১৯৯৪ সালের শেষে অথবা ১৯৯৫ সালের প্রথমে আবার এক প্রস্থ যুদ্ধ শুরু হলো। এবার গ্রামের দিকে নয় শহরে। খোদ প্রধানমন্ত্রী রাব্বানী ও মাসুদ আহমেদ শা এবং হাজি রুস্তমের সঙ্গে সরাসরি তালেবানের যুদ্ধ। শহরের অধিকাংশ মানুষ চলে গেল কাবুল ছেড়ে, কেউ পাকিস্তানে কেউ বা দিল্লি আবার কেউ বা গ্রামে। চার মাস পরে আবার এক বিধ্বস্ত যুদ্ধ। আচমকাই শুরু হয় এই কর্মকাণ্ড। শহরেই হোক আর গ্রামেই হোক যুদ্ধ- যুদ্ধই হয়। সেই দুর্বিসহ পরিস্থিতির প্রতিফলন আমাদের গ্রামে পড়ল। আমার জীবনে এমন দুঃখ, কষ্ট, বিপর্যয় দিয়ে ঘেরা হবে তা-কি আঁচ করতে পেরেছি কোনোদিন অতীতের সুন্দর স্বপ্ন মাখানো দিনগুলোতে? বর্তমানে যুদ্ধ বাধাতে আমি একেবারেই যেন ভেঙে পড়তে লাগলাম। আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছিলাম যে এ যুদ্ধ কোনো ভালো কিছু করার সংগ্রাম নয়। এ কেবল ক্ষমতা দখল ও ভয়ঙ্কর এক ধর্মের মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের আবর্তের মধ্যে সারা পৃথিবীর মানুষকে বাধার চেষ্টা মাত্র। এ যুদ্ধ কোনো দারিদ্রতার বিরুদ্ধে কিংবা দেশের শান্তি প্রকল্পের বাসনা নয়।