েছি বারবার । লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো । রেটিংঃ ৪.৬/৫
চমৎকার। ভালো লেগেছে গল্পটা।
লেখিকার তিনটা বই আমার পড়া হয়েছে। বৃষ্টিদিনের আগন্তুক টা আমার বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু অতঃপর তাহারা টা আমার কেনো জানি ভালো লাগে নাই, সো সো লাগছে। তবে এইটা দারুন লেগেছে
গল্পটা শেষ করে মিষ্টি অনুভূতিতে মন ছেয়ে গেলো। খুব মিষ্টি একটা গল্প আর সমাপ্তিটাও খুউব সুন্দরভাবে হয়েছে। পত্রমিতালীর পুরোনো পটভূমিকায় গল্পটা লেখা। মোবাইল ফোনের কারণে এই সময়টা আমরা ফেলে এসেছি কতো পিছনে! মীরার পত্রমিতালীর ধোঁকা এখন হয় ফেক আইডিতে। আবেগের বশে যেমন ভুল মীরা করেছে, সেটা তার জীবনকে পুরাপুরি বিপর্যস্ত করে দিতে পারতো, হয়নি আরশাদের কারণে। আরশাদকে ভীষণ ভালো লেগেছে, স্বপ্নের একটি চরিত্র! এমন চরিত্রগুলোই জীবনের আশাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আর নুসরাত জাহান লিজার লেখা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ঝরঝরে, অনবদ্য,সবসময় ভালাবাসি পড়তে। দুই/একটা বানান ভুল চোখে আটকেছে, এতো সুন্দরের মাঝে ওটুকু ইগনোর করাই যায়।☺️ শুভকামনা নিরন্তর। অনেক সাফল্য আসুক জীবনে।❤️❤️
গল্পটার সবচেয়ে টাচিং দিক হলো চিঠি। নব্বই দশকে এখনকার মতো সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন ছিলো না না ছিলো সবার ঘরে ঘরে ল্যান্ডফোন। তখন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিলো চিঠি আদান-প্রদান। পত্রিকায় তখন অনেকেই পত্র মিতালীর জন্য বন্ধু খুঁজতো। এই জিনিসটা আমার ভীষণ প্রিয়। মীরা আর শাহেদের চিঠিগুলো যেমন মুগ্ধ করেছে তেমনি মীরা বাড়ি থেকে পালানোর পর ভয় আর আতংক মনে ডানা মেলেছে। আরশাদ চরিত্রটি প্রথমে এতটা আর্কষণ না করলেও গল্পের শেষে যে টুইস্ট ছিলো তা আমাকে আরশাদের প্রতি অন্যরকম ফিল দিয়েছে। সমাপ্তিটা এত চমৎকার ছিলো যে আমি বারবার পড়েছি পর্বটা। শাহেদের শেষ চিঠিটা দারুণ লেগেছে। সব মিলিয়ে দারুণ একটা ই বুক পড়লাম। পুরাই পয়সা উসুল বই।
কী চমৎকার একটা বই পড়লাম! শব্দের সাথে শব্দের মেলবন্ধনে খুব সহজ, সুন্দর আর সাবলীল উপস্থাপনায় মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখনী। চেনাজানা ঘটনাপ্রবাহকে নতুন করে পাঠকের মনে ভালোলাগার আবেশ ছড়িয়ে দেওয়ার উপযোগী করে তোলার খুব সুন্দর একটা প্রয়াস।