রজনীগন্ধার মিষ্টি সৌরভের মাঝে, চারি দিকে মনমাতানো ফুল দিয়ে সাজানো ঘরে, ফুলের বিছানায়, ফুলসজ্জার রাতে বরের অপেক্ষায় বসে আছে তিতলি। ফুলের বিছানায় বসে স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে তিতলি যেন অতীতে হারিয়ে যাচ্ছে। পার্থ আর তিতলির সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে। একেবারে অপরিচিত দুটো পরিবারের মধ্যে এক দেখাতেই তিতলির বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। পার্থ ওর মা-বাবার সাথে মেয়ে দেখতে এসেই পাটিপত্র মানে বিয়ে পাকা করে গেল। ছেলে পেশায় ডাক্তার এবং অবস্থাপন্ন মা-বাবার একমাত্র সন্তান। শুধু এটুকুর উপর ভরসা করে, কোনো খোঁজ খবর না নিয়েই, এমন কি তিতলির মতামতটুকুও না জিজ্ঞেস করে, তিতলির মা-বাবা রাজি হয়ে গেল।