হবু বৌ অসুস্থ.... বিয়ে কবে হবে কে জানে। এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের আত্মীয়রা এত সময় ওখানে থাকতে পারবেন না কারন তাদেরও তো কাজকর্ম আছে। তাছাড়া বিয়েটা হবে কবে তাও অনিশ্চিত। তাই সবাই সেদিন বিকেলে ঢাকায় ফিরে গেলো। ব্যাপারটা কেমন ধোঁয়াটে লাগছিলো আমাদের কাছে, কিন্তু বাবা তাদের হয়ে কেমন যেন আমার প্রশ্ন গুলোর জোড়া-তালি উত্তর দিচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো বাবা কিছু লুকাচ্ছে আমার কাছ থেকে। অবশেষে সেদিন রাতে সব সত্য আমার সামনে এসে পরে। রয়া কোন হসপিটালে না, সেদিন রাত থেকে রয়া ঐ বাড়িতেই ছিলো।শুনে আমি ওকে দেখতে যেতে চাইলাম। হবু স্ত্রী, তার উপর সব হারানো আমি ওকে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে মন দিয়েছি। ওর বাবা আমাকে ঐ ঘরে যেতে অনুমতি দিলেন, এসব তার আয়ত্তের বাইরে তাই হয়তো। আমি দৌড়ে গেলাম ওকে দেখতে। দরজা খুলে দেখি বিশাল ঘরের মাঝখানে রাখা পালংকে শুয়ে আছে রয়া। ওর দুইপাশে দুজন বসে আছে। মনে হচ্ছে তারা পাহাড়া দিচ্ছেন ওকে। আমি দরজা পুরো খুলে ভিতরে ঢুকলাম। আমাকে দেখে তারা ভীষণ চমকে গেলেন। তাদের চোখেমুখের ভীতি অবাক হওয়াকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। হয়তো আমার আসার ব্যাপারটা কল্পনাও করেন নি তাই এমনি আতংক তাদের চোখেমুখে। আমি মন্থর গতিতে তার খাটের কাছে পৌঁছালে শোয়া থেকে উঠে বসলো রয়া। এ কোন রয়া? জীর্ণ শরীর, হাত-পায়ে নখের আঁচড়, অধরের মাঝ বরাবর ফেটে গিয়ে রক্ত শুকানোর দাগ। বাম চোখের নিচে কালশিটে। একদম চেনা যাচ্ছিলো না রয়া কে। কেমন যেন বিমর্ষ দেখাচ্ছিলো। সবচেয়ে অবাক বিষয় ওর পায়ে শিকল বাঁধা। আমি অবাক হয়ে ওর কাছে গেলাম। বললাম ওর এই অবস্থা কিভাবে হলো...! রয়া আমার দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বলছে - আমায় কি এখন বিয়ে করবা না তুমি? বলেই কেঁদে দিলো। শ্লেষ্মা জড়ানো কন্ঠে বললো -ও না এই বিয়েটা হতে দিবে না। ও আমাকে খুব মেরেছে তোমায় বিয়ে করতে রাজি হয়েছি তাই। বলেই আবার কাঁদতে শুরু করলো..... আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমার বাবা ও সেখানে ছিলো। আমি অবাক হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম বাবা কি হচ্ছে এসব...? বাবা আমাকে নিয়ে বাইরে এসে পরলো। আমি বের হতেই রয়ার হৈচৈ শুরু হলো। রয়ার বাবাকে আতংকিত গলায় বলতে শোনা গেলো - : “হাত বাঁধো ওর, হাত বাঁধো”
চলামান পরিস্থিতিতে বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে পড়তে শুরু করেছি। শেষটাতে এমন চমকিত হবো সত্যি ভাবতে পারিনি। শুভকামনা ভবিষ্যতের লেখালেখির তরে ❤️
Read all reviews on the Boitoi app
আচ্ছা শেষ অব্দি রয়ার কি হয়েছিলো। এদের দুজন হয়তো পুর্নতা পেয়েছে কিন্তু মাঝ থেকে রয়া হারিয়ে গেলো?
ভালো লাগলো, তবে এরপর আরও ভালো কিছু চাই।
ভালবাসা এমনও হয়? গল্পটা হরর কম রোমান্টিক বেশী। বেশ ভালো লগেছে গল্পের প্লট। গল্পের নাম আর গল্পের প্লট মিলেমিশে একাকার। শেষর লাইনগুলো মন ছুঁয়ে গেছে। সত্যি যাকে ভালোবাসি সে যদি তা উপলব্ধি করে তাহলেই ভালোবাসা স্বার্থক। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।