বংশানুক্রমে আমরা পিশাচ! খুব ভয়ংকর রকমের পিশাচ। জি না, কোন সাধারণ ভুত প্রেত কিংবা অশুভ কিছু নই। মানুষের চামড়া পড়া বিকৃত মগজের পিশাচ আমরা। হয়ত তার থেকেও বেশি কিছু। আমার জন্ম হয় সুন্দরবনে। বোধশক্তি হওয়ার পর থেকে আমি মাকে দেখিনি । মাঝে মাঝে মনে হয় আমি বেজন্মা নই তো? হতেও পারে। আব্বা ছিলেন সুন্দরবনের জলদস্যু। আচ্ছা, আমি তাকে আব্বা ডাকি কেন? জানি না। পশুর থেকেও নিকৃষ্ট জাত ইবলিস ছিল সে। এই পশুর কাছে আমি আমার শৈশব কাঁটাই। তাকে আমি কালেভদ্রে জমিনে নামতে দেখতাম। পানিতেই থাকতেন। পুরো সুন্দরবন চষে বেড়াতেন তার বহর নিয়ে পানিতে পানিতে। জলদস্যুদের অন্য দলের সাথে যুদ্ধ লাগে প্রায়ই। এক দল আরেক দলের সাথে গোলাগুলি করে টিকে থাকে, এটাই বনের নিয়ম। কিন্তু আব্বার সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা কারো ছিল না। যেখানে নজর দিতেন, সর্বস্ব চুষে নিঃশেষ করে দিতেন। ক্ষমতা, টাকা কিংবা অস্ত্র সবই ভরপুর ছিল তার। এতোটাই ভয়ংকর ছিলেন যে তাকে ধরতে সরকারের বিশেষ বাহিনী পাঠানো হয় দুবার। কিন্তু তার টিকিটাও ছুতে পারেনি কেউ। শুধু তার নামটাই, মানুষ চিনতো; চেহারা নয়। আমি চিনি। প্রায় ৬ ফুটের মানুষটা অনেকাংশে দানব । কাঁধের উপর নেমে আসা
অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম
Read all reviews on the Boitoi app