মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী ছেলে মুশফিক। ইন্টার পড়াকালীন সময়ে আকস্মিক বাবার মৃত্যু ঘটে।এরপর মধ্যবিত্ত জীবনে যা ঘটে,বড় ছেলে হবার দরুন দায়িত্ব বেড়ে যায়।দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পড়ালেখাটা চালিয়ে যায়।একদিন তার অদম্য ইচ্ছায়, স্বপ্নও পূরণ হয়। মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমায়।সেখানে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ হয় মেধাবী মুশফিকের। বাংলাদেশে থাকাকালীন অনেক স্মৃতি মনে পরে তার।পরিবারের খরচ বহন,পরিশ্রম করা,তারপর পড়ালেখা করে এ পর্যন্ত আসা সবই একে একে ভেসে ওঠে চোখের সামনে। কিন্তু হঠাৎ মনে হয় সে কিছু একটা ভু্লে গিয়েছে।তাই সে কিছু একটা অস্বাভাবিক ভাবে তার সাথে যোগাযোগ করতে চায়। "মিথিলা" নামটি শুনে মুশফিক অবাক হয় কিন্তু আরও অবাক হয় এই নামের মানুষটি জীবিত নেই!অথচ এই মিথিলা নামক রহস্যময় মানবী তার সাথে স্ন্যাপে যোগাযোগ করে।পাঠায় অদ্ভুত কিছু ভিডিও ও বারতা। এরমধ্যে রানা আসে আমেরিকায়। রানা,মুশফিকের-ই বন্ধু।সেও সেখানে পড়াশোনার জন্য আসে। বন্ধুর কাছ থেকে মিথিলার বিষয়টি রানাও জানতে চায়। মুশফিক, রানা দুজনেই বাংলাদেশে আসে।হঠাৎ রানার বাইক এক্সিডেন্ট হয়।রানার বোন মিনু,মুশফিকের কাছে রানার একটা লাল রঙা ডায়েরি দেয়। রানার ডায়েরি পড়ে মুশফিক হতবম্ভ।কারণ গোটা গোটা হরফে রানা তার জীবনের ভালো লাগা মুহুর্ত গুলো লিখেছে।লিখেছে তার ভালোবাসার কথা। আর যাকে ঘিরে লিখেছে সে আর কেউ নয়,সে "মিথিলা"! কিন্তু কে এই মিথিলা? মিথিলার সাথে রানার সম্পর্ক হলে মুশফিককে কেন কেউ ভিডিও গুলো পাঠাবে?আর তাকে " বেঈমান" সম্বোধন করে, কী কারনে দোষারোপ করবে?মিথিলা মারা যাবার পর-ই বা কেন ঘটবে এসব অবিশ্বাস্য ঘটনা! শেষ অবধি মিথিলার কী ঘটেছিলো, মুশফিক কিংবা রানার সাথে-ই বা কী যোগসূত্র এবং ভিডিও গুলোর সত্যতা কী ছিলো ইত্যাদি জানবার আগ্রহ পরিসমাপ্তি ঘটাবে গল্পের শেষতক চিত্রে।পড়ার আমন্ত্রন রইলো।
রহস্য গল্পটির মধ্যে ভৌতিকতা আছে।পড়ার মধ্যে অন্য রকম সাধ এনেছে। নতুন গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইলো।
Read all reviews on the Boitoi app
সুন্দর হয়েছে গল্প।লেখকের জন্য শুভ কামনা
অসাধারন লেখনী। চিন্তা শক্তিতে নতুনত্ব আছে। ভবিষ্যতে আরো ভালো ভলো লেখা পাব আশা করছি।
চমৎকার ভৌতিক গল্প ।অসাধারণ লেখনী।