সুখপাখিটা হুট করেই যেন ধরা দিলো তার মনে, ডানা ঝাপটিয়ে উড়তে শুরু করলো মুহূর্তেই। সুখ সুখ অনুভূতি তীব্র থেকে তীব্রতর হতে লাগলো, সেই সুখময় অনুভূতি'টা স্পষ্ট হলো ঠোঁটের কোণে। সেভাবেই ঠোঁটে একরাশ হাসি ঝুলিয়ে রুম ছেড়ে বেড়িয়ে এলো রূপা। সোজা হয়ে যেতে লাগলো ডাইনিং রুমে। তার আগেই বসার ঘরে বড়মা ও ফুপিকে দেখে থেমে গেল, এগিয়ে এলো সেদিকে। বড়মা ও ফুপির সাথে আরও দুই ফুপি ও চাচীকে দেখতে পেল। তাদের সামনে দাঁড়িয়েই মুখের হাসিটা বন্ধ করে ফেললো রূপা। তার কথাতে তাসফির থেকে যাওয়াটা যেন সে কল্পনাও করতে পারেনি, যখন করতে পারলো, তখন চোখে-মুখে এক উচ্ছ্বাস নেমে এলো। সেটায় যেন নিজেকে সামলে নিলো রূপা। তাকে দেখে রেহেনা বলে উঠলো।
Onek shundor golpo. Calm and subtle story no complications. Shudhu ending ta onek kosto dilo. Dinshese jen bole gelo shundor valobashar ayu kom. Tasfir moto ekjon manus pete icche kore. Je agle rakhbe amr jeddgulo mene nibe. Tokhon mone hobe valobashar ayu kom hok jotodin valobasha thakbe ta jen praptir valobasha hoi. Tasfi rupar valobasha pele olpo somoyer valobasha ek proshanti ene dei.
Read all reviews on the Boitoi app
এই গল্পটার মাধ্যমে মূলত রূপা আপুর সাথে পরিচয়। অন্যরকম কাজিন গল্প। কথা কথিত ফেসবুক কাজিন গল্প গুলো এইটা একটু ভিন্ন। তবুও সন্তুষ্ট পড়ে। তাফসি একটা চরিত্র যা মনে স্থান করে নিয়েছে। ওদের পড়ে মনে হয় না কেউ বোর হবে। এত স্নিগ্ধ একটা জুটি। গল্পটা পড়ে ভালোই লাগল। কিন্তু শেষের পাতা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। ইশশশ! ভালোবাসার মানুষ এর হারিয়ে যাওয়া কত্ত কষ্টদায়ক ব্যাপার। আপুকে ধন্যবাদ গল্প টার জন্য 🩵
একটা সরল, ছিমছাম পটভূমিতে গল্পটিকে সাজানো হয়েছে । যে পটভূমিতে গল্পটা বয়ে গিয়েছে যেন নিজের মতো করে । কোথাও একটা নিজস্ব বাচনভঙ্গি ছিল, যা দ্বারা নিজের মতো ধাঁচে গল্পটা বয়ে গিয়েছে । প্রেক্ষাপট গল্প অনুযায়ী আনা হয়েছে । গল্পটার নিজস্ব স্বকীয়তায় প্রেক্ষাপট সাজানো হলেও প্রেক্ষাপটে খানিকটা তাড়া ছিল । যে কারণে মনে হয়েছে পটভূমিতে আরেকটু সময় দেয়া যেতে পারতো । প্রেক্ষাপটে রূপ নিয়ে থাকা এই গল্পটিতে যখন দৃশ্যপট এসেছে, তখন দৃশ্যপটে প্রতিটি দৃশ্যকে ভীষণ ভাবে ভারসাম্যপূর্ণ করার চেষ্টা করা হলেও খানিকটা তাড়াহুড়োর ছাপ পাওয়া যায় । যে কারণেই স্বাভাবিকভাবেই গল্পে আবহের জায়গাতেও সূক্ষ্ম উপস্থিতি কম রয়েছে । হয়তো গল্পটা যেভাবে সাজানো হয়েছে, যেভাবে লেখক তার নিজস্ব লিখনশৈলী দিয়ে সাজিয়ে লেখার চেষ্টা ছিল তা দারুণ চেষ্টা ছিল । তবে কোথাও একটা সময় দিয়ে লেখার ব্যাপারটিও ছিল । চরিত্র গঠনে এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র রূপা কিংবা তাসফি দুই চরিত্রের গঠনেই খানিকটা ধোঁয়াশা । ভালোবাসা যেন হুট করে চলে আসে । তবুও অনুভূতিগুলো আরেকটু বিস্তারিত ভাবে দেখানো যেতে পারতো । আরেকটু কাছে আসা যেতে