“এক্কেবারে মেরে দিবো।” “তোমার মতো পুঁচকে মেয়ের হাত আমার গলা পর্যন্ত উঠবে তো রুপু?” “উঠবে না?” ফিরতি প্রশ্ন রূপার। সময় ব্যায় না করে তৎক্ষনাৎ এগিয়ে এলো তাসফির কাছে। পায়ের পাতায় ভর দিয়ে দু'হাতে গলা জড়িয়ে ধরার চেষ্টা। সামান্য ঝুঁকে এলো তাসফি, মাথা নিচু করে নিলো, দু'হাতে হালকা করে জড়িয়ে নিলো মেয়েটার কোমর। এবার দু'হাতে ভালোভাবে গলা জড়িয়ে নিলো রূপা। মুচকি হেসে, “কিই? উঠলো তো মিস্টার তাসফি! এবার? মেরে দেই?” বলেই আলতো করে ঠোঁটের স্পর্শ ছুঁয়ে দিলো তাসফির গালে। ঠোঁটের হাসিটা বিস্তৃত হলো তার। হাসিটা বজায় রেখেই বললো, “উফ্! বউ। এই সামান্য আঘাতে ঘায়েল'ই তো হলাম না, মরে আর যাবো কিভাবে? এভাবে চলবে না, বড়সড় আঘাত করো। এই যে, এখানে।” নিজের ঠোঁটে ইশারায় বোঝালো তাসফি। রূপা হেঁসে উঠে ছেড়ে দিলো তাকে, মুহুর্তেই দূরে সরে গেল। বলে উঠলো, “ধুর! যান তো, তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিন। আমি খাবার দিচ্ছি।” “আরে রুপু শোন তো....” চুপ করে গেল তাসফি, মিলিয়ে গেল রূপা। হ্যাঁ! কল্পনামাত্র। এভাবেই হুটহাট মেয়েটার স্মৃতিগুলো জীবন্ত তাসফির কল্পনায়। আগমন ঘটে রূপার, আবার মিলিয়েও যায়। সামান্য হাসলো তাসফি, বেড়িয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস। এই দীর্ঘশ্বাসের শেষ কোথায়? রূপার কাছে, না-কি তার একাকিত্বে? তাসফি কি আদোতে একাকিত্ব জীবন কাটাবে, না-কি নতুন করে তার ভালোবাসা পাবে?
[ বিঃদ্রঃ নীরবে তুমি রবে গল্পটির দ্বিতীয় এবং শেষ খণ্ড এটি] মূলত আগের গল্পটির কিছু প্রশ্ন এবং একটা উত্তর দেয়ার মতো করেই এই গল্পটি এগিয়েছে । সেভাবেই পটভূমি সাজানো হয়েছে । পটভূমিতে তাই অন্য একটা ভালোবাসার গল্প এসেছে ঘটনাপ্রবাহে, যা আগের গল্পটির সাথে কোথাও একটা খাপ খাওয়ানো দেখানো হয়েছে । এই পটভূমিতে মূলত এই একটি দিকই ভালো লেগেছে শুধু । যেভাবে গল্পটা সাজিয়ে তুলে সংযোগ রাখা হয়েছে সেই ব্যাপারটা । পটভূমিতে তাই প্রেক্ষাপট তাই এসেছে । তবে এই গল্পেও প্রেক্ষাপটে আমি তেমন কোনো মায়া খুঁজে পাইনি । কোথাও একটা যেন আবেগতাড়িত হওয়ার হাহাকার লুকায়িত । বেশ খামতি ধরে রাখা গল্পটিতে সামান্য চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তা আসলে খুব একটা প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারেনি আমার । চরিত্র গঠনে এই গল্পে রুশা চরিত্রটিকে রূপার আদলে দেখানো হয়েছে । তার বেশকিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রূপার সাথে দারুণ ভাবে সংযুক্ত । সেভাবেই গল্পটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে । এই গল্পে বানান ভুলের দিকটিতে নজর দেয়া হয়েছে বেশ । বানান ভুল তুলনামূলক একটু কম ছিল । যা অবশ্যই বেশ ভালো একটা দিক ছিল । লেখকের লিখনশৈলীতে বলবো, সাধারণ একটা পটভূমি থেকেও গভীরতা না থাকলেও দারুণ ভাবে একটা গল্প সাজানো যায় । উপস্থাপন করে ফুটিয়ে তোলা যায় । এক্ষেত্রে একটু গল্পে কোথায় আরো কাজ করতে হবে তা বুঝতে হবে । কোথায় একটুকরো আবেগ দিতে হবে, কোথায় চরিত্রগুলোকে নিয়ে আরো একটু খেলা করতে হবে । কোথায় চরিত্রগুলোকে আবহের সাথে সাথে ভাসিয়ে দিতে হবে মুক্ত হাওয়ার মতো করে, যেন পটভূমির প্রেক্ষাপটে পুরোটা জুড়ে ছেয়ে যায় । সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি । লেখকের লেখার জন্য শুভকামনা রইলো । রেটিংঃ ৩.৮/৫
