ভারতের বিত্তবান শিল্পপতি ইয়াশ রাওয়ের ছেলে আরিয়ান রাও মাতাল অবস্থায় নিজেকে খুঁজে পায় এমন এক ট্রেনে, যা মারিজুয়ানা নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানে। ড্রাগ ডিলারের কাছে নিজের জীবনের গল্প বলতেই আরিয়ানকে মুক্ত করে দিলো সে। কী ঘটেছিল তার জীবনে যার কথা শুনে মনুষ্যত্ব জেগে উঠল হৃদয়হীন স্মাগলারের? কেন এই ধনী বাবার ছেলে বিরান মরুর ট্রেনে পড়েছিল মাতাল হয়ে? আরিয়ানের দাদা আরিয়ামানের মৃত্যু হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। নিজের বাবা আর বাবার কাজিনকে গোপন পরামর্শ করতে শুনে ফেলেছিল আরিয়ান। সেদিন থেকে নিজের সবটুকু দিয়ে দাদার জন্য ন্যায় বিচারের শেষ প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। বাবার ক্ষমতার সাথে না পেরে পালিয়ে যেতে হয়েছিল কাউকে না জানিয়েই। ইয়াশ রাও তার ফার্মহাউজে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন পরিবারের সবাইকে। সবাইকে সে জানাতে চায় একটি সত্য? কোন সে সত্য, যা জানানোর জন্য সে নিমন্ত্রণ করেছে স্ত্রী মান্দিরাকে, যার সাথে ডিভোর্স হয়েছে বেশ ক'বছর আগে; ছোট ভাই কার্তিককে, ক'দিন আগেই সে তাকে টপকে হয়ে গেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিত্তবান? ড্রাগ ডিলারের কাছ থেকে বেঁচে ফেরার পথে আরিয়ান পেয়ে গেল একটি চিঠি। চিঠিটি পাল্টে দিলো সকল সমীকরণ? সেই সাথে সে জানতে পারে, তার জীবনের এক লুকায়িত সত্য। আরিয়ান কি পারবে দাদার হত্যার বিচার করতে? তিনি যে মূল্যবোধ তাকে শিখিয়েছেন, তার মর্যাদা রাখতে পারবে কি? যাদুমন্ত্রের মতো রহস্যচ্ছলে সাজানো বই। সাহস, আবেগ, ব্যর্থতা ও মুক্তির এক ভাস্বর চিত্র। আমি চাইনি বইটা শেষ হোক। -আয়ুশ্মান খুরানা (অভিনেতা) সমৃদ্ধ আর বর্ণনামূলক লেখা। চারিত্রিক বৈচিত্র্য ও উদ্যমী কথোপকথনের মেলবন্ধন। -রবি সুভ্রামান্যান (লেখক) সমৃদ্ধ ও শক্তিধর লেখনি। গল্পটা আপনাকে নাড়িয়ে দেবে। মানু'র প্রথম উপন্যাস জানান দিচ্ছে আরও অনেক আকর্ষণীয় বই আসতে চলেছে। -তাহিরা কাশ্যাপ (লেখক ও নির্মাতা)