বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর। বাংলেওয়ালি মসজিদ বসতি হযরত নিযামুদ্দিন রহ.-এ অবস্থিত তাবলিগি মারকায আসলেই দারুল ইসলামের জীবন্ত-জাগ্রত উদাহরণ ছিলো। এখান থেকে পরিচালিত দাওয়াত ও তাবলীগের অদ্বিতীয় মেহনত সমগ্র পৃথিবীতে উম্মাহর সবধরনের শ্রেণির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিলো। যাদের অন্তরে উম্মাহর জন্যে দরদ ছিলো, এই মেহনতের বদৌলতে তাদের অন্তরে নতুন করে আশা জাগতে শুরু করে যে, এই বুঝি ইসলামের পুনর্জাগরণ ঘনিয়ে আসছে। এখানকার আলো-বাতাসে ছড়িয়ে ছিলো নিঃস্বার্থ সেবা, আল্লাহভীতি, নিজের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দান, সহমর্মিতা ও আল্লাহর পতাকা উচ্চকিত করার সুদৃঢ় বাসনা। এমন আলোকময় পরিবেশে যে ব্যক্তি অল্প সময় হলেও অতিবাহিত করেছেন, ওই ব্যক্তি নিশ্চয়ই কোনোদিন ঘূণাক্ষরেও এ কল্পনা করেননি যে, এখানকার আলো-বাতাস একসময় আমূল বদলে যাবে। এমন দুর্দিন নেমে আসবে যে, প্রতিদিন ঝগড়া-হাতাহাতি হবে, একজন অপরজনকে নিয়ে কুধারণা করবে, পরস্পরে চক্রান্ত হবে। এমনকি প্রকাশ্যে-সবার চোখের সামনে এমনভাবে মাস্তানগিরি ঘটবে যে, জামাতের দীর্ঘদিনের মুখলিস সদস্য ও আকাবির-যারা এই মেহনতের জন্যে নিজেদের পুরো জীবন ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন, তারাও এই মারকাযকে 'বিদায়' জানাতে বাধ্য হবেন।