‘‘খা খা খা তোর বক্ষিলারে খা তারি দিব্যি ফণাতে তোর যে ঠাকুরের পা’ বিষহরি শিবের আজ্ঞ্যে দোহাই মনসা, খা খা খা তোর বক্ষিলারে খা…’’ ড্রাগস, চোরাচালান আর খুনের সাথে সাপুড়েদের কী সম্পর্ক? ছদ্মপরিচয়ে উপলই বা ওই এলাকায় কী করছে? একজন একা মহিলাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পিছনেই বা কারা আছে? মোটিভটাই বা কী? দেশের নামকরা ব্যারিস্টার রাশেদ আলম খানের ঘরে পাওয়া গেছে এক অচেনা মৃতদেহ। যার মৃত্যু ঘটেছে, তাকে কেউ ঢুকতে দেখেনি। এদিকে রাশেদ খান হত্যা করেছেন, সেটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন, বন্ধ ঘরের ভিতরে খুনটা হলো কী করে? ক্রাইম অ্যান্ড অপসের উপল চৌধুরীর ডাক পড়েছে পরপর তিনটি রহস্য সমাধানে। সঙ্গে আছে ওর দুই প্রিয় বন্ধু ও সহকর্মী আব্বাস আর সাব্বির। পাঠক, আপনারাও চলে আসুন না! ওদের সাথে নেমে পড়ুন রহস্য উদঘাটনে। সময়টা দারুণ কাটবে—কথা দিচ্ছি!
খুব ভাল লাগল বইটি। ছোট গল্পের পরিসরে গোয়েন্দা গল্প লিখা খুব সহজ না, লেখক সেটা করেছেন দারুন দক্ষতায়।ছোট ছোট ঘটনা, ছোট ছোট ক্লু, প্রাঞ্জল ভাষা... হ্যাপি রিডিং বলে যে ব্যাপারটা আছে, এই বইয়ের ক্ষেত্রে একদম মিলে গেল। অনেক শুভ কামনা।
Read all reviews on the Boitoi app
চয়ন মল্লিক আপুর রহস্য গল্পের আমি একজন বিশেষ ভক্ত। তার লেখা প্রথম বই "রহস্যত্রয়ী" পড়েই আমি তার লেখা গল্পের ভক্ত হয়ে উঠেছি। তার " বিষদাঁত" ই বুকটিও নিরাশ করেনি। এই ই বুকে থাকা প্রতিটি গল্পই আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে।
গল্পগুলো এককথায় চমৎকার! অনেক সূক্ষ details এর দিকে লেখিকার খেয়াল ছিলো, যেটা বেশ ভালো লেগেছে। রহস্য ও থ্রিলার genre এর গল্প, সিনেমা ও সিরিজের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে লেখিকাকে বলতে (লিখতে!) চাই যে, বাংলার আগাথা ক্রিস্টি হওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে লিখতে থাকুন!
গল্পগুলোর প্লট সুন্দর। গোয়েন্দা গল্প পড়ার মজা বেশ জমিয়ে পাওয়া যায়। তবে গল্পগুলোর ডিটেইলিং এর ডালপালা খানিক এদিক ওদিক ছড়ালে পাঠকদের ধাঁধায় ফেলা যেত। সময়টা উপভোগ্য ছিল নি:সন্দেহে... <3
গোয়েন্দা গল্প হিসেবে উপভোগ্য। উপলের একক কাহিনী হিসেবে যাত্রাটা ভালো লেগেছে