আজ সকলের নিমন্ত্রণ নীচতলায়। আয়েশা সুলতানা একটা প্রাইভেট স্কুলে টিচার হিসেবে নিয়োগ হয়েছেন দুই মাস আগে। সম্পর্ক যতোই ভালো হোক, তাও নিজের আত্মসম্মান খুইয়ে কারোর দয়ায় বেঁচে থাকা তার স্বভাবের সাথে যায়না। একারণে হাসিমুখে ছোটভাই সমতুল্য দেবরের সাহায্যের হাত নিঃসংকোচে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন যাবৎ ভালোমন্দ রান্নার আয়োজন করতে চাইলেও কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না তিনি। তাই গতপরশু বেতন পাওয়া মাত্রই শুরু করে দেন এসবের আয়োজন।
সাবলীল সুন্দর গোছানো লেখা, গল্পের প্রতিটি চরিত্র নিজ নিজ জায়গায় সুন্দর। 💜❤
Read all reviews on the Boitoi app
এই গল্পের পটভূমিটা বেশ দারুণ । আরো একটা প্রিয় পটভূমিতে গল্পটা সাজানো হয়েছে । তবে এই গল্পে পটভূমিতে আরেকটু সময় নিয়ে প্রেক্ষাপট আনা যেতে পারতো । বেশ ধীরে ধীরে গল্পটা সাজালে বোধহয় বেশ দারুণ কিছু মনে হতো যেন । সেই প্রেক্ষাপটে ঘটনাপ্রবাহ এবং দৃশ্যপট যেন সেভাবেই এসেছে । মূলত একটু সময়ের বড্ড তাড়ায় আবহের খানিকটা অভাব এই প্রিয় পটভূমির গল্পে একটু আবেগ কমিয়ে দিয়েছে । বারেবারে মনে হয়েছে যেন, একটু সময় যেন আবহ কমিয়ে দেয়ায় গল্পটা তার মায়া হারিয়েছে । গল্পে ভেসে এসেছে চিঠি, চিরকুট অদ্ভুত সুন্দর রাত, সাথে জোছনা । এই এতগুলো সুন্দর মুহূর্ত আটকে রাখা পটভূমিতে থাকা গল্পগুলো আমার কেনো জানি না খুব প্রিয় মনে হয় । এই গল্পের সবথেকে ভালো লেগেছে লেখকের কাহিনী গঠন এবং সাজানো । যেভাবে গল্পটি বয়ে গিয়েছে এবং বর্ণনা করা হয়েছে তা মূলত দারুণ ছিল । গল্পের প্রতি সংলাপ ধারণ কিংবা বাচনভঙ্গি মূলত বেশ ভালো ছিল । ইবুকের চরিত্র গঠনে আরেকটু সময় দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল । যেহেতু গল্পে আবহ কম তাই গল্পের চরিত্র গঠনে খানিকটা খামতি থেকে যায়ই । তবুও গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নম্রমিতা ছাড়া বাকি সব চরিত্র গঠনেই আরেকটু খেয়াল রাখা যেতে পারতো । বইটইয়ের সবথেকে যে বড় সমস্যা তা হলো দৃশ্যপট এবং প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে ফাঁকা জায়গা না রাখা । তা এখানে খানিকটা কম থাকলেও এই গল্পে টাইপিং মিস্টেক এর দিকে নজর রাখা দরকার । বেশ অনেকগুলো টাইপিং মিস্টেক আছে গল্পে । যা চরিত্রের নামেও এসেছে অনেক জায়গায় । পরিশেষে বলবো, খুব ভালো সুন্দর একটা ইবুক হতে পারতো । কোথাও একটা কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়ে রইলো । যাহোক লেখকের লিখনশৈলী এর জন্য শুভকামনা রইলো । রেটিংঃ ৪/৫
পড়ে ভালো লাগলো। সবাই পড়তে পারেন.!
আপুর লেখা এই বইটি দিয়ে ই আমার ই বুক এ বই পড়ার যাত্রা শুরু করলাম ।শুরু থেকেই মুগ্ধতা ছিল।গল্পের প্লট আর লিখনশৈলী চমৎকার ।বিশেষ করে প্রচ্ছদ টা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ।আপুর জন্য শুভকামনা রইলো।❤
বহুদিন পর চমৎকার রোমান্টিক জনরার কিছু পড়লাম। লেখনশৈলীর মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছি। বিষাদের হলদে খামে চিঠি রোজ আসে। কী দারুণ! লেখনশৈলী, প্লট, গল্প বলার ধরণ, চরিত্রায়ন সবকিছুইতেই মুগ্ধতার ছাপ। আগামীর জন্য শুভকামনা। কলম চলতে থাকুক এভাবেই।
"হলদে খামে নিল ব্যথা" গল্পটি সত্যিই অসাধারণ। লেখিকার লেখনীও চমৎকার। সুখ দুঃখের সংমিশ্রণে গড়া রোমান্টিক এই উপন্যাসটি পাঠক মহলে বেশ সারা ফেলেছে। লেখিকা পুরো গল্পটাই সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। গল্পটা পড়ে আমি মুগ্ধ হইছি।
উপন্যাসটা দারুণ'! সবাই পড়তে পারেন'!🥰
"হলদে খামে নীল চিঠি নয় আমাদের একরাশ মুগ্ধতা দিয়েছ আপু" চমৎকার এক বন্ধুত্ব, প্রেম, বিশ্বাস, মান অভিমান, মুগ্ধকর ভালোবাসা, বিষাদ মাখা এক প্রেমের গল্প। শুরুর বিষাদ মাখা, শেষাংশে এই ভালোবাসার গল্পের জন্য 'ই-বুকের' নামটি একদম পারফেক্ট! পুরনো সেই ইফতারি ডাইরি অজানা কৌতূহলই থেকে গেল... শুভকামনা রইল লেখিকার জন্য।
পড়ন্ত বিকেলে গোধূলি লগ্নের নিঃসঙ্গতায়, বন্ধুত্বের সমীকরণ গড়ে উঠে 'হলদে খামে নীল ব্যাথা' ই-বুকের প্রতিটি পাতায়। আমি আস্তে আস্তে হারিয়ে যাই কাহিনির রহস্যময়তায়। লগ্ন পেরিয়ে পরবর্তী ক্ষণের সূচনা হলেও,গল্পের প্রতি মুগ্ধতা লেপ্টে আছে হৃদয় জুড়ে। ~মোহসিনা রুদ্র
হলদে খামে নীল ব্যথা গল্পটি খুব ই চমৎকার এবং একটি আনকমন রোমান্টিক প্রেমের গল্প যা পাঠক মহলের সবার নজর কেঁড়েছে। এখানে চরিত্র অনেক গুলো যা সবার মন কেঁড়ে নিয়েছে চরিত্র গুলো খুব ই চমৎকার এবং সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা আমার ভালো লেগেছে। এখানে একাধারে বন্ধুত্ব,ভালোবাসা,প্রেম, বিশ্বাস, ভরসা, মান, অভিমান সব কিছু সুন্দর করে ফুটে উঠেছে।আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লেগেছে।