Read all reviews on the Boitoi app
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ই-বুক। আমার পড়া প্রথম ই-বুক এইটা। রূপা-তাসফি আমার প্রিয় জুটির মধ্যে একটি। নীরবে তুমি রবে এর শেষ অংশ পড়ে যতটা মন খারাপ হয়ে ছিল নীরন্ধ্রে নিভৃতে তুমি পড়ে ঠিক ততটা আনন্দ পেয়েছি। পরিশেষে এটাই বলব লেখিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুন্দর ই-বুক টা আমাদের উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য ❤️❤️
"নিরবে তুমি রবে" পড়ার পর যে খারাপ লাগা ছিলো, "নিরন্ধ্রে নিভৃতে তুমি" পড়ার পর সেটা পুরোপুরিই চলে গেছে। প্রত্যেকটা ভালোবাসারই যেন সুন্দর সমাপ্তি হয়। তাসফি - রুপা জুটি সবসময় এরই আবেগ। নিরন্ধ্রে নিভৃতে ভালোলাগার - ভালোবাসার গল্প হিসেবে সব সময়ই মনে গেঁথে থাকবে গল্পটি। ভালোবাসা ঠিক কেমন হওয়া উচিত তার ব্যাখ্যা বোধহয় এই গল্পটা না পড়লে বুঝতাম না। রুপাপু কে অনেক অনেক ভালোবাসা আমাদের এত সুন্দর একটা ভালোবাসার গল্প উপহার দেয়ার জন্য। তুমি আরো এগিয়ে যাও। ❤️ প্রিয় চরিত্র:- তাসফি🥰🥰 পছন্দের লাইন:- ১."শূ'ন্য'তা তো তাকেই অনুভব করানো যায়, যে বিচ্ছেদের পর একা থাকে। আমি তো তোমার স্মৃ'তি আঁকড়ে, আমার কল্পনায় তোমাকে নিয়ে বেঁচে ছিলাম রুপু" ~তাসফি~ ২. আমাকে প্রশ্ন করেছিলো, এক শব্দে আমাকে বর্ণনা করতে পারবেন? মুচকি হেসে বলেছিলাম "আমার " ~তাসফি~ পার্সোনাল রেটিং:- ১০/১০ যারা এখনো পড়োনি তাদের বলবো খুব সুন্দর ভালোলাগার, ভালোবাসার একটা গল্প মিস করছ। তাই দেরী না করে দ্রুত বই-টই অ্যাপস থেকে পড়ে ফেলো, "নিরন্ধ্রে নিভৃতে তুমি"
"তাসফির নিভৃত ভালোবাসায় রূপার চঞ্চল ভালোবাসা" অসম্ভব সুন্দর হয়েছে গল্পটা- "নীরন্ধ্রে নিভৃতে তুমি"। গল্পের নামের মধ্যেই যেন অসাধারণ কিছু রয়েছে। এটি একটি রোমান্টিক গল্প। এতে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন দুজন 'তাসফি' এবং 'রুপা' আরও অনেক চরিত্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন 'রুশা'। নিজেদের অমতে বিয়ে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাশে থাকা, দায়িত্বের খাতিরে দায়িত্ব পালন সব শেষে ভালোবাসা,আর ভালোবেসে দীর্ঘক্ষনের বিরহ, বিরহ শেষে আবার এক হওয়া এবং হ্যাপিএন্ডিং সব মিলিয়ে অসাধারণ। লেখিকা ম্যামের এই প্রথম ই-বুক আর তাও এত সুন্দর লেখা সত্যি অনবদ্য। (এই গল্পের প্রথম পার্ট "নীরবে তুমি রবে" যা ম্যামের ফেইসবুক পেইজে পাবেন যদিও প্রথম পার্টের জন্য এই পার্ট ঠেকায় না)
