মুহাম্মদ এখন মুক্ত চারদিকে কোনো বন্ধন নাই। বিশ্বের বুকে একা, সম্পূর্ণ একা অসহায় বালক সম্মুখে দুর্গম-গিরিকান্তার। সহায় নাই, সঙ্গী নাই পথ নাই, পাথেয় নাই। শিশু মুহাম্মদ বুঝলেন, এই দুস্তর প্রান্তর একাই তাঁকে পাড়ি দিতে হবে। মৃত্যুশয্যায় বৃদ্ধ পিতামহ তাঁর (মুহাম্মদ) লালন-পালনের ভার ছেলে আবু তালেবের উপর ন্যাস্ত করে যান। আবু তালিবের গৃহেই তিনি তাঁর প্রথম জীবন অতিবাহিত করেন। বালক মুহাম্মদকে প্রায়ই উৎসুক এবং চিন্তাশীল দেখা যায় যেন তিনি ভবিতব্যকে দেখছেন, প্রকৃতির সুষমা নিরীক্ষণ করতে প্রায়ই তিনি মুরুভূমিতে বের হয়ে যেতেন। তিনি মিষ্টভাষী, কোমলস্বভাব এবং মানুষের দুঃখদুর্দশার প্রতি অত্যধিক সংবেদনশীল। মরুভূমির এ পবিত্র হৃদয় সন্তান তাঁর পরিচিত মহলের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন। চাচা ও ভ্রাতুষ্পুত্রের মধ্যে গভীরতম অনুরাগ বিরাজ করতো। আবু তালিবের সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। তা সত্ত্বে ও মুহাম্মদের প্রতি তাঁর ছিল গভীর ভালোবাসা।