শুভামনির বয়স তখন পাঁচ বছর। মায়ের লাল পেড়ে শাড়িটা গায়ে পেঁচিয়ে, তার মা যে ভাবে ঘোমটা দেন। ঠিক তেমন করে ঘোমটা দিতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। তবুও চেষ্টার কোন কমতি নেই। বিড়বিড় করে একা একা কথা বলছে। তার মা যে ভাবে কথা বলে ঠিক তেমন করে। খেলার ছলে মা সেজে মায়ের কথাগুলো নিজের মুখে বসিয়ে। প্রশ্ন করে আবার একাই নিজের তৈরি করা উত্তর দিচ্ছে নিজের কাছে নিজে। শুভামনির বাপ কাকারা চার ভাই। শুভামনির বাবা মোহন কান্ত দ্বিতীয়। সবার বড় নলিন কান্ত নিঃসন্তান। বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় উঠোনের পাশে রক্ত জবা ফুল গাছ। ফুল গাছের কাছে এসে গলা কেশে, নলিন কান্ত ছোট ভাইয়ের বউদের সাবধান করে দিলেন। যাতে তারা আগে থেকেই মাথার ঘোমটা টানতে পারে। হাতের কাজ রেখে যেন তাড়াহুড়া করে মাথায় শাড়ি টানতে না হয়।