পারতো । দুই চরিত্রের চারিত্রিক গঠন এবং বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তনগুলো যে হয়েছে সময়ের সাথে সাথে তা আরেকটু সময় নিয়ে দেখানো যেতো । এই গল্পে বানান ভুলের বিষয়টিও বারবার এসেছে । প্রচুর বানান ভুল থাকায় গল্পটি পড়তে মাঝে মাঝেই মনোযোগ চলে যাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে । হয়তোবা বানান ভুলগুলো না থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা গেলে পটভূমি এবং পড়ার সময়ে আরেকটু মন ধরে রাখা যেতে পারতো । রেটিংঃ ৩.৭/৫
"নিরবে তুমি রবে" সম্পূর্ণরূপে পড়ে শেষ করা আমার প্রথম ই-বুক। আমি লেখিকার গল্প আগে কখন পড়ি নি। তবে একদিন ফেসবুকের নিউজফিডে হঠাৎই গল্পের আংশিক পড়ে গল্পটা শেষ করার লোভটা সামলাতে পারি নি। তাই বইটই-তে বুকটা ডাইনলোড করে ফেললাম। তারপর আর কি পড়া শুরু। গল্পটার ব্যাপারে যত বলবো কম মনে হবে। তবে যা না বললেই নয় তা হলো আজকালকার হাজারো অশ্লীল, বাজে গল্পের ভিড়ে " নিরবে তুমি রবে" ভিন্ন একটা গল্প যাতে যাতে নেই অশ্লীলতার ছোয়া, যে গল্প পাঠককে তার মনোযোগ কে শেষ "সমাপ্ত" শব্দটা পর্যন্ত আকড়ে রাখে। গল্পটা কাজিন রিলেটেড, যেখানে হঠাৎই এক পবিত্র বন্ধনে বাধা পরে তাসফি ও রুপা। যে সম্পর্কটা শুরুতো হয়েছিল একে-অপরের প্রতি দায়িত্ব থেকে তবে সেটা আস্তে আস্তে রুপ নিয়েছে ভালোবাসায় এবং পরিশেষে এক না হারানো ভালবাসায় যা রয়ে গেছে নিরবে, কল্পনায়। মেইন চরিত্র গুলোর ব্যাপারে বলার আগে বলতে চাই যে, গল্পের প্রতিটি পাশ্ব চরিত্র ছিল ভীষণ সাপোর্টিভ। এমন সাপোর্টিভ চরিত্র শুধু গল্পে মানায়, যা আমাদের কিছুটা হলও শান্তি দেয়। কেননা আমাদের বাস্তব সমাজে তা বিরল। পুরো গল্পে আমি কোনো নেগেটিভ চরিত্র পাইনি যেটা গল্পটা ভালো লাগার কারণগুলোর মাঝে একটা। তাসফি-রুপা গল্পের মেইন চরিত্র। তাসফি একটা কেয়ারিং চরিত্র যে তার পরিবার ও কাছের মানুষদের আগলে রাখতে চাই সবসময়। আর রুপা অনেকটা শান্ত স্বভাবের একজন। যে নিজের মৃত বাবা-মায়ের শেষ ইচ্ছে গুলোর একটা পুরণের জন্য এবং পরিবারের তাসফিকে বিয়ে করতে রাজি হয় এবং তাসফি ও রুপার পরিবার রুপার কোনো এক অজানা বিপদের কারণে তাসপির সাথে রুপার দ্রুত বিয়ে দেয়। সবশেষে গল্পটা অনেক অনেক সুন্দর। তবে রুপার বিপদ আর নতুন সদস্যের ব্যাপারে তেমন ক্লিয়ারেন্স অন্তত আমি পাই নি। অন্যদের ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে। পারসোনাল রেটিং : ৯/১০ ( ১ কম কারণ ক্লিয়ারেন্স আর এন্ডিং-এ লেখিকার নিষ্ঠুরতার জন্য 🥺) আমার রিভিউতে ভুল থাকতেই পারে কারণ আমি গুছিয়ে রিভিউ দিতে পারি না। তবে গল্পটা একবার হলেও পড়া উচিত।
খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো
❤️❤️
❤️❤️❤️❤️❤️❤️
এই গল্পটা নিয়ে যা ই বলি না কেন, কম পড়ে যাবে। আমার হৃদয়ে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটে যাওয়া গল্প এটি। অসাধারণ একটা গল্প। যা সবসময় হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।
🖤🖤🤎🤎