প্রেমিকের অবহেলায় নাজুক মেহরিশের খেয়াল নিতে ছুটে যায় স্বপ্ন তার ঘরে। বহুক্ষণ ডাকাডাকির পর মেহরিশ পাণ্ডুবর্ণ মুখ আর রক্তজবার মতো চোখ নিয়ে এসে দাঁড়ায় ওর সামনে। স্বপ্নের গম্ভীর মুখটাতে তখন উপভোগের ছায়ার বদলে কিছুটা চিন্তা বোঝা যায়। -'এমন লাগছে কেন তোমাকে?' মেহরিশ জবাবশূন্য। স্বপ্নকে এড়িয়ে বিছানাতে এসে বসে পড়ল মাথা নুইয়ে, চোখদুটো বুজে। ঘরে ঢুকে স্বপ্ন দরজাটা ভিড়িয়ে তার সামনে এসে খাঁড়ায় তখন। শুধায়, 'জ্বর টর লেগেছে না কি? একবেলাতেই তো হাল বেহাল লাগছে।' আলু-থালু চুলগুলো ফ্যানের বাতাসে আরও বিশৃঙ্খল হয়ে উড়ছে তার৷ গায়ের ওড়নাটা যে গায়ে নেই, সে হুঁশও নেই। স্বপ্নের কথায় পরিবর্তনহীনই রইল মেহরিশ। অবস্থা বেশিই বেগতিক লাগল স্বপ্নের কাছে৷ নিঃশব্দে মেহরিশের কপালে হাত রাখতেই চমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, 'এত জ্বর কখন এলো? ডাকতে পারতে আমাকে?' চোখ মেলে মাথাটা তুলে তখন মেহরিশ বলল, 'মাথা খুব ভার লাগছে।' -'তা তো লাগবেই। বৃষ্টির ঝাপটাতে তখন প্রায় ভিজেই গেছিলে। সেই ভেজা কাপড় তো গায়েই শুকিয়ে নিয়েছ৷ জ্বর তো আসবেই। কফি পাঠাচ্ছি। কফিটা খেয়ে শোও, আমি মেডিসিন আনার ব্যবস্থা করছি জলদি।' বাধ্য শিশুর মতো তখন মাথা নাড়ল মেহরিশ। স্বপ্নের একটু অপরাধবোধ কাজ করল ক্ষণিকের জন্য, ভাবল ওর জন্যই মেয়েটা অসুখে পড়ল হঠাৎ করে৷ কিন্তু সে ভাবনা টিকল না বেশি সময়৷ প্রেমিকের শোকতাপেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে মেহরিশ। এমনটা মনে হওয়ার পর সে আর নিজে থেকে মেহরিশের ঘরে গেল না৷
কিছু কিছু লিখা থাকে যা পাঠকমন বাকরুদ্ধ করে দেই অনুভূতি প্রকাশে। এক্ষেত্রেও আমার সেইম অবস্থা। স্বপ্ন সত্যিই স্বপ্নের মতো অধরা রয়ে গেলো। "আমি সুখস্বপ্ন নই" বাক্যটা তে কি যেন আছে। পড়তে পড়তে এতো বিভোর হয়েছিলাম যে শেষ টুকুর যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো। আমার আকাঙ্খা প্রবল থেকে প্রবলতর হয়েছে এদের পুনঃপুন পড়ার জন্য। আপু দ্বিতীয় খন্ড কি আশা করতে পারি? অনেক কিছুই ধোঁয়াশা।
Read all reviews on the Boitoi app
অনেক সুন্দর একটা গল্প
যেখানে স্বপ্ন মেশে অনেক আগেই ই-বুক টি কিনলেও পড়ার সুযোগ হয়নি।এইমাত্র শেষ করলাম।এককথায় চমৎকার একটা গল্প পড়লাম।যে গল্পটা আগে অনুগল্প হিসেবে ফেবুতে পড়েছি সেটাই এখন পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।দ্যুতি আপুর লেখার আমি বরাবরই ভক্ত।তাই ফেবুতে পড়লেও ই-বুকে আরেকটু গুছানো,চমৎকার কিছু পাবো তা আগেই ধারনা করেছি। এই রকম আরো ছোট গল্পের ই-বুক চাই আপু।তোমার লেখার হাত আরোও দীর্ঘায়িত হোক।অনেক অনেক শুভ কামনা...❤❤ জিন্নাত নিশি (কল্পলোকের কল্পপরী)
💓💓 অনেকদিন আগেই কিনে রেখে আজকে এক বসায় শেষ করেছি। অনেক ভালো লাগছে। কিন্তু আমার একটা অভিযোগ আছে এত তাড়াতাড়ি শেষ হলো কেন আরেকটু পড়ার ইচ্ছা ছিল আমি বুঝিনায় এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে। তবে অনেক ভালো ছিল এই চরিত্র গুলো একদম নতুন ছিল কাহিনিটাও অনেক জোশ ছিল💓 ভালোবাসা অবিরাম আপু
রোমান্টিক গল্প।
