সৃজনশীল লেখক ও গল্পকার আসমান আলী এ প্রজন্মের কাছে অতি পরিচিত একটি মুখ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং তরুণ লেখকদের জন্য তাঁর লেখা অত্যাবশীয় সাহিত্যের শৈল্পিক কাঠামো গঠনে বলিষ্ট ভ‚মিকা রাখে বলে অনেকে মনে করেন। এ জন্য তাঁর লেখা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতা বইমেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গল্পকার আসমান আলীর লেখার মূল বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, তিনি যা দেখেন তা লেখেন। লিখতে লিখতে একেবারে প্রান্তিক মানুষের জীবনের মধ্যে ঢুকে পড়েন। খুটিয়ে খুটিয়ে বের করে আনেন হৃদয় নিংড়ানো কষ্টের সাতকাহন। পোড় খাওয়া এই লেখক তাঁর ‘পথে যেতে যেতে’ গল্পগ্রন্থে যেমন এ প্রজন্মের সমসাময়িক জীবনের অনেক বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছেন অতি সাহসিকতার সাথে তেমনি বয়োবৃদ্ধ জীবনের শেকড়ছেঁড়া অপ্রকাশিত কথামালা উপস্থাপন করেছেন লেখনীর গঠন কৌশলে। তাঁর গল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রতিটি পর্বে থাকে টান টান উত্তেজনা। ফলে পাঠক পড়া শুরু করলে আর শেষ না করে উঠতে পারেন না। আমার বিশ্বাস এ বইটি পাঠক হৃদয়ে জোয়ার আনবেই আনবে। সেই সাথে সোনার আলোয় ভরিয়ে দেবে পাঠকদের।