দুইবছর চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে ভালোবেসে বিয়ে করে আদিল ও মৃত্তিকা। তবে বিয়ের একবছর পেরুতেই অফিস থেকে টাকা চুরির মিথ্যে অভিযোগে আদিলকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের দেওয়া হয়! তখনই শুরু হয় আদিলের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এক অধ্যায়। ঘৃণা, অপমান, লজ্জা ও ভৎসনা থেকে আদিল ধীরে ধীরে নেশার জগতে পা বাড়ায়। এর প্রভাবে তার সংসার জীবন লণ্ডভণ্ড হতে থাকে। আদিলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সংসার চালানোর তাগিদে মৃত্তিকা জোরপূর্বক একটি কোম্পানিতে চাকরী নেয়৷ কাজের সুবাদে মৃত্তিকা অফিসে পা রাখার পর থেকেই শুরু হয় একের পর এক খুন! অফিসের ভেতরের কিংবা বাইরের যেকোনো যে পুরুষই খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে মৃত্তিকার দিকে হাত বাড়াতো তাকেই নৃশংসভাবে খুন করা হতো। মৃত্তিকার ধারণামতে, খুনগুলো তার অফিসের বস করত। কারণ, তার দিকে প্রথম থেকেই বসের কুনজর ছিল! ঘটনা চক্রে আদিলকেও খুন করার হুমকি এসেছিল। আকার, ইঙ্গিতে এবং কথাবার্তায় ও বস তার ইঙ্গিত বহন করত। এমনকি বসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রমাণও পেয়েছিল মৃত্তিকা। তবে কী মৃত্তিকার ধারণাই সঠিক ছিল? খুনগুলো প্রত্যক্ষভাবে তার অফিসের বসই করত? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে ছিল দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তিদের গভীর ষড়যন্ত্র?
গল্পের নামটাই ছিল একটু ভিন্ন ধরনের। "বিবর্ন প্রহেলিকা " আশানুরূপ গল্পটাও দারুণ হয়েছে ✌️ প্রথমেই চোখে পড়ে এক রমনীকে যে কিনা তার স্বামীর সংকটময় সময়ে তার পাশে ছায়ার মতো করে দাঁড়িয়েছে। তার শাশুড়ির কাছে তার মেয়ের মতো হয়ে থেকেছে 😌 আদিল - মৃত্তিকা যেন একে অপরের পরিপূরক। মৃত্তিকা যে সবসময় আদিলকে ভালোবেসে আচলের নিচে এক সুখপাখির ন্যায় আগলে রাখতে চায় আর আদিল তার গাম্ভীর্যের নিচে রাখা এক আকাশ সমপরিমাণ ভালোবাসে তার প্রিয়তমা মৃত্তিকা কে। যে কিনা মৃত্তিকা র ওপর কারো সামান্য কটু দৃষ্টি সহ্য করতে পারে না 🙂 আদিলের বিষয়ে আমি এরকম কিছু ধারনা করেছিলাম কিন্তু টিয়া একেবারে ধারনার বাইরে। গল্পের এক অন্যতম চরিত্র টিয়া ☺️ ভাবতেই পারিনাই তার বিষয়ে এসবকিছু 🫢 বান্ধবীর জন্য এমন কয়জনে করতে পারে। আস্তে আস্তে সব জট খুলে পরিষ্কার হয়ে এল। মুখে ফুটলো এক চিলতে সুখের হাসি অবশেষে একে অপরকে ভালোবেসে জিতে যাওয়া আদিলের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সব মিলিয়ে চমৎকার হয়েছে গল্পটা। সুন্দর, রুচিশীল, মার্জিত শব্দে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে গল্পটা। প্রতিটা থীম ভাষার চয়ন সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা গল্পটা পড়তে পড়তে পাড়ি দেওয়া যায় অন্য জগতে। অসম্ভব সুন্দর, অসাধারণ একটা গল্প। ধন্যবাদ লেখিকা আপুকে এত্তো সুন্দর একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য। আমরা এরকম আরো সুন্দর সুন্দর গল্প চাই সবশেষে লেখিকার সুস্থতা ও দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি ❤️🩹
Read all reviews on the Boitoi app
#ই_বুক_রিভিউ #বিবর্ণ_প্রহেলিকা #নিশাত_জাহান_নিশি "বিবর্ণ প্রহেলিকা" গল্পটি রোমান্টিক-থ্রিলার জনরার । গল্পের নাম ও প্রচ্ছেদ দেখে রহস্যের আভাস পেয়েছিলাম প্রথমে। সাধারণ এক নিম্ন মধ্যেবিত্ত দম্পতির জীবনকে কেন্দ্র করে শুরু হয় গল্পটি। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম মৃত্তিকা ও আদিল। আদিল, মৃত্তিকার আর আদিলের মা হাফসা বেগম কে নিয়ে তাদের অভাবের সংসার, কিন্তু ভালবাসার অভাব ছিল না। দূর্ভাগ্যক্রমে হঠাৎ আদিলের চাকরিটা চলে যায় তাও অন্যায় ভাবে!! তারপর থেকে নেমে আশে সংসারে অশান্তি। চেনা মানুষ হুট করে অচেনা হয়ে যায়। আদিলকে বিষন্নতা ঘিরে ধরে, তার সাথে হয়ে পরে মাদকাসক্ত! তখন মৃত্তিকার ঘাড়ে পরে সংসারের সকল দায়িত্ব। নিজের রোজগার আর শ্রম দিয়ে নিজের সংসার টাকে টিকায় রাখার চেষ্টা করতে থাকে। মৃত্তিকাকে প্রতিদিন অনেক সংগ্রাম করে চাকরিটা করতে হয়। কারণ বেশির ভাগ কর্ম ক্ষেত্রে মেয়েরা বিভিন্ন রকমের হয়রানির স্বীকার হয়। কিন্তু হঠাৎ করে মৃত্তিকার আশে পাশে যারা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো, তাদের খুন হওয়া শুরু হয় তারপর থেকে গল্পের মোড় ঘুরে যায়! কে করলো এই খুন গুলো? চারিদিকে এতো এতো প্রতিকূলতা মধ্যে মৃত্তিকা কি পারবে নিজের সংসার টাকে আগলে রাখতে? আদিলকে নিরাপদে রাখতে? তা জানতে হলে ই-বুক টি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। চরিত্র বিশ্লেষণ: আদিল: গল্পের প্রধান চরিত্র অর্থাৎ নায়ক।রাগী, আবেগপ্রবণ। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সবার সামনে লাঞ্চিত করে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে অবশ্য জানা যায় সে নিরপরাধ ছিল। কিন্তু অন্যায় ভাবে তাকে লাঞ্চিত করার ঘটনা টা, তার মনে দাগ কেতে যায়। যার দারুন এক ধরনের মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে থাকে সে। সেইখান থেকে তার অধপতন শুরু। ধীরে ধীরে হয়ে উঠে বেপরোয়া, ছন্নছাড়া আর মাদকাসক্ত। মৃত্তিকা: গল্পের প্রধান মুখ্য চরিত্র যাকে ঘিরে গল্পের শুরু অর্থাৎ নায়কা। সহজ সরল একটি মেয়ে যে নিজের সংসার কে টিকিয়ে রাখার জন্য সব করতে পারে। যেখানে স্বামীর চাকরি হারানোর পর সংসারে অভাব আর অশান্তি শুরু হলে যে জায়গায় অন্য মেয়েরা স্বামীকে ছেড়ে দেয় সেই জায়গায় মৃত্তিকা আলদা। স্বামী ও শাশুড়ী কে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার টার জন্য দিন থেকে রাত খাটাখাটি করে সে, একটু ভাল থাকার আশায়। একজন নারী পারলে সংসারটা