হিজরি ৫ম শতাব্দীর শুরুর দিকে মুসলিম বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক। সেসময় মুসলমানদের শক্তিশালী কেন্দ্রীয় কোনো নেতৃত্ব ছিল না। মুসলিম বিশ্ব তখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল। আব্বাসি খলিফার পদটি টিকে ছিল কেবল ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে। কার্যত তিনি ছিলেন অসহায়। সাম্রাজ্যের বিভিন্ন পদে ছড়িয়ে থাকা তুর্কি গোলামরা মূলত নিয়ন্ত্রণ করছিল সবকিছু। অপরদিকে বাগদাদের বাইরে বেশিরভাগ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন সালতানাত। একটি কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে একত্রিত হওয়ার বদলে তারা প্রত্যেকেই চাইতো নিজেকে ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত করতে। রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে শিয়াদের প্রভাব। এমন মুহূর্তে চিত্রপটে উত্থান ঘটে সেলজুক সালতানাতের, আগমন ঘটে সাহসী সিংহ সুলতান আলপ আরসালানের।
চমৎকার একটা বই!
Read all reviews on the Boitoi app
ইসলামের ইতিহাসের আমরা কতটুকু জানি? জানার জন্য পড়ুন... বই থেকেই একটি উদৃতি: ❝মানজিকার্টের যুদ্ধের পর প্রায় এক হাজার বছর পার হয়েছে। সুলতান আলপ আরসালান আর নেই, বাইজেন্টাইন সম্রাট রোমানোসও নেই। তবে তাওহিদ ও কুফরের এই সংঘাত থেমে নেই। একের পর এক যুদ্ধে দ্বীনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মুজাহিদরা মুখোমুখি হচ্ছে কুফরের পূজারিদের। নতুন শতাব্দীর প্রথম দশক থেকেই ক্রুসেডারদের নগ্ন থাবা আঘাত করছে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে। ক্রুশের ধ্বজাধারীদের অহংকার ধুলোয় মিটিয়ে দিতে তাকবিরের ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে সিরিয়ার সমতলভূমি পর্যন্ত। ধীরে ধীরে পৃথক হয়ে যাচ্ছে ইমান ও কুফরের শিবিরদু’টি। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে মুমিনদের সামনে উপস্থিত হয়েছে বড় একটি প্রশ্ন, তারা কোন পক্ষ অবলম্বন করবে? তারা কোন শিবিরে যোগ দিবে?❞
আনেক ভাল বই। সবাইকে সাজেস্ট করব। তবে সব তথ্য পুংখানুপুংখ সঠিক নয়।
একজন মুসলিম হিসেবে জানাই ছিল না এমন এক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে 😔😔😔
ইমরান রাইহানের লেখা 'সুলতান আলপ আরসালান' বইটি পড়লাম। আব্বাসী খিলাফতের তৎকালীন দৈন্যদশা, সেলজুক সালতানাতের শুরু এবং মানজিকার্ট যুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত জানলাম বইটি পড়ে। ধন্যবাদ বইটই।
গুরুত্বপূর্ণ বই