বিশাল চত্বরে এখন অধিবাসী বলতে আধ ডজন সবুজ কাকাতুয়া, বিশ ফুট উঁচু একটা পাম গাছের ডালে বসে কর্কশ চিৎকার করছে। নানারকম ফুল, গাছপালা, লতায় ছেয়ে রয়েছে চত্বর। অনেক খুঁজেপেতে নিশ্চয় গহীন জঙ্গল থেকে এনে ওগুলো লাগানো হয়েছে ওখানে। রানশ এলাকার মাঝখানে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম বন। খুদে বনের মাঝখানের একটা কৃত্রিম ঝর্না। চমৎকার এই দৃশ্য দেখার মত মেজাজ নেই এখন কিশোর ও মুসার। আরেকবার বাতাস চিরে দিল যেন সেই রোম-খাড়া করা চিৎকার। স্পষ্ট বোঝা গেল, চত্বরের ওপাশের বাড়িটা থেকে আসছে। 'এসো,' বনের ভিতর দিয়ে ছুটল কিশোর। মাথার ওপরে দ্বিগুণ জোরে চেঁচাতে শুরু করল পাখিগুলো। 'কিশোর, আমরা হয়তো...' দরজার কাছে পৌঁছে বলল মুসা। হাত নেড়ে তাকে থামিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে দরজা সামান্য ফাঁক করল কিশোর। আবার যেন চিৎকারটা এসে ঝাঁপ দিয়ে পড়ল ওদের ওপর।
Read all reviews on the Boitoi app