যমুনার শীতল বায়ু আগ্রা নগরীটাকে হিম বানিয়ে তুলেছে। সোনালি রোদ হিরণ্ময় স্বচ্ছ চাদরের মতো বিছিয়ে রয়েছে। সকালবেলার দৌড়ঝাঁপ ও ছোটাছুটিতে স্থবিরতা এসে পড়েছে। আরজুমান্দ বানু প্রস্তুত হয়ে গেছে। তার চেহারাটা গোলাপের মতো পরিস্ফুট দেখাচ্ছে, যেন সেখানে রহস্যময় একটা চমক বিরাজমান, যেখানে নির্জনতাপ্রীতি আর বিষাদের বেদনা মিলেমিশে যেন একাকার। আশার একটা আলো তার মুখের ওপর নেচে বেড়াচ্ছে। নিজেকে সে ব্যস্ততার মাঝে ডুবিয়ে নিয়েছে। আরজুমান্দের এই প্রস্তুতি সেই হাসপাতালটা পরিদর্শনের জন্য, যেটা সে নিজে প্রতিষ্ঠা করেছিল। রুপার অলংকারগুলোর বিনিময়ে শাহজাদা খুররম তাকে যে-স্বর্ণমুদ্রাগুলো দিয়েছিলেন, সেগুলো এই হাসপাতালটার নির্মাণে ব্যয় করে দিয়েছিল, যেখানে গরিবদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়।