মাঝখানে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। এই কয়েকদিনে মাত্র একবার দেখা হয়েছে আহরাবের সাথে। ইদানীং কোনো একটা কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছে লোকটা। তার মধ্যেও দুই মিনিট সময় পেলেই দৌড়ে আসছে নিশিতার কাছে। তবুও নিশিতার মনে যে একটুও দয়া-মায়া হচ্ছে না তার জন্য। এ কেমন অনাচার তার সাথে? আজ নিশিতার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বরাবরই তার পরীক্ষা ভালো হয়। আজও ভালো হয়েছে পরীক্ষা। মাত্রই পরীক্ষা দিয়ে হল থেকে বের হলো সে। কিন্তু গেটের সামনে আসতেই ভ্রু কুঁচকে গেল। জিসান হাতে একটি ডাব, একটি টিস্যু বক্স আর একটি বোতল ঠান্ডা পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিশিতাকে দেখেই সে এগিয়ে এলো। এক হাতে ডাবটা নিশিতার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, "ম্যাম, ডাব।"
অসাধারণ একটা ইবুক ফ্রি তে পাওয়া গেল।
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো...❤️আগেও পড়েছি তবুও বারবার পড়তে ইচ্ছে হয়...😌
এই উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে, ভালোবাসা শুধু মিষ্টি না, অনেক সময় কষ্টেরও হয়। নিশিতাদের সম্পর্কটাও ঠিক তেমন—মিষ্টি, কিন্তু ভাঙাচোরা আবেগে ভরা। গল্পটা খুব ধীরে ধীরে চলে, কিন্তু একবার শুরু করলে থামতে মন চায় না। লেখার ভাষা সহজ, পড়তে আর বুঝে আসে খুব তারাতাড়ি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে—চরিত্রগুলোর আবেগ খুব বাস্তব মনে হয়েছে। এই উপন্যাসে প্রেম, ভুল বোঝাবুঝি, অপেক্ষা—সব আছে। যারা আবেগময়, মন ছুঁয়ে যাওয়া প্রেমের গল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য "মন বিবাগী" একবার হলেও পড়া উচিত।
ভীষণ সুন্দর হয়েছে.. পেয়েও হারানোর মর্মার্থ টা খুব ভালো করেই বোঝানো হয়েছে
উপন্যাসটি খুবই সুন্দর।।আপনার লেখার মধ্যে যাদু আছে।উপন্যাসটিআমার প্রিয় হয়ে গেছে।এত সুন্দর উপন্যাসটি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
দারুণ একটা গল্প।
লেখকের কোন লেখা আগে পড়া হয়নি। সত্যি বলতে অপরিচিত আর ফ্রি ই বুক তেমন পড়াই হয় না। একজন সাজেস্ট করায় গল্পটা পড়তে শুরু করি। প্লট, লেখনশৈলী, চরিত্র বিশ্লেষণ ভালো ছিলো। একেবারে টপনচ বলব না, তবে অনেক বড় বড় লেখকের বেস্টসেলার ই বুকের থেকে অনেক ভালো লেগেছে। বেশকিছু বানান ভুল ও মিজান কে মিরাজ লেখা হয়েছে কয়েকবার। তবে সবমিলিয়ে ভীষণ উপভোগ্য ছিলো গল্পটা। লেখককে আরও বেশি বেশি অনুশীলন করার অনুরোধ রইলো। শুভকামনা জানাই,এভাবেই লিখতে থাকুন।
খুব ভালো লেগেছে। একটানা পড়ে শেস করছি।
