রফিকের অবশ্য এতোরাত পর্যন্ত কাজ থাকে না। রাত বারোটায় শেষ নিউজটা কম্পোজে পাঠিয়ে দিয়ে সে বাসার দিকে পা রাখে। সাড়ে বারোটা কিংবা পৌনে একটার মধ্যেই বাসায় ফিরে আসে। অফিসের গাড়ি রফিককে বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায়। রেবা জেগেই থাকে। রফিক ফিরে এলেই দরজা খুলে দেয়। প্রতিদিন এমনটিই হয়। কোনো ব্যতিক্রম হয় না। রফিক এজন্যে রেবার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। রেবার জন্য রফিকের দুঃখ হয়। কিন্তু কোনোকিছু করার নেই। স্বল্প আয়ের লোকদের এই এক যন্ত্রণা। সকল সময়টাই যেন যুদ্ধ করা। সময়ের সাথে যুদ্ধ, জীবনের সাথে যুদ্ধ, বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ।