মনে রেখাে, তুমি যে জগতে বাস কর তাতে তােমার উপর বর্হিজগতের প্রভাব পড়ে থাকে । তুমি সব সময় অন্যের কাজ—চিন্তা রীতিনীতি—তােমার কর্তব্য ও দায়িত্ববােধের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছ । তােমার কাজের প্রভাব যেমন অন্যের কাজের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তেমনি অন্যের কাজের প্রভাবে তুমিও প্রভাবান্বিত হও। তবুও এসবের মধ্য দিয়েই তােমাকে এগিয়ে যেতে হবে। নিজের মনের মত করে বাঁচতে হবে—নিজের মনের মত করে চলতে হবে—নিজের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে। প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকেরা বলতেন, নিজেকে জানাে। এটাই হল সব দিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী হওয়ার মূলমন্ত্র। তােমার জীবনকে পছন্দসই মত তৈরি করে নিতে হলে, তােমার অন্তর্নিহিত ব্যক্তিকে কাজে লাগতে হলে—আগে তােমার নিজেকে জানতে হবে। আর তখনই আমরা খুব সহজেই সুখের উপত্যকায় পৌঁছে যাবাে। | আবার তুমি যেন একথা ভেবাে না যে, আমি গাড়ির পেছনের সিটে বসা চালক। আমি তােমাকে। রাস্তার ম্যাপ দিয়ে দিচ্ছি, যাতে ধন-সম্পদ ও সুখ-শান্তি খোঁজার যাত্রাপথ তােমার কাছে খুবই মসৃণ ও খুবই সহজসরল হয়।