ফিরে তাকাল রবিন। কিশোরের মোপেডটাকে রাস্তার পাশে গড়াতে দেখল। থেমে গেছে কালো গাড়িটা। ব্রেক কষল রবিন। একশো আশি ডিগ্রি মোড় নিয়ে বাইক ঘোরাল। ছুটল পড়ে থাকা দোমড়ানো বাইকটার দিকে। খানিক দূরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখল কিশোরকে। দুজন লোক ঝুঁকে দাঁড়িয়েছে ওর ওপর। একজনের কুৎসিত চেহারা, ভুরুজোড়া অদ্ভুত। আরেকজন একটা মস্ত কোলাব্যাঙ। ওরাই যে টনি ও ফ্রগ, রবিন জানে না। রবিনকে দেখে হাসল টনি। 'এসো এসো। বন্ধুর জন্য অনেক মায়া, তাই না?' কিছু একটা করা দরকার, ভাবছে রবিন। কিন্তু কী করবে? যেন ওর মনের কথা পড়তে পেরেই টনি বলল, 'কিছু করার চেষ্টা কোরো না। লাভ নেই।' পকেট থেকে পিস্তল বের করল সে। 'নামো!' বাইক থেকে নেমে দাঁড়াল রবিন। স্ট্যান্ডে তুলে রাখল।