রূপা আপুর সৃষ্ট তাসফি-রূপা এক অনবদ্য চরিত্র। যাকে আবারও ই-বুক এর মাধ্যমে পেয়েছি। মন ভালো করার একমাএ ঔষধ তাসফি-রূপা। গল্পের শুরুতেই তাসফির একাকিত্ব, রূপা তার সঙ্গে না থাকা ব্যাপার টা পড়ার সময় অনেক খারাপ লেগেছিল। ভালোবাসা জিনিস টা গোপনীয় জিনিস। এটা প্রক্যাশে বয়ে বেড়ানোর মতো জিনিস না। সেটা বোধহয় তাসফির ভালোবাসায় প্রকাশ পেয়েছি। রূপা চলে যাওয়াতেই বোধহয় বুঝতে পেরেছে তাসফি, যে রূপা কে তার কতটা দরকার। তাসফির বলা প্রত্যেক টি কথা হৃদয়ে লেগেছে। আঁচ করতে পারছিলাম তাসফির ভালোবাসা কতটা গভীর। এককথায় তাসফির ব্যক্তিত্বে প্রেমে পড়ে গেছি। মানুষ টা তার সাথে না থাকা সত্বেও এতটাও কি না ভালোবাসা যায়। সবচেয়ে পছন্দের একটি লাইন, যেদিন তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় তীব্রভাবে মনে নাড়া দিয়েছিল নিভৃতে। [ যারা পড়েন নি তারা বিশেষ কিছু মিস করে গেছেন। গল্পটি সুন্দর পড়ে দেখতে পারেন। আমার প্রথম রিভিউ। ভুলএুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ]
তাসফি আর রূপাকে নিয়ে কোন গল্প মানেই ওটা অসাধারণ....... হোক সেটা এক পর্বের অনুগল্প বা ৬৯ পেজের ই-বুক :3
এতো সুন্দর গল্প হয়!!উফফ!!যতক্ষণ পড়েছি আলাদা একটা ঘোরের মাঝে ছিলাম।তাসফি রুপা বরাবরই একটা দারুণ চরিত্র! ওদের পড়তে আসলেই ভাল্লাগে!!এটার প্রথম পরিচ্ছেদ পড়ে মন যতটা খারাপ হয়েছিলো তার চেয়ে হাজার গুণ ভালো হয়ে গেছে।তাসফির সীমাহীন,মাত্রাহীন ভালোবাসা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।এভাবেও ভালোবাসা যায়!!তাসফি রুপুর প্রতি আগে থেকেই দূর্বলতা ছিলো এই গল্পটার মাধ্যমে আরও তাদের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছি!প্রতিটা পর্বই উৎকন্ঠা নিয়ে পড়েছি।কি হয় কি হয়...একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করেছে আর ফাইনালি সমাপ্তি তে গিয়ে এতো খুশি লেগেছে এতো আনন্দ হয়েছে যে বলে বোঝাতে পারবো নাহ।শেষ করার পর মুখে হাসি লেগে ছিলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা!এতো সুন্দর একটা গল্প দেওয়ার জন্য!! ভালোবাসা আর শুভকামনা নিও....❤️❤️
খুব সুন্দর একটা ইবুক, তাসফি-রূপার সম্পর্ক ছিলো খুব সুন্দর। তাসফির অনুভুতি, তাসফির রুপা প্রতি ভালোবাসা, রূপার জন্য অপেক্ষা সবটাই ছিলো ভীষণ সুন্দর।
অনেক অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে,, ই-বুক টা পড়ার আগে ভেবেছিলাম হয়তে তাসফি রুপার জুটি টা আর এক হবেনা,,রুপার জায়গা টায় হয়তো অন্য কোনো চরিত্র আসবে,,ই-বুক টা না পড়ে শান্তি পাচ্ছিলাম না,,আজকে পড়ে মনে না তাসফি রুপা এই জুটি টা কখনো আলাদা হওয়ার নয়,,তাসফি রুপা যেন একে অপরের পরিপূরক,,আমার ভীষণ পছন্দের আর ভালোবাসার চরিত্র এই তাসফি রুপা,, 'নীরবে তুমি রবে' এর পর আবারো তাসফি রুপা কে ফিরে পেয়েছি আমরা 'নীরন্ধ্রে নিভৃতে তুমি' তে.. নীরবে তুমি রবে এর পর নীরন্ধ্রে নিভৃতে তুমি ঠিক যেন আত্মিক শান্তি ❤️ ভালোবাসা প্রিয় লেখিকা রিধিমা জান্নাত রুপা ❤️☺️
নীরবে তুমি রবে পড়ে যা আহ্মেপ আর অপূর্ণতা ছিল। ই-বুক নীরন্ধ্রে নিভৃতে তুমি পড়ে সকল অপূর্ণতা পূর্ণতা পেয়েছে।শেষ হয়ে গেল পড়ে এত তাড়াতাড়ি, মনে হচ্ছিল শুধু পড়েই যাই।তাসফির ভালোবাসা সত্যিই অসাধারণ।আর রুপার ভালোবাসা টাও হচ্ছে অপূর্ব💗