এই গ্রন্থটিতে ড্যালরিম্পল হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সম্পর্কের পরিবর্তনের কথা বর্ণনা করেছেন। তখন খ্রিস্টান মিশনারিগুলির প্রভাব ছিল প্রবল এবং ওয়ালিওল্লাহর শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ-বিরােধী যুদ্ধকে ধর্মীয় জিহাদ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। উভয়পক্ষই সমানভাবে দিল্লীর শহরের ধ্বংস ডেকে আনে । লেখকের মতে ১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লীতে জীবিত মুসলিম পুরুষের সংখ্যা এক হাজারের বেশি ছিল না। অল্পসংখ্যকদের মধ্যে গালিব তার কৌশল ব্যবহার করে মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেয়েছিলেন । ড্যালরিম্পল গালিব ও জউকের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্বের একটি সঙ্গতিপূর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন। সমসাময়িকদের মধ্যে গালিবের মত জউকও একজন প্রতিভাবান কবি ছিলেন এবং তারা একে অপরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন। এটি ড্যালরিম্পলের ষষ্ঠ গ্রন্থ এবং এতে দিল্লীর প্রতি তার ভালবাসা প্রতিফলিত হয়েছে । তিনি বিদ্রোহ চলাকালীন সময়ের নথিপত্র ব্যবহার করায় প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি । ১৮৫৭ সালের ভারতীয় ঘটনাবলী অন্তর্ভুক্ত করেছেন যা ইতিপূর্বে উপেক্ষা করা হয়েছিল। তিনি উর্দু পণ্ডিত মাহমুদ ফারুকির সহায়তায় এই নথি নিয়ে কাজ করেছেন।