টিকে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে সে। হাফসা বেগম:আদিলের মা অর্থ্যাৎ মৃত্তিকার শ্বাশুড়ি। গল্পের সব চেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি যিনি নিজের ছেলের বউ কে নিজের মেয়ের মত ভালবাসেন, মৃত্তিকার খারাপ সময়ের সস্তির জায়গা। এমনকি নিজের ছেলের অধপতন দেখার পর মৃত্তিকা সংসার ছেড়ে নতুন ভাবে বাঁচার জন্য বলতেও তিনি কুন্ঠা বোধ করেন নি! টিয়া: গল্পের পার্শ্বচরিত্র তার পাশাপাশি মূখ্যও বটে। একজন প্রকৃত বান্ধুবী। যে, যেকোনো মূল্যে নিজের বোনের মত বান্ধুবীকে সুখে দেখতে চায়। তাকে খারাপ ভাল যে যা খুশি ভাবুক বা বলুক, হক কথা বলতে ভয় পায় না। রবিন শেখ: রবিন শেখ চরিত্রটি সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা। তাকে গল্পের মাঝখানে যা ভেবেছিলাম পরবর্তীতে সেই ধারণা পাল্টে যায়! রহস্যেঘেরা চরিত্র রবিন। মূলত গল্পটি অনেক রহস্যে ঘেরা যার কারনের গল্পের ভিতর একবার ঢুকে গেলে না শেষ করা অব্দি উঠা যাচ্ছিল না আমার দ্বারা। ঘোর লেগে যাচ্ছিল। পরিশেষে বলব নিশির লেখা ই-বুক টা অনেক সুন্দর ও মার্জিত হয়েছে। লেখিকা তার লিখনী দিয়ে আমাদের আশাহত করেন নি বরং একটি সুন্দর একটি গল্প দিয়েছে আমাদেরকে। ই-বুক টি কিনার যর্থাথ হয়েছে আমার কাছে। গল্পটি পড়ে আমি পরিতুষ্ট। লেখিকা কে আগামীর জন্য অনেক অনেক দু'আ ও শুভকামনা রইল।
"বিবর্ণ প্রহেলিকা" গল্পটি থ্রিলার,ক্রাইম, রোমান্টিকতা নিয়ে লিখা। সাধারণ মেয়ে মৃত্তিকার চাকরিহীন বেকার স্বামীর পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর গল্প। হাজারো প্রতিকূলতার মাঝেও যে স্বামীর হাত ছাড়েনি। কিন্তু হঠাৎ চারপাশে এতগুলো খুন! কেনো এতো খুন? আদিল কী পেরেছিল এই খুনের রহস্য ভেদ করতে? তা জানতে হলে ই-বুকটি অবশ্যই পড়তে হবে। গল্পটা পড়াকালীন সময়ে আমি একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। গল্পটা আমি একটানা পড়ে শেষ করেছি। কি হবে টান টান উত্তেজনায় কিছুতেই পড়া থেকে বের হতে পারছিলাম না। চরিত্র বিশ্লেষণ: আদিল: পুরোটাই একটি রহস্যে ঘেরা চরিত্র। মিথ্যে অপবাদে চাকরি হারিয়ে যে হয়ে ওঠে বেপরোয়া,রাগী, বদমেজাজি ও নেশাগ্রস্ত। গল্পের শুরুতে আদিলের প্রতি রাগ হলেও শেষে গিয়ে আদিলের ভালোবাসাটা খুব গভীর ভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। মৃত্তিকা:কঠিন বাস্তবতার সাথে লড়াই করে কীভাবে নিজের সংসারকে আগলে রাখতে হয় তা যেন মৃত্তিকার রপ্ত করা। নিজের চাকরিচ্যুত হতাশায় বুঁদ হয়ে থাকা স্বামী ও সংসারের টানাপোড়েনের সময়ে মৃত্তিকা যেন ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। নানাজনের কাছে স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ পেয়ে তাদের প্রতি মৃত্তিকা রুষ্ট হয়েছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে আদিলের প্রতি মৃত্তিকার ভালোবাসাটা বরাবরই জিতে গেছে। হাফসা বেগম: এমন শ্বাশুড়ি পাওয়া যেন সব মেয়েদের স্বপ্ন। যে নিজের ছেলের বউকে মেয়ের মতো করে ভালোবাসে। অসাধারণ একটি চরিত্র হাফসা বেগম। টিয়া: গল্পের আরেকটি মূখ্য চরিত্র টিয়া। জীবনে টিয়ার মতো এমন একজন বান্ধবী পাওয়াও যেন ভাগ্যের ব্যাপার। যে সবকিছুর উর্দ্ধে শুধু নিজের প্রিয় বান্ধবীটির ভালো চায়। রবিন শেখ: মৃত্তিকার দিকে যার প্রথম থেকেই ছিল কুনজর। গল্পের প্রথমে তাকে যেমনটা ভেবেছিলাম গল্পের শেষে গিয়ে যা দেখলাম তার জন্য আমি তৈরি ছিলাম না! রবিন শেখও একটি রহস্যেঘেরা চরিত্র। পরিশেষে: নিশিপুর লিখার প্রতি সবসময়ই ভরসা ছিল।সেই ভরসা থেকেই ই-বুকটি কেনা এবং আমি এটা বলতে পারি যে ই-বুকটি কিনে আমি একদমি হতাশ হইনি। নিশিপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের পাঠকদের এতো সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য।
"বিবর্ণ প্রহেলিকা" সাসপেন্স, থ্রিলার,রোমান্টিকতা নিয়ে অসাধারণ একটা গল্প।একটা নিম্ন বিত্ত পরিবারে বেকার স্বামীকে নিয়ে সুখে থাকার লড়াই।দারিদ্র্যতাকে হারিয়ে ভালোবাসাই জিতে যায়। মৃত্তিকা ভালোবেসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলো আদিলকে।কিন্তু টাকার চুরির অপবাদে চাকরি হারিয়ে ডিপ্রশনে পড়ে, আদিল হয়ে যায় নেশাখোর,অপ্রকৃস্ত।তারপর মৃত্তিকাই হাল ধরেছিলো সংসারের।কিন্তু হঠাৎ একের পরে এক খুন।কে করল এই খুন?আর খুন গুলো তাকে ঘিরেয় হচ্ছে।তা নিয়েই ঘাবড়ে ওঠে মৃত্তিকা। প্রিয় চরিত্রঃ আদিলঃঘাড়ত্যাড়া, জেদি,একরোখা একটা ছেলে।চাকরি হারিয়ে নেশাখোর, অপ্রকৃস্ত হয়ে পড়লেও মৃত্তিকার প্রতি তার ভালোবাসার কোন অদল-বদল হয়নি।ভালোবাসার মানুষকে সবসময় অশুভ দৃষ্টি থেকে আগলে রেখেছে। মৃত্তিকাঃঅন্তত মিষ্টি একটা মেয়ে।স্বামী বেকার অথচ তা নিয়ে তার কোন মনোঃতাপ নেই।বরং, নিজেই চাকরি যুগিয়ে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছে।অনকে একরোখা আদিলকে ছেড়ে যাবার পরামর্শ দিলেও তা প্রধান্য দেয়নি মৃত্তিকা।বরং,সেসব শুনে সে মনোকষ্টে ভুগত। হাফসা বেগমঃআমার প্রিয় আরেকটা চরিত্র। যে মৃত্তিকাকে বউমা হিসেবে নয় মেয়ে হিসেবে আগলে রেখেছে।অনান্য শাশুড়ীর মতো একরোখা ছেলের পক্ষপাতিত্ব করেনি।বরং,সঠিক বিবেচনায় বউমাকে সঠিক পরামর্শই দিয়েছেন। টিয়াঃএকজন বোনের মত বন্ধু।যে ভালো পরামর্শ দিয়ে বিপদ হতে আগলে রাখতে চেষ্টা করেছে।বিপদে - আপদে ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। নিশি আপুর লেখনী বরাবরেই মতই সুন্দর, সাবলীল,চমৎকার। গল্পটাকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বিঃদ্রঃআমার সর্বপ্রথম রিভিউ দেওয়া।ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এখনো পরি নাই, অল্প একটু পরেছি, খুন গুলা কি সাম্মি করে না, বস করে, তা পরলে বুঝতে পারবো। বান্ধবীর লিখা গল্প তাই বেশী উংসাহ্ নিয়ে পরবো।