ইশতি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির উদ্দেশ্যে দেশ থেকে দূরে থাকে।তবে দেশে তার পরিবারকে ভীষণ মনে পরে।পরিবারের আবদার ধর্মীয় উৎসবগুলোয় যেন সে থাকে। ইশতি দেশে ফেরে।প্রতিবার বড়দিনের ছুটিতেই ছুটি পেয়ে আসে। পৌষ সংক্রান্তি উৎসবে চলে যায় পুরাতন ঢাকায় বন্ধুর বাসায়।পুরাতন ঢাকায় এ উৎসবকে সাকরাইনও বলা হয়। এরপর আবির্ভুত হয় গল্পের নায়িকা ফারিয়া।যার সাথে পরিচয় মধুর নয় শুরুতে। পৌষ সংক্রান্তিতে পুরাতন ঢাকায় সাকরাইন নামে একটা অনুষ্ঠান হয় বেশ জাঁকজমকভাবে। ইশতির মূল উদ্দেশ্য পছন্দের ক্যামেরায় ছবি তুলবে। ফানুশ ওড়াবার মুহুর্তে পাশের ছাদে সাদা পোশাক পরিহিত একজন নারীকে সে দেখে।মূল ঘটনা এখান থেকেই উৎপত্তি। কারণ এখানেই আবির্ভূত হয়,গল্পের নায়িকা ফারিয়া। সাধারণত কোনো নারীর দিকে দৃষ্টি নন্দন চোখে তাকাবে সরাসরি কিংবা অনেকক্ষন ধরে এমন মুগ্ধ আচরণ খুবই কম ঘটে ইশতির জীবনে। কিন্তু ফারিয়ার সাথে পরিচয়টাও ভুল বোঝাবুঝি দিয়েই শুরু।কারণ ওর অনুমতি ছাড়া ছবি তোলার অপরা*ধ ইশতির। পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে ছবি দিয়ে পুরুস্কার জেতা ইশতিয়াক আহমেদ ইশতি,এবারও একই কাজ করে। ছবিটি তুলে ইংরেজি দৈনিকে জমা দেয়। পুরুস্কার জিতে যায় সম্মানি সহ। ফারিয়া বিষয়টি জানতে পারে সামাজিক যোগাযোগে তারই বান্ধবীর টাইমলাইন থেকে।এটি নিয়ে ফারিয়া প্রথমে কথা শোনায় ইশতিকে।বিপরীতে ইশতিও প্রতিক্রিয়া দেখায়। এমন অদ্ভুত সম্পর্কের অবসান কেমন করে ঘটে কিংবা দুজনার মধ্যে আদৌ হৃদ্যতা ঘটে কী না; জানতে হলে পড়তে হবে রোমাঞ্চক গল্প "বড়দিনের ছুটিতে"। ইশতিয়াক, ফারিয়ার আরও একটি সত্য জানতে পারে।তার মায়ের নাম এলিজাবেথ। একজন ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের। ইশতি ও ফারিয়ার সম্পর্কের পরিণতি সেটিও জানা জরুরি হয় তখন।কিনারা খুঁজতে আহবান রইলো শেষ অব্দি পড়ার।