এই পৃথিবীতে আমি অবাক হয়ে ভীষণ ভালোবাসি । আরো ভালোবাসি মায়াকে । যে পৃথিবীতে অনেকগুলো মায়া এসে আমাকে অবাক করে, সেই পৃথিবীকে ভীষণ আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে । পাঠক এই সত্তা মনে যখন অদ্ভুত ভাবে কড়া নেড়ে বলে, নতুন এই লেখকের লেখাটা পড়ে দেখো তো । দেখে অদ্ভুত ভাবে মনে টেনে নেও । আমি তখন ইশারায় হাতছানি দিয়ে সবসময়ই বলি, ইশ্ এই গল্পটা ভালো হোক । হয়তো পৃথিবীর কাছে কোনো লেখক চেনা হয়ে ধরা দেয় । কিন্তু তার লেখাই অচেনা হয়ে থেকে আমাকে মায়া বাড়িয়ে দেয় । মায়ায় আঁকড়ে নিতে জানায় । আমাকে বলে দেয়, অচেনা এই শব্দরাজ্যগুলোই তোমাকে বারবার বলবে অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে বলতে, হে পৃথিবী আমাকে এই পাঠকের মনে পুরোপুরি দিয়ে দিলাম । ইদানিং বইটইয়ে আমি শুধু ঘুরে বেড়াই ইবুকের অংশবিশেষ পড়ার জন্য । কোনো অংশবিশেষ পড়তে পড়তে আমার মনে একটুখানি ধক করে উঠলেই আমি হেসে দিয়ে যেন নিজেকেই বলি, এই যে নিলে মনে জড়িয়ে । একসময় দেখবে পাঠক হিসেবে আরো আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করবে আরো কতশত লেখা । যে পৃথিবীতে অচেনা অনেক শব্দ লুকিয়ে ঘুরে বেড়ায়, সেই পৃথিবীকে আমার ডেকে বলতে ইচ্ছে করে, হে পৃথিবী! আমি শব্দরাজ্যকে নিজের মনে টেনে নিতে চাই । যে গল্পগুলো সম্পূর্ণ নতুন হয়ে গল্পের পটভূমিতে গভীরতাসম্পন্ন হয়ে মানসিকতায় আবেশ দিয়ে অনুভব করায়, সেই গল্পগুলোকে তুমি আমার মনের হয়ে করে দাও । আমার মনেই শুধু ঘুরে বেড়াতে দাও । আমার তখন মনে হয় এই পৃথিবী যেন তখন অদ্ভুত সুন্দর করে হাসে । হেসে দিয়ে বলে, প্রিয় তুমিই এক আজন্ম পাঠক । যে শব্দরাজ্যে বুনন দিয়ে তৈরি করা মায়ারাজ্য আবিষ্কার করতে করতে তা দিয়ে মনের মাঝে নকশী কাঁথার জন্ম দিয়েছে । সেই নকশী কাঁথায় শুধু শীতলতা আর শীতলতা । আমি জানি না কেনো এই পৃথিবীতে আমার আরো বলতে ইচ্ছে করে, যে লেখককে আবিষ্কার করা আমার প্রথম পড়া গল্পটি, সেই গল্পটি প্রিয় এবং বিশেষ হয়ে ধরা দিলে আমার মাঝে অদ্ভুত এক হাসি যেন ধরা দেয় । সেই হাসি বোধহয় পৃথিবীতে কেউ কখনও দেখেনি । কেউ কখনও ছুঁয়ে দিয়ে বলেনি, তোমার এই হাসিটাও বইয়ের সাথে সাথে, গল্পের মায়ায় মায়ায় রেখে দিয়ে যাও । আমিও যেন অদৃশ্যে হাত ছুঁয়ে দিতে দিতে বলি, রেখে দিলাম । রেখে দিলাম । প্রিয় গল্পগুলোর মতোও এই গল্পেও কোথায় যেন এক দারুণ অদ্ভুত গভীরতা । মন কাননের বিকেল । পটভূমিতে যেন অদ্ভুত এক আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র । রোমান্টিক পটভূমিতে আবেশিত করা কোনো গল্পে আমি প্রতিবার মোহে পড়ি । যেখানে নতুন নতুন ভাবে, নতুন শব্দে আকর্ষিত করে গল্পকে সাজিয়ে প্রেক্ষাপটে অদ্ভুত দৃশ্যায়ন করা হয় সেখানে যেন আমি আরো ভালোবাসায় ছেয়ে যাই । অনেকদিন পরে আবারও সেরকম পাঠক হিসেবে অনুভব হচ্ছে । পটভূমি দারুণ । দারুণ এই গল্পের প্রতিটি আবহ । আবহগুলোতে যেন কোথাও একটা অদ্ভুত সুর আঁকড়ে ধরে বসে ছিল । সেই সুর ভায়োলিনের মতো নেশায় আসক্ত করার মতো করে যেন মিলেমিশে একাকার করে দেয় পৃথিবীকে । জানিয়ে দেয়, একাকার করে দিলাম । একাকার করে দিলাম । যদিও গল্পের শেষের দিকে এসে যেন সুরে একটু যেন অন্যরকম ভাবে গল্প বয়ে গিয়েছে, তবে তা যেন গল্পের ঘটনাপ্রবাহ এবং গতি প্রবাহে অন্যদিকে মোড় নেওয়ার জন্যেই । এছাড়া গল্পের প্রতিটি চরিত্রের বর্ণনা সুন্দর । সুন্দর মূখ্য দুই চরিত্রে থাকা আহরাব এবং নিশিতার চরিত্র গঠন । দারুণ সুন্দর ভাবে চরিত্র গঠন এবং তাদের উপস্থিতি অনুযায়ী গল্পে আবহ যেভাবে আনা হয়েছে । তবে গল্পের ঘটনাপ্রবাহ এবং প্রেক্ষাপট অনুযায়ী জিসান এবং লীনা চরিত্রের মধ্যকার রসায়ন এবং চারিত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে আরেকটু সময় যেন দেয়া যেতে পারতো । এক্ষেত্রে কোথাও একটা তাড়াহুড়ো করা হয়েছে যেন । এছাড়া গল্পের কিছু কিছু অংশবিশেষ আমার বেশ প্রিয় হয়ে ধরা দেয় । কিছু কিছু জায়গার বর্ণনা পড়ে আমার মনে হয়েছে, এরকম লিখনশৈলী পড়ার মাধ্যমে আমি আটকে গিয়েছি নতুন কোনো এক মায়ায় । পরিশেষে বলবো, লেখকের লেখা আমার না পড়ার দরুণ আমি তেমন একটা জানতামও না । কিন্তু শুধুমাত্র বইটইয়ে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে লেখকের লেখা পড়ে ফেললাম । এবং পড়তে পড়তে মনে হলো গল্পটা যেভাবে সাজানো হয়েছে তা বেশ ভালো । বেশ দারুণ ভাবে বইটই তা উপস্থাপন করেছে । তবে কিছু কিছু জায়গায় টাইপিং মিস্টেক আছে । যদিও এরকম গল্প একেবারে বিনামূল্যে পড়ায় খানিকটা অবাক হলেও অদ্ভুত এক হতাশ ভাব অনুভব করেছি কোথায় যেন । মনে হয়েছে যেন কোথাও একটা বলি, এই ধরনের লেখায় ভারসাম্য বজায় রাখতে হয় । আর সেই ভারসাম্য হিসেবে বিনামূল্যে মোটেই নয় । যাহোক আমার এই অদ্ভুত অনুভূতি কোথাও বেরিয়ে আসুক বা না কিন্তু কখনও কখনও কোনো এক মন খারাপের রাতে, বিষণ্ণ সুরে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনতে শুনতে কবে কোথায় এক দিন হয়তো হঠাৎ করে মনে পড়বে মনবিবাগী এর কথা । মনে পড়বে যেন কত কিছুই । তবুও হায়, সব তো লেখা হয় না । এই পৃথিবীতে আমার সবথেকে বড় আফসোস করা জায়গা কোনটা জানেন, নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করা পুরোপুরি । বারবার মনে হয় যদি পারতাম, তাহলে পুরোটা কুড়িয়ে এনে জমা করতে করতে বলতাম, লিখে নিয়ে নাও । সব লিখে নিয়ে নাও । অনুভূতি নিয়ে মনের আবেশ সব মুছে নিয়ে লেখা হয়ে যাও রাজ্যে রাজ্যে । তবু হায়, সব ফুটিয়ে তোলা হয় না । বোধহয় এই কারণেই পৃথিবীতে মনের চেয়ে দামী অনুভব আর কোথাও নেই । এই পৃথিবীতে নেই । না এই কোনো অদৃশ্যে আছে!
Sera juti