সান্তা মনিকা পর্বতের একটা উঁচু উপত্যকায় গুরুদেবের আশ্রম। মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দু'দিকে দুই চূড়া। আশ্রমে যাওয়ার একমাত্র পথের দু'ধার থেকে এসে যেন রুদ্ধ করে দিতে চাইছে পথটাকে। শিষ্যরা বিশ্বাস করে, অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী গুরুদেব। এই উপত্যকা তাঁর সৃষ্টি। মাটি খুব উর্বরা এখানে, ফসল ভাল জন্মে। এখানে চাষবাস করে গুরুদেবের অনুসারীরা। নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় শস্য ও শাকসব্জি রেখে বাদবাকি বিক্রি করে আসে পাহাড়ের নীচের একটা ছোট্ট শহরে। শহরটার নাম পিকউই। দরকারি অন্যান্য জিনিসপত্র কেনে। চাহিদা খুব কম ওদের। সামান্য টাকাতেই হয়ে যায়। সুন্দর সাধারণ জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওদেরকে গুরুদেব। অপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবহার জীবন থেকে বাদ। সাদাসিধে জীবন, সুখের জীবন-এটাই গুরুদেবের শিক্ষা। ঘরবাড়িগুলোও খুব সাধারণ। কাঠের তৈরি কুঁড়ে। ছেলেদের জন্য আলাদা কুঁড়ে, মেয়েদের জন্য আলাদা। গাদাগাদি করে চারপায়া রাখা হয়েছে কুঁড়েগুলোতে, একেকটাতে চল্লিশটা করে। তাতে ঘুমায় শিষ্যরা। কোনও অসুবিধে হয় না অনুসারীদের। খুব সুখী ওরা এখানে।