নিশিতা এবারও কোনো জবাব দিল না। চুপচাপ তাকিয়ে রইল আহরাবের দিকে। তার ঠোঁটজোড়া এখনও অনবরত কাঁপছে। আহরাব যেন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে সেই কম্পমান লাল ঠোঁটজোড়ার দিকে। অজানা অনুভূতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তার শরীর ও মনজুড়ে। ভীষণ কিছু ঘটিয়ে ফেলার ইচ্ছা হচ্ছে তার। আহরাব একটু এগিয়ে গেল নিশিতার দিকে। নিজের ঠোঁট দুটো নিশিতার লাল টকটকে ঠোঁটজোড়ার সঙ্গে মেলানোর জন্য উদ্যত হলো। নিশিতা ঢোক গিলল। দুই হাত তুলে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে বলল, "আপনি কথা দিয়েছিলেন আমার বুবুর খুনিদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার আগে স্বামীর অধিকার ফলাবেন না।" বিরক্ত হলো আহরাব। বিরক্তি ভরা কণ্ঠে বলল, "স্বামীর অধিকার ফলাচ্ছি কোথায়? একটা চুমুই তো খেতে চেয়েছি শুধু।" "এটা কি স্বামীর অধিকার নয়?" "হোক অধিকার। তবুও চুমু আমি খাবই। একটা চুমু শুধু।" "না।" "আজ দুই মাস ধরে রোজ সকাল-বিকাল দুইবার করে দাঁত ব্রাশ করছি বউয়ের ঠোঁটে চুমু খাব বলে। আর তুমি আজ বলছো চুমু খেতে দেবে না? আমি তোমার এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা জানাচ্ছি, ময়না পাখি। আমি তোমার এই নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত মানি না, মানবও না।" "আপনি এতটা ঠোঁটকাটা হয়ে গেছেন কবে থেকে, এমপি সাহেব? আগে তো আপনাকে এমন মনে হয়নি।" "তোমাকে ভালোবাসার পর থেকে। এখন এত কথা না বলে একটা চুমু খেতে দাও তো।" "না।" "একটা, প্লিজ বউ, একটা।" "বউ" এই শব্দটাই যেন ঝংকার তুলে দিল নিশিতার হৃদয়ে। হৃদয়জুড়ে যেন প্রশান্তির হাওয়া বইছে তার। এক রাশ ভালো লাগায় ভরে উঠল কর্ণকুহর। বউ! হ্যাঁ, সে আহরাবের বউ। আর আহরাব তার একমাত্র ব্যক্তিগত পুরুষ, তার স্বামী। আনমনেই নিজের ঠোঁট থেকে হাত সরিয়ে নিল নিশিতা। আহরাব খুশি হলো। একটুও সময় নষ্ট করল না। নিজের শুষ্ক ঠোঁটজোড়া মিলিয়ে দিল নিশিতার লাল টুকটুকে নরম ঠোঁটের ভাঁজে। কেঁপে উঠল নিশিতা। হৃদয়ে ঝড় উঠল প্রচণ্ড গতিতে। এই প্রথম তার ঠোঁটে কোনো পুরুষের ছোঁয়া। ছিটকে দূরে সরে গেল সে। আহরাব ভ্রু কুঁচকাল, বলল, "এটা কি ছিল?" লজ্জায় ফর্সা গাল দুটো রক্তিম বর্ণ ধারণ করল নিশিতার। মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বলল, "চুমু ছিল।" "কিসের চুমু? এ চুমু তো আমার ঠোঁটেও লাগেনি। আমার বড় চুমু লাগবে।"
বইটি পড়বো বলেও পড়া হয়নি আজকে কিনে ফেলাম পড়বো বলে ফেসবুকে এই চরিত্র ভীষণ ভালো লাগছে আশা করি এখানেও পড়ে মন পুত হবে।
Read all reviews on the Boitoi app
Tmr golpper mayai pore gelam apu tmr golpo golo jotoi pori totoi mayai pore jai atu sndor kno apu just osadharon tmi onk sndor nikot vabe leko apu akdom mon chuiye de 😌😌 onk onk sndor hoice apu 🥰🥰❤️❤️
গল্পের প্লটটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে। কাহিনীর ধারাবাহিকতা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক। সাবলীল ভাষায় লেখা গল্পটি পড়ে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে।
দারুণ একটা গল্প পড়লাম ভীষণ পছন্দের চরিত্রের। শুকরিয়া লেখিকা এতো চমৎকার লেখনী উপহার দেওয়ার জন্য।
যখন শুনেছি এই গল্পটি দ্বিতীয় আর কোন। সিজন আসবে না এটাই শেষ তখন থেকেই। অপেক্ষায় ছিলাম কখন এই গল্পটি কিনতে পারবো অবশেষে কিনলাম।আহরাব আর নিশিতার দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা 🤭 অনেক ভালো লেগেছে। এই গল্পটি রোমান্টিক+ থ্রিলার অসাধারণ একটি গল্প । উচ্চ পদে থাকলেই যে মানুষ অহংকারী হয় না। সেটা এই গল্পের আহরাব কে দেখলেই বুঝা যায়। গল্পটির নাম যেন "স্নিগ্ধ প্রেয়সি " 🦋 তেমনি গল্পটিতে ও পুরো স্নিগ্ধতা ছিল ।তোমার লেখা গল্প নিয়ে কিছুই বলার নেই। এক কথায় অসাধারণ পয়সা উসুল ।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রোমান্টিক গল্প আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
বরাবরই আহরাব আর নিশিতা জুটিটা আমার অনেক ভালো লাগে 🥰 সাদিয়া আপুর মন বিবাগী থেকে আমি আপুকে চিনি তারপর থেকে আমি আপুর সব গল্প আমি পড়ে শেষ করলাম। এখন আবার ' স্নিগ্ধ প্রেয়সী ' গল্পটা পড়লাম কি বলবো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আপু। আহরাবের ভালো বাসা নিশিতার প্রতি তার দুষ্টুমি কেয়ারিং সব মিলিয়ে অসাধারণ 🥰
উচ্চপদে নিয়োজিত থাকলেই যে মানুষ অহংকারী হয়ে যায় না সেটা এই গল্পের আহরাব চরিত্র কে দেখলেই বোঝা যায়। কঠিন ব্যাক্তিত্ববান এমপি সাহেবের বউয়ের সাথে খুনসুটি ময় ভালোবাসা+থ্রিলার মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প। প্রথম বার ই-বুক পড়ার অনুভূতি টা সত্যিই দারুণ ছিল।ভালোবাসা রইলো প্রিয় লেখিকার জন্য।
সুন্দর অনেক।
দারুণ সুন্দর একটা গল্প 🤍🤍🤍🤍
অনেক অনেক সুন্দর হয়ছে গল্প টা। পড়ে আনেক ভালো লেগেছে