যেখানে স্বপ্ন মেশে ইসরাত জাহান দ্যুতি জনরা:সমকালীন বইটই অ্যাপ মূল্য:৭০৳ সাত পর্বের সাধারণ প্লটের একটি ছোটখাটো গল্প। কোনো টুইস্ট এন্ড টার্ন নেই সেখানে। শুধু আছে দুজন ভিন্ন মানুষের নিজ নিজকার গল্প। মেহরিশ যার একমাত্র ভালোবাসা হচ্ছে রিয়াদ,যাকে সে অন্ধের মতো ভালোবাসে এবং সে দু*শ্চরিত্র পুরুষদের বলতে গেলে একপ্রকার ঘৃণা করে। তার সাথে পরিচয় হয় স্নিগ্ধ নামের এক পুরুষের সাথে যাকে সে দু*শ্চরিত্র বলেই জানে। স্বপ্ন ও মেহরিশ এই দুজন মানুষের স্বপ্ন একদম আলাদা। এখন দেখার পালা তাদের এই স্বপ্ন কোথায় গিয়ে মিশে বা আদৌ মিশে কি না এবং রিয়াদ মেহরিসের অন্ধ ভালোবাসাকে সত্যিই অন্ধ প্রমাণিত করে কি না। পাঠ প্রতিক্রিয়া : সমাজে এখনও এক শ্রেণির কিছু পুরুষ আছে যারা তাদের স্ত্রী হিসেবে চাই একজন সতি-সাবিত্রি টাইপ মেয়ে,যে তার ঘর, সন্তান সামলাবে কিন্তু কোনো প্রকার বাইরে রোজগার করা চলবে না। তারা বাইরে যা-ই করে থাকুক না কেন।ঠিক এমন কিছুরই প্রকাশ আছে এই গল্পটিতে। তাছাড়া একজন মানুষকে চিনতে আমাদের সারা জীবন লেগে যায়, কিছু ব্যতিক্রমী হয়তো আছে। এছাড়াও কারোও সম্পর্কে শুনে কি তাকে সম্পূর্ণ চেনা যায় না কি জানা যায়?দেয়ার ইজ মোর দেন দা আইজ মেট। খুবই ছোট পরিসরের গল্প। শেষ করতে খুব একটা সময় লাগবে না। তবে এর রেশ থেকে যাবে। কারণটি হচ্ছে লেখনশৈলী। অসাধারণ লেখনশৈলী। পড়তে একটুও একঘেয়েমি লাগে নি। বরং এতো এতো একাডেমিক পড়াশোনা আর ডাউস ডাউস সাইজের রহস্যপোন্যাস বই পড়ার মাঝে এরকম ছোট ছোট গল্পগুলো একপ্রকার ভালোলাগার টনিকের মতো কাজ করে। এই গল্পটা যখন ইবুক আসবে বলেছিল খুব ভালো লেগেছিল। এখন বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।
ভালো লাগলো। অনলাইন ভার্সন থেকে গল্পের প্লট সেম রেখে পুরো লেখনশৈলী ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে এটা সুন্দর ছিলো। যদিও অনলাইনে ওই এক পর্বের গল্পটাও চমৎকার ছিলো। শেষটায় আরও একটু পড়ার তীব্র নেশা জেগে ছিলো। ইসস যদি স্বপ্ন আর মেহরিশকে আরেকটু পেতাম। মানুষের বাহ্যিক রূপ দেখে কখনও তার ভিতরটা মাপতে মেই সম্পূর্ণ না জেনে এটাই গল্পের আসল ম্যাসেজ। সব মিলিয়ে দারুণ।
সহজ সাবলীল সুন্দর গল্প। এমন ধরনের লেখা, গল্প পড়তে ভীষন পছন্দ করি। কিন্তু আফসোস খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। স্বপ্ন আর মেহরিশকে আরো পড়তে ইচ্ছা করছে।
খুব সুন্দর লিখেছেন গল্পটা। খুবই ভালো লেগেছে পড়ে যদিও ফেসবুক ভার্সনও আমার খুব পছন্দের। স্বপ্নের ছোট ছোট পিন্চ করা টকমিষ্টি কথাগুলো খুব ভালোলেগেছে। এই গল্পে একটা খুব ভালো ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে "" মানুষের বাহিরের চাক চিক্য রুপকে প্রাধান্য না দিয়ে তার ভিতরের রূপটাকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি ""। স্বপ্ন - মেহরিশ দুজনই সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়ার কাতর।
গল্পটা এত তারাতারি শেষ হয়ে যাবে বুঝতে পারি নাই। মনে হয়েছে আরো একটু বড় হলে ভালো হতো।স্বপ্ন মেহরিশের রেশ অনেক দিন থাকবে।স্বপ্ন একজন রহস্য মানব।কিছু রহস্য মনে রয়ে গেছে। স্বপ্নর পার্সোনালিটি খুব ভালো লেগেছে। তবে তার মনটা বুঝা গেল না।মেহরিশ এর প্রতি তার অনুভূতি কি? মেহরিশ এর পাশে থেকেও নেই এরকম লেগেছে।