সতীদাহের চিতা থেকে পালিয়ে যাওয়া এক নারীর মর্মন্তদ কাহিনী – রাখাল। যাকে তার পরিবারের লোকেরা যে কোন মূল্যে আবার চিতায় তুলতে চায়। জীবন বাঁচাতে মেয়েটি পালিয়ে থাকে সুউচ্চ পাহাড়ের খাঁজে, ঈগলের বাসায়। সেখান থেকে সে দেখে ফেলে এক অনিন্দ্য সুন্দর পৃথিবীকে। তাকে লুকিয়ে রাখে যে মুসলিম রাখাল, তার দিকে তাকিয়ে হিন্দু মেয়েটির মনে হয়েছিল, এ রাখাল নয়, রাখালের ছদ্মবেশে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আশ্চর্যজনক ভাবে দুই বিশ্বাসের দুটি মানুষের প্রেমানুভূতি মিলেছে এক মহান ঐশী আধ্যাত্মবাদে। ঘটনাটা যখন ঘটছে, ভারতবর্ষ তখন মহর্ষি রাজা রামমোহন রায়ের হিন্দুধর্ম সংস্কার আন্দোলনে টালমাটাল । বর্ণবাদী হিন্দুরা নৃশংস সতীদাহ প্রথাকে যেকোন মূল্যে বহাল রাখতে চায়। মেয়েটিকে ধরে এনে আবার তোলা হয়েছিলো চিতায় ......... গল্পটি ভারতবর্ষের সর্বশেষ সতীর জীবনের গল্প। এই উপন্যাসের স্থান সত্য, কাল সত্য, ইতিহাস সত্য, শুধু কিছু কিছু চরিত্র কাল্পনিক। রাখাল Rakhal ‘The last victim of Sati’.The fiction based on fact. A novel by Latiful Islam Shibli.
এই বইটিতে লেখক হিন্দুদের সতীদাহ প্রথার এক ভয়ানক রূপ তুলে ধরেছেন। হিন্দু বিবাহিতা মহিলাদের জন্য যা খুবই নির্মম ছিল। আর রাখালের মত একজন যুবক যিনি বনে-জঙ্গলে থেকে বড় হয়েছেন, যিনি কোন লেখাপড়া না জেনে ও স্রষ্টা সম্পর্কে এমন এমন উক্তি বা জ্ঞানগর্ভ কথা বলেন যা কোন শিক্ষিত মানুষও বলতে পারেন না। এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ একটি উপন্যাস।
Read all reviews on the Boitoi app