প্রাক্তন প্রেমিকের ফোন কল পেয়ে কেঁপে ওঠে তুলতুল। মনে পড়ে প্রেমিকের সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো। আঁখি ভিজে ওঠে। গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ার আগেই হাতের উল্টো পিঠে মুছে নেয় চোখের পানি। খুব সাবধানে ফোনটা রেখে দাঁড়িয়ে পড়ে। উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখে তুলতুলের বর সায়ান কোথাও আছে কি না। বসার ঘর থেকে সায়ানের কথার আওয়াজ আসছে। নিশ্চয় বাবার সাথে লুডু খেলছে। তুলতুল দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রুমের দরজা বন্ধ করে। তারপর কলটা রিসিভ করে কানে নিতেই শুনতে পায় অতি পরিচিত ভালোবাসার মানুষটির কন্ঠস্বর। একদিন এই কন্ঠস্বর তুলতুলের অশান্ত মনকে শান্ত করতো। ঠোঁটের কোণের মুচকি হাসির কারণ হতো। কিন্তু আজকে এই কন্ঠস্বর হৃদয় বিচলিত করছে। অন্ততে ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কখন কল কাটতে পারবে সেই প্রহর গুনছে আশিক নরম স্বরে জিজ্ঞেস করে “কেমন আছো তুলতুল? তুলতুল চটপট জবাব দেয় “ভালো আছি৷ “ জিজ্ঞেস করবে না আমি কেমন আছি? “জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। মানুষ চিরোকাল খারাপ থাকে না। নিশ্চয় ভালো আছেন। তুলতুলের জবাবে আলতো হাসে আশিক। “ বদলে গিয়েছো তুলতুল। “স্বাভাবিক নয় কি? আমার পরিচয় বদলে গিয়েছে। উদ্দেশ্য বদলে গিয়েছে এমনকি বাড়িটাও বদলে গিয়েছে। আর আমি বদলাবো না? আশিক জবাব দেয় না চট করে। একটু সময় নিয়ে বলে “আমার কথা একবারও মনে পড়ে না? কখনো মনে হয় না? একটা মানুষ আছে যে আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। একবারও আমায় দেখতে ইচ্ছে করে না? এই তুলতুল আগে না একদিন না দেখলে অস্থির হয়ে যেতে৷ আমি কথা না বললে কান্না করে ফেলতে। তাচ্ছিল্য হাসে তুলতুল। সেই হাসি আশিকের হৃদয়ে আঘাত করে “কবুল শুধু তিনটে অক্ষরের একটি শব্দ নয়। এর ওজন ভীষণ ভাড়ি। বিশ্বাস করো সায়ানের নামে কবুল বলা আগ মুহুর্ত পর্যন্ত তোমার সাথে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো আমার। মস্তিষ্ক জুড়ে তোমার বিচরণ ছিলো। কিন্তু কবুল বলার পর থেকে আমার মস্তিষ্ক বদলে গিয়েছে। সেখানে তোমার নামটা ঝাঁপসা হয়ে গিয়েছে। আমার মনটা পাল্টে গিয়েছে আমি চাই না সায়ানকে নিয়ে ভাবতে৷ তবুও আমার ভাবনা জুড়েই ওনার বিচরণ। কবুলের কি জোর তাই না? আশিক মন দিয়ে তুলতুলের কথা গুলো শোনে। চ আঁখি পল্লব ভাড়ি হয়ে এসেছে তার। গলা কাঁপছে। পুরুষ মানুষ না কি কাঁদে না৷ কিন্তু আশিকের ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাঁদতে। ভালোবাসা হারানোর ব্যাথা সে সয্য করতে পারছে না। কলিজা পুরে যাচ্ছে। "আমাকে আর কল করিও না। জানোই তো সায়ান রগচটা স্বভাবের। তুমি কল করেছো জানলে ভীষণ রেগে যাবে আর আমার ওপর টর্চার করবে। তুমি নিশ্চয় চাইবে না তোমার জন্য আমি সায়ানের হাতে মাইর খাই। ঠিক তখনই সায়ান রুমে ঢুকে। ভয়ে কলিজা কেঁপে ওঠে তুলতুলের। হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়।
ই-বুকটা কি ২১ পর্যন্ত শেষ
Read all reviews on the Boitoi app
তানিশার লেখার উপরে কোন মন্তব্য হবে না। সে নিজেই আস্ত একটা ভালোবাসা! তুলতুল আর সায়ানের গল্প কি ভালো না হয়ে পারে? এই মেয়ে এত সুন্দর কিভাবে লিখে?
Ashadharon
যত আশা নিয়ে বই কিনে পড়েছি তার থেকে তোমার আগের আর পরের লেখা অনেক ভালো। অনেক ইমপ্রুভমেন্ট দরকার।
বইটি ৯৪ পৃষ্টার লিখা আছে, তবে আমি ২১ পৃষ্টা পড়ার পর নিচে সমাপ্ত দেখলাম। কেনো..?? আমাকে কি একটু বলবেন এটি আসলে কত পৃষ্টার..?? গল্পটা অনেক ছোট লেগেছে যেখানে আগের সিজন গুলো অনেক বড় ছিল।
খুব সুন্দর ছিল তুলতুল আর সায়ানের খুনসুটিগুলো। সব মিলিয়ে দারুণ লেগেছে গল্পটা।
তানিশা আপি এমনেতেই চমার প্রিয় লেখিকা আর তার সব লেখা ই আমার পছন্দ এমন আমার তুমি সিজন ০১ পড়েছি সেটা ও সুন্দর ছিলো এইটা আরো বেশি সুন্দর ❤️❤️আর তানিশা আপির সব লেখাই সুন্দর 💖