বাবা-মায়ের সর্বস্ব বিসর্জনের ফলে আমরা যখন সুপ্রতিষ্ঠিত হই ঠিক তখনই নগরায়ণ শহরায়ণ ও বিলাসিতার পেছনে দৌড়াই। বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি দায়বদ্ধতা, দায়িত্বশীলতার হিসেব চুকিয়ে গ্রহণ করে নেই বিলাসিতা। যার ফলে বৃদ্ধ পিতা-মাতার সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ফলস্বরূপ সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে সবকিছুর সময় থাকলেও বৃদ্ধ পিতা-মাতার খোঁজ নেওয়ার কথা মনে থাকে না। ঘন্টার পর ঘন্টা প্রেয়সীর সাথে চ্যাট করার সময় থাকলেও বৃদ্ধ পিতা-মাতার সাথে দুই মিনিট কথা বলার সময় থাকে না। শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রেয়সীকে নিয়ে থিয়েটারে সিনেমা দেখার সময় হয়। তাকে নিয়ে দামি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সময় হয়। অথচ ব্যস্ততা শেষে একটু বাবা-মায়ের মুখ দেখার জন্য তাদের কাছে যেতে মন চায় না। তাদেরকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে মন চায় না। তাদেরকে নিয়ে কখনো বড় বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে দামি দামি খাবার খাওয়ার সময় হয় না। বৃদ্ধ বাবা-মা ওষুধগুলো ঠিকমতো খেয়েছেন কি-না সেই কথা জিজ্ঞেস করার মতো সময় হয় না। বাবা-মা কেমন আছেন, তাদের শরীর কেমন এগুলো জিজ্ঞেস করার সময় আমরা পাই না। কেন এত অবহেলা?